তারা কি এতটুকুও জানে না যে, আল্লাহ সেসব বিষয়ও পরিজ্ঞাত যা তারা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে?
Know they (Jews) not that Allâh knows what they conceal and what they reveal?
أَوَلاَ يَعْلَمُونَ أَنَّ اللّهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ
Awa la yaAAlamoona anna Allaha yaAAlamu ma yusirroona wama yuAAlinoona
YUSUFALI: Know they not that Allah knoweth what they conceal and what they reveal?
PICKTHAL: Are they then unaware that Allah knoweth that which they keep hidden and that which they proclaim?
SHAKIR: Do they not know that Allah knows what they keep secret and what they make known?
KHALIFA: Do they not know that GOD knows everything they conceal, and everything they declare?
৭৭। তারা কি জানে না যে, তারা যা গোপন করে এবং তারা যা প্রকাশ করে আল্লাহ্ তা জানেন?
৭৮। তাদের মধ্যে কিছু নিরক্ষর লোক আছে, যারা [নিজেদের] আশা-আকাঙ্ক্ষা ব্যতীত কিতাব সম্বন্ধে কোন জ্ঞান নাই। তারা অনুমান ব্যতীত আর কিছু করে না। ৮৪
৮৪। এই আয়াতটি [২:৭৬] এর বর্ধিত অংশ হিসেবে ধরা হয়েছে। ইহুদীরা তাদের ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত জ্ঞানকে (অর্থাৎ হযরত মুহম্মদের (দঃ) আর্বিভাবের খবর) গোপন করতে চেয়েছিল। কিন্তু ইহুদীদের মধ্যে যারা ধর্মগ্রন্থ পড়তে পারতো তারাও নিরপেক্ষ ছিল না। অশিক্ষিতদের সাথে তাদের খুব পার্থক্য ছিল না। কারণ তারা তাদের ধর্মগ্রন্থের আসল উপদেশ খুব ভালভাবেই জানতো, কিন্তু তারা তা বিকৃত করে নিজেদের মনগড়া তথ্য যা শুধুমাত্র অনুমানভিত্তিক তা পরিবেশন করতো। তারা মানুষকে প্রতারণা করার জন্য নিজস্ব লেখাকে আল্লাহ্র বাণী বলে প্রচার করতো। এই জঘন্য প্রতারণা তাদের সাময়িক সুবিধা দান করতে সক্ষম হয়েছিলো। কিন্তু এই সুবিধা বা লাভ কখনও সত্যিকারের হতে পারে না। যদি এই সুবিধার পরিবর্তে সমস্ত পৃথিবীও করতলগত হয় তবুও তা জোচ্চুরি, আর তা হচ্ছে আত্মাকে বিক্রি করার সামিল। তারা ক্রয় করলো ‘Gained the whole world and lost their own souls.’ কারণ নিজের হাতে বাণী লিখে আল্লাহ্র বাণী বলে প্রচারিত করা জঘন্য পাপ। কারণ এর মধ্যে কোনও সত্য নাই।
[সর্বজনীন উপদেশ হচ্ছে, ধর্মহীনতা সব সময়েই নিজস্ব মনগড়া কাল্পনিক স্রষ্টা গড়তে ভালবাসে। ধর্মহীন ব্যক্তির নিজস্ব সুযোগ, সুবিধা, কল্পনা যা তাকে আত্মতৃপ্ত করে তার নিজস্ব কল্পনার জগৎকে। তার নিজস্ব ধর্মকে সে নিজে সৃষ্টি করে, কিন্তু প্রতারিত করে বিশ্বস্রষ্টার নামে। দেখা যায় তারা তাদের কামনা বাসনা চরিতার্থ করার জন্য অন্যায় অবিচার, অপরাধের আশ্রয় নেয়। এ সবই করে শুধুমাত্র জনসাধারণকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের স্বপক্ষে, এর সাথে স্রষ্টার তুষ্টির কোন সম্পর্ক নাই। ধর্মের নামে এই অনাচার যুগে যুগে দেশে দেশে সংগঠিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। এর থেকে আমরা মুসলমানেরাও বাদ যাচ্ছি না। এর ফল অত্যন্ত বিষদায়ক। তাৎক্ষণিকভাবে কখনও এর কিছু সুফল পাওয়া যেতে পারে তা খুব স্বল্প সময়ের জন্য। এ যেনো সেই সাবানের বুদবুদ যা স্বল্পকালের জন্য রামধনুর বর্ণালী বিচ্ছুরিত করে আকাশে ওড়ে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফেটে যায়। সেইরূপ ধর্মের নামে জোচ্চুরী সব সময়েই ধ্বংস ডেকে আনবে।-অনুবাদক]