আপনি বলে দিন, যে কেউ জিবরাঈলের শত্রু হয়-যেহেতু তিনি আল্লাহর আদেশে এ কালাম আপনার অন্তরে নাযিল করেছেন, যা সত্যায়নকারী তাদের সম্মুখস্থ কালামের এবং মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা।
Say (O Muhammad Peace be upon him ): ”Whoever is an enemy to Jibrael (Gabriel) (let him die in his fury), for indeed he has brought it (this Qur’ân) down to your heart by Allâh’s Permission, confirming what came before it [i.e. the Taurât (Torah) and the Injeel (Gospel)] and guidance and glad tidings for the believers.
قُلْ مَن كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَى قَلْبِكَ بِإِذْنِ اللّهِ مُصَدِّقاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًى وَبُشْرَى لِلْمُؤْمِنِينَ
Qul man kana AAaduwwan lijibreela fa-innahu nazzalahu AAala qalbika bi-ithni Allahi musaddiqan lima bayna yadayhi wahudan wabushra lilmu/mineena
YUSUFALI: Say: Whoever is an enemy to Gabriel-for he brings down the (revelation) to thy heart by Allah’s will, a confirmation of what went before, and guidance and glad tidings for those who believe,-
PICKTHAL: Say (O Muhammad, to mankind): Who is an enemy to Gabriel! For he it is who hath revealed (this Scripture) to thy heart by Allah’s leave, confirming that which was (revealed) before it, and a guidance and glad tidings to believers;
SHAKIR: Say: Whoever is the enemy of Jibreel– for surely he revealed it to your heart by Allah’s command, verifying that which is before it and guidance and good news for the believers.
KHALIFA: Say, “Anyone who opposes Gabriel should know that he has brought down this (Quran) into your heart, in accordance with GOD’s will, confirming previous scriptures, and providing guidance and good news for the believers.”
৯৬। তুমি তাদের নিশ্চই জীবনের প্রতি, সমস্ত মানুষ এমনকি মুশরিকদের অপেক্ষা অধিক লোভী দেখবে। এদের প্রত্যেকে আকাঙ্খা করে যদি হাজার বৎসর পরমায়ু দেয়া হতো। কিন্তু এরূপ দীর্ঘায়ু তাদের [প্রাপ্য] শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারবে না। কারণ তারা যা করে আল্লাহ্ সব দেখেন।
রুকু – ১২
৯৭। বল, “যে কেউ জিব্রাইলের শত্রু এই জন্য যে, সে ১০১ আল্লাহ্র নির্দেশে তোমার হৃদয়ে [প্রত্যাদেশ] অবতীর্ণ করেছে যা, উহার পূর্ববর্তী কিতাবের সমর্থক এবং যা মুমিনদের জন্য পথ প্রদর্শক ও শুভ সংবাদ।”
১০১। জিব্রাইল (আ) ওহী নিয়ে আগমন করেন, একথা রাসুল্লাহ (সাঃ) এর মুখে শুনে কতক ইহুদী বলতে থাকে, ইনি তো আমাদের শুত্রু: আমাদের সম্প্রদায়ের প্রলয়ঙ্কারী ঘটনাবলী এবং প্রাণান্তকর নির্দেশাবলী তার মাধ্যমেই অবতীর্ণ হয়েছে। পক্ষান্তরে মীকাঈল (আঃ) অত্যন্ত গুণী ফেরেশ্তা, তিনি বৃষ্টি ও রহমতের সাথে জড়িত। তিনি ওহী নিয়ে এলে আমরা তাকে মেনে নিতাম। এটা অবশ্যই একটা ভণ্ডামী – তারা আল্লাহ্র প্রেরিত একজন দূতকে মানবে, অন্য দূতকে প্রত্যাখান করবে, সেটা তো ভণ্ডামীরই লক্ষণ। হযরত মুহাম্মদের [সাঃ] অন্তরে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ পৌঁছে দিয়েছেন জিব্রাইল (আঃ)। আধ্যাত্মিক আলোয় মুহাম্মদের (দঃ) অন্তর আল্লাহ্ আলোকিত করেছেন জিব্রাইলের দ্বারা। সুতরাং জিব্রাইলের বৈশিষ্ট্য না দেখে স্বয়ং কুরআনকে দেখা দরকার এবং দেখা দরকার মানুষ হিসাবে নবী করিমের নিষ্কলুষ, উজ্জ্বল চারিত্রিক গুণাবলী। আমাদের নিরক্ষর নবীর কিতাব পাওয়া, কোনও রকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যতীত আমাদের নবীর চারিত্রিক গুণাবলী, তার প্রজ্ঞা, জ্ঞান সবই সেই সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র অসীম ক্ষমতার ইঙ্গিত বহন করে। সবচেয়ে বড় কথা কোরআন [এর অবস্থান এই যে] সে পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব সমূহের সত্যায়ন করে, এবং কিতাবপ্রাপ্ত জাতিদের পথ প্রদর্শন করে ও মুমিনদের সুসংবাদ দেয়। আসমানী কিতাবসমূহের অবস্থা তাই-ই হয়ে থাকে। সুতরাং জিব্রাইলের দোহাই দিয়ে এই আসমানী কিতাবে বিশ্বাস স্থাপন না করার অর্থই হচ্ছে এ সবই ইহুদীদের কপটতা বা ছলনা।