002.079

অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।
Then woe to those who write the Book with their own hands and then say, ”This is from Allâh,” to purchase with it a little price! Woe to them for what their hands have written and woe to them for that they earn thereby.

فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
Fawaylun lillatheena yaktuboona alkitaba bi-aydeehim thumma yaqooloona hatha min AAindi Allahi liyashtaroo bihi thamanan qaleelan fawaylun lahum mimma katabat aydeehim wawaylun lahum mimma yaksiboona

YUSUFALI: Then woe to those who write the Book with their own hands, and then say:”This is from Allah,” to traffic with it for miserable price!- Woe to them for what their hands do write, and for the gain they make thereby.
PICKTHAL: Therefore woe be unto those who write the Scripture with their hands and then say, “This is from Allah,” that they may purchase a small gain therewith. Woe unto them for that their hands have written, and woe unto them for that they earn thereby.
SHAKIR: Woe, then, to those who write the book with their hands and then say: This is from Allah, so that they may take for it a small price; therefore woe to them for what their hands have written and woe to them for what they earn.
KHALIFA: Therefore, woe to those who distort the scripture with their own hands, then say, “This is what GOD has revealed,” seeking a cheap material gain. Woe to them for such distortion, and woe to them for their illicit gains.

৭৯। তাদের জন্য দুর্ভোগ যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং ঘৃণ্য মূল্যে বাণিজ্য করার জন্য বলে, ‘এটা আল্লাহ্‌র নিকট থেকে [প্রাপ্ত]’।- তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য এবং তা দ্বারা যা তারা উপার্জন করেছে তার জন্য তাদের [নির্ধারিত আছে] দুঃখ।’

৮০। এবং তারা বলে, ‘দিন কতক ব্যতীত আগুন আমাদের স্পর্শ করবে না।’ ৮৫। বল, ‘তোমরা কি আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছো যা তোমরা জান না?

৮৫। উদ্ধত অহংকারী ইহুদীরা দাবী করে যে, যেহেতু তারা হযরত ইব্রাহীমের বংশধর তারা যত গুণাহ্‌ করুক না কেন তারা বেহেশ্‌তে যাবেই। যদি তাদের কারও দোযখে যেতেই হয় তবে তা হবে শুধুমাত্র অল্প কয়েকদিনের জন্য। তারপর তাদের বেহেশ্‌তে পুনর্বাসিত করা হবে। তাদের এই মিথ্যা অহংকারকে বা মিথ্যা দাবীকে আল্লাহ্‌ [২ : ৮১-৮২] নাকচ করে দিয়েছেন। তাদের মিথ্যার ফানুস সত্যের আঘাতে ফুটো হয়ে গেছে।

সাধারণ উপদেশ হচ্ছে, ধর্মহীনতা উৎপন্ন করে মানসিক অবিশ্বাস, অবিশ্বস্ততা। আর তাই অবিশ্বাসী ব্যক্তিদের দেখা যায় নিজেদের সম্বন্ধে অন্ধ আত্ম অহংকারে মত্ত থাকতে। এরা নিজেদের সম্বন্ধে পদ মর্যাদা, উচ্চ বংশ গৌরব, সভ্যতা, সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষমতা দাবী করে। কারণ এরা মনে করে তারা আল্লাহ্‌ কর্তৃক নির্বাচিত ব্যক্তি। এরা জানে না যে, যা কিছুর উপরই তাদের লোভ থাকুক না কেন এর কোন কিছুই তাদের অধিকারে নেই। অসামান্য ধন-সম্পদ, প্রতিপত্তি নিয়েও মানুষ মুহূর্তের মধ্যে নির্মমভাবে লাঞ্ছিত হতে পারে। বাহ্যিকভাবে সুশ্রী হয়েও চিত্তে ধারণ করতে পারে অপরিমেয় অসুখ যন্ত্রণা। ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও সাধারণ মানুষের পদদলিত হতে পারে, হতে পারে জীবনের প্রতিকূলে যে কোন বিপর্যয়। আর মানুষের জীবনের এইসব প্রাপ্তি কিংবা অপ্রাপ্তির কোন কিছুই মানুষের নিয়ন্ত্রণে নেই। মানুষ চেষ্টা করতে পারে কিন্তু চেষ্টা করার মানসিকতা তৈরি করতে পারে না। যখন আল্লাহ্‌ কাউকে সে মানসিকতা দেন আর যখন সে তা অবহেলা করে তখন কোন কিছুই আর তার জন্য ভাল অবস্থা তৈরি করতে পারে না। মানুষের মনের উপর সৃষ্টিকর্তার রয়েছে এই রকম সুক্ষ্ণ ও সর্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু তাদের এই বিপরীতে মানসিক অবস্থা তাদের ধর্মহীনতারই ফসল। এই ধর্মহীনতার কয়েক রকম আছে। কেউ ধর্মের নামে ধর্মহীন, কেউ মানবতার নামে ধর্মহীন, কেউ ব্যক্তিস্বার্থে ধর্মহীন। তবে ধর্মহীনতার বা অবিশ্বাসের মূল কথা হচ্ছে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ। কিন্তু আল্লাহ্‌ সব জানেন-মানুষের অন্তরের নিয়ত সম্পর্কে। আল্লাহ্‌র রহমত তারই উপরে বর্ষিত হবে যে লোক দেখানো বা ব্যক্তিস্বার্থের জন্য নয়, শুধুমাত্র আল্লাহ্‌কে খুশী করার জন্যই চারিত্রিক গুণাবলী (Conduct of life) অর্জন করবে।