002.028

কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে।
How can you disbelieve in Allâh? Seeing that you were dead and He gave you life. Then He will give you death, then again will bring you to life (on the Day of Resurrection) and then unto Him you will return.

كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَكُنتُمْ أَمْوَاتاً فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
Kayfa takfuroona biAllahi wakuntum amwatan faahyakum thumma yumeetukum thumma yuhyeekum thumma ilayhi turjaAAoona

YUSUFALI: How can ye reject the faith in Allah?- seeing that ye were without life, and He gave you life; then will He cause you to die, and will again bring you to life; and again to Him will ye return.
PICKTHAL: How disbelieve ye in Allah when ye were dead and He gave life to you! Then He will give you death, then life again, and then unto Him ye will return.
SHAKIR: How do you deny Allah and you were dead and He gave you life? Again He will cause you to die and again bring you to life, then you shall be brought back to Him.
KHALIFA: How can you disbelieve in GOD when you were dead and He gave you life, then He puts you to death, then He brings you back to life, then to Him you ultimately return?

২৮। কিভাবে তোমরা আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাসকে অস্বীকার কর ৪৬? যখন দেখতে পাও তোমরা ছিলে প্রাণহীন এবং তিনি তোমাদের জীবন দিয়েছেন। তারপরে তিনি তোমাদের মৃত্যু দেবেন এবং পুণরায় তোমাদের জীবনে ফিরিয়ে আনবেন এবং পুণরায় তাঁর নিকটই হবে তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন।

২৯। তিনিই পৃথিবীর সকল বস্তু তোমাদের [ব্যবহারের] জন্য সৃষ্টি করেছেন। উপরন্তু তার পরিকল্পনা আকাশকেও অন্তর্ভূক্ত করে, তিনি সপ্ত আসমান তৈরির কাজকে সুষম করেন। সকল বিষয় সম্বন্ধে তিনি পরিপূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী।

৪৬। এই [২ : ২২]-আয়াতে আল্লাহ্‌ তার বান্দাকে জানাচ্ছেন তার অসীম করুণার কথা। সন্দেহ বাতিকদের সন্দেহ খণ্ডন করেছেন ২ : ২৩-এ। অন্যায় কাজের শাস্তি বর্ণনা করেছেন ২ : ২৪ আয়াতে এবং যারা পৃথিবীতে ভাল কাজ করে তাদের জন্য আছে সুখবর :২৫ আয়াতে। কোরআনের আয়াতে এসব বর্ণনা করা হয়েছে চমৎকার ভাষা ও যুক্তির মাধ্যমে। আয়াত ২ : ২৬-২৭ আয়াতে বলা হয়েছে যে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভালর পরিবর্তে মন্দকে বেছে নেয়, আল্লাহ্‌র বাণীকে অস্বীকার করে, আল্লাহ্‌র দেখানো রাস্তাকে (নৈতিক ও চারিত্রিক গুনাবলীর উন্নতি) পরিহার করে, ফলে আল্লাহ্‌র সাথে মানুষের যে ওয়াদা তারা তা ভঙ্গ করে। মহাগ্রন্থ কুরআনে বর্ণিত ছোট ছোট উপমার দ্বারা এইসব উদ্ধত ও অবাধ্যজনকেই বিপথগামীরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। এরা আল্লাহ্‌র সাথে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং যে সব সম্পর্ক আল্লাহ্‌ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তা ছিন্ন করে। যার পরিণাম স্বরূপ ধরার বুকে অশান্তি বিস্তার করে।
এর পরের আয়াতে ২ : ২৮-২৯ আল্লাহ্‌ তার বান্দার অন্তরের অনুভূতির কাছে আবেদন রেখেছেন। তিনি বলেছেন এই পৃথিবীতে বান্দার সর্ব অস্তিত্ব, তার ধন-সম্পদ, ক্ষমতা-প্রতিপত্তি, জ্ঞান-মেধা সবকিছুই তাঁরই দান। জীবন ও মৃত্যুর রহস্য তাঁরই হাতে। মরদেহের মৃত্যুই জীবনের শেষ কথা নয়। ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী জীবন। এই পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী জীবনকে পরকালের ‘শিক্ষানবীশ কাল’ (Probationary Period) বলা যায়। পরকালের অনন্ত জীবনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সময় হচ্ছে পৃথিবীর এই জীবন। এই জীবন শেষে আল্লাহ্‌র কাছেই ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ্‌ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব করে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টিকে মানুষের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আলোচ্য আয়াতে এ তথ্যের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। এর দ্বারা বোঝা যায় যে পৃথিবীতে এমন কোন বস্তু নাই যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষের উপকার সাধন করে না। পৃথিবীর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীব থেকে বিরাট মহাবিশ্ব সবই তাঁর সৃষ্টি। মহাবিশ্বের আয়তন ধারণা করা মানুষের পক্ষে অসম্ভব। এই মহাকাশকে আল্লাহ্‌ সপ্ত আকাশে ভাগ করেছেন। ভবিষ্যতের বিজ্ঞানই হয়তো এই সপ্ত আকাশের সন্ধান দেবে। এখানে সপ্ত আকাশ হয়তো আল্লাহ্‌ সাতটি গ্যালাক্সির বা ছায়াপথের সন্ধান দিচ্ছেন-যেখানে আমাদের বিজ্ঞান বিশ্বজগতের শুধুমাত্র এক আকাশ বা একটি ছায়াপথের সন্ধান দেয়। ভবিষ্যতের বিজ্ঞান আমাদের এই রহস্যের সমাধান দেবে। স্রষ্টার সৃষ্টি বিশাল এবং সুক্ষ্ম কৌশল এবং জ্ঞানে ভরা। তার সৃষ্টির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাঁর সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য ও জ্ঞান আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে ধারণা করাও অসম্ভব। সেই স্রষ্টাকে ইচ্ছাকৃতভাবে যারা অস্বীকার করে তাদের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি (Spiritual Faculty) আস্তে আস্তে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যায়।