020.010

তিনি যখন আগুন দেখলেন, তখন পরিবারবর্গকে বললেনঃ তোমরা এখানে অবস্থান কর আমি আগুন দেখেছি। সম্ভবতঃ আমি তা থেকে তোমাদের কাছে কিছু আগুন জালিয়ে আনতে পারব অথবা আগুনে পৌছে পথের সন্ধান পাব।
When he saw a fire, he said to his family: ”Wait! Verily, I have seen a fire, perhaps I can bring you some burning brand therefrom, or find some guidance at the fire.”

إِذْ رَأَى نَارًا فَقَالَ لِأَهْلِهِ امْكُثُوا إِنِّي آنَسْتُ نَارًا لَّعَلِّي آتِيكُم مِّنْهَا بِقَبَسٍ أَوْ أَجِدُ عَلَى النَّارِ هُدًى
Ith raa naran faqala li-ahlihi omkuthoo innee anastu naran laAAallee ateekum minha biqabasin aw ajidu AAala alnnari hudan

YUSUFALI: Behold, he saw a fire: So he said to his family, “Tarry ye; I perceive a fire; perhaps I can bring you some burning brand therefrom, or find some guidance at the fire.”
PICKTHAL: When he saw a fire and said unto his folk: Lo! Wait! I see a fire afar off. Peradventure I may bring you a brand therefrom or may find guidance at the fire.
SHAKIR: When he saw fire, he said to his family: Stop, for surely I see a fire, haply I may bring to you therefrom a live coal or find a guidance at the fire.
KHALIFA: When he saw a fire, he said to his family, “Stay here. I have seen a fire. Maybe I can bring you some of it, or find some guidance at the fire.”

১০। স্মরণ কর! সে একটি আগুন দেখেছিলো ২৫৪১। সুতারাং সে তাঁর পরিবারকে বলেছিলো, ” তোমরা অপেক্ষা কর; আমি আগুন দেখতে পাচ্ছি। সম্ভবতঃ আমি সেখান থেকে তোমাদের জন্য জলন্ত কাষ্ঠ খন্ড আনতে পারবো, অথবা আগুনের নিকটে কোন পথ নির্দ্দেশ পাব ২৫৪২।

২৫৪১। হযরত মুসা স্ত্রীসহ মাদয়ান হতে মিশর যাচ্ছিলেন। পথে রাত্রি হয়, শীতে তাদের কষ্ট হচ্ছিল। তখন তিনি আগুন দেখলেন। মরুভূমির মাঝে, নির্জন স্থানে আগুনের উপস্থিতির অর্থ হচ্ছে মানুষের উপস্থিতি। সুতারাং মুসা স্ত্রী পরিজন সে স্থানে রেখে আগুনের সন্ধানে একা যাত্রা করেন, যেনো পরিবারের জন্য আগুনের বন্দোবস্ত করতে পারেন, এবং মিশর যাওয়ার সঠিক পথের সন্ধান পেতে পারেন। কিন্তু সে আলোর দ্যুতি সাধারণ আগুনের আলোর ন্যায় ছিলো না। তা ছিলো এক জ্বলন্ত সতেজ সবুজ বৃক্ষ। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এই আগুনের কারণে বৃক্ষের কোন ডাল অথবা পাতা পুড়ছে না ; বরং আগুনের কারণে বৃক্ষের সৌন্দর্য , সজীবতা ও উজ্জ্বল্য আরও বেড়ে গেছে। কারণ তা ছিলো আল্লাহ্‌র মহিমার নিদর্শন।

২৫৪২। এখান থেকে হযরত মুসার আধ্যাত্মিক জীবনের ইতিহাস শুরু হয়। এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত কর্তব্য কর্ম। হযরত মুসার জীবনী কোরাণের বিভিন্ন সূরাতে বর্ণনা করা হয়েছে, বিভিন্ন আধ্যাত্মিক পাঠ শিক্ষাদানের জন্য। তাঁর শৈশব, লালন-পালন, পার্থিব জীবনকে তুলে ধরা হয়েছে অন্যান্য সূরাতে আলোচ্য বিষয়কে স্পষ্টভাবে অনুধাবন করানোর উদ্দেশ্য। হযরত মুসা যখন যৌবন প্রাপ্ত হলেন, তিনি ফেরাউনের রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে, সিনাই উপত্যকার মাদয়ানবাসীদের নিকট গমন করেন। তিনি সেখানে বিয়ে করেন এবং এক দিন তাঁর পরিবারবর্গসহ স্থানান্তরে যাচ্ছিলেন। এ সময়েই আল্লাহ তাঁকে দায়িত্ব দেবার জন্য ডাক দেন। তিনি আগুনের উষ্ণতার আরাম ও পথের নির্দ্দেশের জন্য আগুনের সন্ধানে গিয়েছিলেন যা তাঁর ধ্যান ধারণায় ছিলো সম্পূর্ণ জাগতিক। কিন্তু সেখানে তিনি আরও উচ্চতর ও পবিত্রতম আরাম ও পথের নির্দ্দেশ পান। সম্পূর্ণ আয়াতটিতে এক বিস্ময়কর, আত্যাশ্চার্য ঘটনার বিবরণ আছে যার অর্থ অত্যন্ত গভীর। স্বল্প কয়েকটি আয়াতের মাধ্যমে এই গূঢ় তত্বপূর্ণ ঘটনাকে উপস্থাপন করা হয়েছে।