তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, আর তাদের পরে অন্য অনেক দল ও প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ পয়গম্বরকে আক্রমণ করার ইচ্ছা করেছিল এবং তারা মিথ্যা বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়েছিল, যেন সত্যধর্মকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। কেমন ছিল আমার শাস্তি।
But (there were people) before them, who denied (the Signs),- the People of Noah, and the Confederates (of Evil) after them; and every People plotted against their prophet, to seize him, and disputed by means of vanities, therewith to condemn the Truth; but it was I that seized them! and how (terrible) was My Requital!
كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَالْأَحْزَابُ مِن بَعْدِهِمْ وَهَمَّتْ كُلُّ أُمَّةٍ بِرَسُولِهِمْ لِيَأْخُذُوهُ وَجَادَلُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ فَأَخَذْتُهُمْ فَكَيْفَ كَانَ عِقَابِ
Kaththabat qablahum qawmu noohin waal-ahzabu min baAAdihim wahammat kullu ommatin birasoolihim liya/khuthoohu wajadaloo bialbatili liyudhidoo bihi alhaqqa faakhathtuhum fakayfa kana AAiqabi
YUSUFALI: But (there were people) before them, who denied (the Signs),- the People of Noah, and the Confederates (of Evil) after them; and every People plotted against their prophet, to seize him, and disputed by means of vanities, therewith to condemn the Truth; but it was I that seized them! and how (terrible) was My Requital!
PICKTHAL: The folk of Noah and the factions after them denied (their messengers) before these, and every nation purposed to seize their messenger and argued falsely, (thinking) thereby to refute the Truth. Then I seized them, and how (awful) was My punishment.
SHAKIR: The people of Nuh and the parties after them rejected (prophets) before them, and every nation purposed against their messenger to destroy him, and they disputed by means of the falsehood that they might thereby render null the truth, therefore I destroyed them; how was then My retribution!
KHALIFA: Disbelieving before them were the people of Noah, and many other opponents after them. Every community persecuted their messenger to neutralize him. And they argued with falsehood, to defeat the truth. Consequently, I punished them; how terrible was My retribution!
০৫। ইহাদের পূর্বে নূহের দল এবং তার পরে [ অসৎ ] সম্প্রদায়েরা ছিলো , যারা [ নিদর্শন সমূহ ] অস্বীকার করেছিলো ৪৩৬১। এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের রাসুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো, তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য এবং অহংকারের সাথে বির্তক করেছিলো সত্যকে অনুপযুক্ত ঘোষণা করার জন্য ৪৩৬২। কিন্তু আমিই তাদের পাকড়াও করেছিলাম। এবং কি [ ভয়াবহ ] হয়েছিলো আমার প্রতিশোধ ৪৩৬৩।
৪৩৬১। দেখুন আয়াত [৩৮ : ১১ – ১৩ ] ও টিকা ৪১৫৮। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে যুগে যুগে মন্দ সর্বদা ভালো ও সত্যকে প্রতিহত করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র প্রেরিত সত্যের বিজয় হয়েছে। আল্লাহ্র প্রেরিত সত্যের বিরুদ্ধে বা এ সত্যকে যারা প্রচার করেন সে সব নবী ও রসুলদের বিরুদ্ধে বা আল্লাহ্র সুদূর প্রসারিত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এসব অশুভ ও মন্দ শক্তির সমগ্র প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
৪৩৬২। পৃথিবীতে আল্লাহ্ যখনই জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য অত্যাবশকীয় সত্যকে প্রেরণ করেছেন বা পুরাতন প্রচারিত সত্যের বাণীকে পূনর্জীবিত করেছেন যুগে যুগে সে বাণী প্রচারে বাধা প্রাপ্ত হয়েছে। অজ্ঞ ও স্বার্থে অন্ধ ব্যক্তিরা সর্বদা সত্যের বিরুদ্ধে অসাড় তর্ক বির্তকে লিপ্ত হয়। তারা এসব মিথ্যা বাক্ -বিতন্ডার দ্বারা সত্যের দীপ্তিকে ম্লান করে দিতে বদ্ধপরিকর। তাদের ধারণা এর দ্বারা তারা আল্লাহ্র পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম হবে। কিন্তু তারা ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী। অনেক সময়ে দেখা যায় অন্যায় বা অসত্য তাদের কূটকৌশল ও দুষ্ট বুদ্ধির সাহায্যে ক্ষণস্থায়ী বিজয় অর্জনে সক্ষম হয়; সত্যকে দমিত করতে সক্ষম হয়, কিন্তু তা খুবই ক্ষণস্থায়ী , কারণ সময়ের বৃহত্তর পরিসরে সত্য প্রকাশিত হবেই এবং তা প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন অন্যায়কারীদের মিথ্যা পরিকল্পনা ধূলিসাৎ হতে বাধ্য। তারা তাদের নিজেদের ফাঁদে নিজেরা ধৃত হয়ে পড়ে। শয়তানের ফাঁদে ধৃত হওয়ার শাস্তি ভয়ানক।
উপদেশ : পৃথিবীতে কোনও সৎ বা ভালো কাজ প্রথমেই অভিনন্দিত হবে না। মানুষরূপী শয়তান তাতে বাধা প্রদান করবেই। তবে আল্লাহ্ আমাদের সুসংবাদ দান করেছেন যে, এতে নিরাশ হওয়ার কিছু নাই। শেষ পর্যন্ত প্রকৃত সৎকর্ম প্রতিষ্ঠিত হবেই ,যা ন্যায় ও সত্য ,মানুষের জন্য যা মঙ্গলজনক তা ধ্বংস করার ক্ষমতা কারও নাই।
৪৩৬৩। দেখুন আয়াত [ ১৩ : ৩২ ]।