002.068

তারা বলল, তুমি তোমার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা কর, যেন সেটির রূপ বিশ্লেষণ করা হয়। মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলছেন, সেটা হবে একটা গাভী, যা বৃদ্ধ নয় এবং কুমারীও নয়-বার্ধক্য ও যৌবনের মাঝামাঝি বয়সের। এখন আদিষ্ট কাজ করে ফেল।
They said, ”Call upon your Lord for us that He may make plain to us what it is!” He said, ”He says, ’Verily, it is a cow neither too old nor too young, but (it is) between the two conditions’, so do what you are commanded.”

قَالُواْ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لّنَا مَا هِيَ قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ لاَّ فَارِضٌ وَلاَ بِكْرٌ عَوَانٌ بَيْنَ ذَلِكَ فَافْعَلُواْ مَا تُؤْمَرونَ
Qaloo odAAu lana rabbaka yubayyin lana ma hiya qala innahu yaqoolu innaha baqaratun la faridun wala bikrun AAawanun bayna thalika faifAAaloo ma tu/maroona

YUSUFALI: They said: “Beseech on our behalf Thy Lord to make plain to us what (heifer) it is!” He said; “He says: The heifer should be neither too old nor too young, but of middling age. Now do what ye are commanded!”
PICKTHAL: They said: Pray for us unto thy Lord that He make clear to us what (cow) she is. (Moses) answered: Lo! He saith, Verily she is a cow neither with calf nor immature; (she is) between the two conditions; so do that which ye are commanded.
SHAKIR: They said: Call on your Lord for our sake to make it plain to us what she is. Musa said: He says, Surely she is a cow neither advanced in age nor too young, of middle age between that (and this); do therefore what you are commanded.
KHALIFA: They said, “Call upon your Lord to show us which one.” He said, “He says that she is a heifer that is neither too old, nor too young; of an intermediate age. Now, carry out what you are commanded to do.”

৬৮। তারা বলেছিলো, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তোমার প্রভুর নিকট প্রার্থনা করে স্পষ্টভাবে আমাদের জন্য জেনে নাও [বক্‌না গাভীটি] কেমন হবে! সে [মুসা] বলেছিলো, [আল্লাহ্‌ বলেছেন]: ‘বক্‌না গাভীটি খুব বৃদ্ধও নয় আবার খুব বাচ্চাও নয়, কিন্তু তা হবে এ দুয়ের মাঝামাঝি বয়সের। এখন তোমাদের যা আদেশ করা হয়েছে তা কর।’

৬৯। তারা বলেছিলো, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তোমার প্রভুর নিকট প্রার্থনা করে স্পষ্টভাবে জেনে নাও উহার রং কি?’ সে [মুসা] বলেছিলো, ‘আল্লাহ্‌ বলেছেন, [হরিণ শিশুর ন্যায়] হলুদ বর্ণের গাভী, উজ্জ্বল রং এর আমেজ যা দর্শকদের সন্তুষ্ট করে।’

৭০। তারা বলেছিলো, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তোমার প্রভুর নিকট বল, তিনি যেনো আমাদের সুস্পষ্ট করে বলেন এটি কেমন হবে; আমাদের নিকট সকল গাভীই এক রকম; যদি আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করেন তবে নিশ্চয়ই আমরা নির্দেশ পাব।

৭১। সে বলেছিলো, ‘আল্লাহা বলেছেন, উহা এমন একটি গাভী যা ক্ষেত চাষ বা পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয় নাই। সুস্থ এবং নিখুঁত।’ তারা বলেছিলো, ‘এখন তুমি সত্য এনেছ।’ অতঃপর তারা গাভীটিকে কোরবাণী দিলো যদিও তারা তা করতে ইচ্ছুক ছিলো না।

রুকু – ৯

৭২। স্মরণ কর যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে ৮১, এবং অপরাধের ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলে। কিন্তু তোমরা যা গোপন করেছিলে, আল্লাহ্‌ তা প্রকাশ করে দিতেছেন।

৮১। ইহুদী ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী এক ব্যক্তিকে হত্যা করে মাঠে ফেলে রাখা হয়েছিলো, কেউই জানতো না তার হত্যাকারী কে? আল্লাহ্‌র নির্দেশ হলো বক্‌না গাভী কোরবানী দিয়ে তার উপরে নগরের প্রতিটি লোক তার হস্ত প্রক্ষালন করবে এবং নিজেকে নির্দোষ দাবী করবে। এভাবেই তাদেরকে রক্তের ঋণ শোধ করতে হুকুম দেয়া হল। প্রথমে তারা একে অন্যকে দোষারোপ শুরু করলো, তারপরে তারা চেষ্টা করলো যেন বক্‌না গাভটিকে কোরবানী দেওয়া না হয়, সেজন্য নানা টালবাহানা বের করলো যেমন বর্ণনা করা হয়েছে। যখন গরু জবাই হলো, আল্লাহ্‌র হুকুমে মৃত ব্যক্তি জীবিত হয়ে তার হত্যাকারীকে সনাক্ত করলো।

এই আয়াতের উপদেশ হচ্ছে, মানুষ তার পাপ ও অন্যায়কে লুকাতে চায়। এটা হতে পারে ব্যক্তিগতভাবে বা সমষ্টিগতভাবে। কিন্তু পাপ কখনও লুকায়িত থাকে না। যে কোন ভাবেই হোক পাপ জনসম্মুখে প্রকাশ পাবেই। এ-ই হচ্ছে আল্লাহ্‌র বিধান। ইহুদীদের জাতীয় ইতিহাসের মাধ্যমে এই শিক্ষাই আমাদের দেয়া হচ্ছে।