1 of 3

037.103

যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
So when they had both submitted their wills (to Allah., and he had laid him prostrate on his forehead (for sacrifice),

فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ
Falamma aslama watallahu liljabeeni

YUSUFALI: So when they had both submitted their wills (to Allah), and he had laid him prostrate on his forehead (for sacrifice),
PICKTHAL: Then, when they had both surrendered (to Allah), and he had flung him down upon his face,
SHAKIR: So when they both submitted and he threw him down upon his forehead,
KHALIFA: They both submitted, and he put his forehead down (to sacrifice him).

১০৩। সুতারাং যখন তারা উভয়েই [আল্লাহ্‌র নিকট ] আত্মসমর্পন করলো ৪১০০ এবং ইব্রাহীম তাঁকে মাথা মাটিতে রেখে শায়িত করলো [ কুরবানীর জন্য ] ৪১০১ ,-

৪১০০। “উভয়েই [ আল্লাহ্‌র নিকট ] আত্মসমর্পন করলো ” – এই বাক্যটির অর্থ হযরত ইব্রাহীম ও হযরত ইসমাঈল উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করিলেন। হযরত ইব্রাহীম ও ইসমাঈলের জন্য এই আনুগত্য ছিলো পরীক্ষা স্বরূপ। পিতার জন্য পরীক্ষাটি ছিলো স্বপ্নাদেশ পালন করা। স্নেহময় পিতা পিতৃস্নেহের উর্দ্ধে আল্লাহ্‌র আদেশকে স্থান দান করেন এবং পুত্রের নিকট স্বপ্নের আদেশ বর্ণনা করেন। পুত্র ইসমাঈল কোনওরূপ ইতঃস্ততঃ না করে নিজ জীবনকে কোরাবানী করার জন্য সম্মতি দান করেন। যদি আল্লাহ্‌ তাঁর নিকট এই আত্মত্যাগ দাবী করেন তবে তিনি তা করার জন্য প্রস্তুত। স্নেহময় পিতার নিকট পুত্রের জীবন কোরবানী দাবী এ সবই হচ্ছে আল্লাহ্‌র পরীক্ষা। কোরবানীর সম্পূর্ণ বিষয়বস্তুই হচ্ছে প্রতীকধর্মী। আল্লাহ্‌র নিকট রক্ত ও মাংসের কোনও মূল্য নাই [ ২২ : ৩৭ ]। কিন্তু আল্লাহ্‌ আমাদের নিকট আনুগত্য ও আত্মসমর্পনকে দাবী করেন যা বাহ্যিকভাবে প্রিয়তম বস্তুকে আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে নিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। পশু কোরবানী হচ্ছে প্রতীক যার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে যে প্রয়োজনে আল্লাহ্‌র প্রতি কর্তব্য কর্মে যদি প্রয়োজন হয়, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতেও আমরা কুণ্ঠা বোধ করবো না।

৪১০১। মুসলিম ও ইহুদী , খৃষ্টানদের মধ্যে কোরবানীর তথ্য ও বিবরণে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ইহুদী খৃষ্টানেরা কোরবানীর মাহত্ম্য ও আত্মত্যাগকে ইসাহাকের জন্য আরোপ করতে প্রয়াসী [ Gen 22 : 1-18]। কিন্তু তাদের ধর্মগ্রন্থ বর্ণনা করে যে, ইব্রাহীমের বয়স যখন ১০০ বৎসর তখন ইসাহাকের জন্ম হয় [Gen 21: 5 ] । এবং ইব্রাহীমের বয়স যখন ৮৬ বৎসর তখন ইসমাঈলের জন্ম হয় [ 16 : 16 ] । তাদের বর্ণনা অনুযায়ী ইসমাঈল , ইসাহাক অপেক্ষা চৌদ্দ [ ১৪ ] বৎসরের বড়। সুতারাং হযরত ইসমাঈলের জীবনের প্রথম চৌদ্দ বৎসর তিনি ছিলেন ইব্রাহীমের একমাত্র সন্তান। এ কথা স্বীকার করার পরেও ওল্ড টেস্টামেন্ট কোরবানীর আত্মত্যাগকে নিম্নলিখিত ভাবে বর্ণনা করে থাকে। [ Gen 22 : 2 ] “And He said , Take now thy son, there only son Issac, whom thou lovest , and get thee into the land of Moriah : and offer him there for a burnt offering …” ধর্ম বিকৃত করে নিজস্ব গোষ্ঠিভূত করার এ এক অপচেষ্টা। একদিকে তারা স্বীকার করছে যে ইব্রাহীম যে সন্তানকে কোরবানী দেন তিনি ছিলেন তার একমাত্র সন্তান। অপরদিকে তারা কোরবানীর পাত্র হিসেবে হযরত ইব্রাহীমের ছোট সন্তান হযরত ইসাহাককে সনাক্ত করে কারণ ইহুদী -খৃষ্টানেরা ইসাহাকের বংশধর। ‘Land of Moriah’ মরিয়ার অবস্থান সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। মরিয়ার অবস্থান সম্পর্কে বলা হয় তা হচ্ছে হযরত ইব্রাহীম যেখানে অবস্থান করতেন সেস্থান থেকে তিন দিনের পথ [ Gen 22: 8 ] । ইহুদীদের দাবী অনুযায়ী জেরুজালেম শহর যা পরবর্তীতে মরিয়া পাহাড়ের উপরে নির্মিত হয় যেখানে ইসাহাককে কোরবানী করা হয়। সুমলমানদের বিশ্বাস হযরত ইসমাঈলকে কোরবানী দেয়া হয় ‘মারওয়া ‘ পাহাড়ের নিকট। এবং সেটাই যুক্তিযুক্ত। কারণ বিবি হাজেরা সহ ইসমাঈলকে সেখানেই নির্বাসন দেয়া হয়। ইহুদীদের বর্ণিত মরিয়া পাহাড়ে যাওয়ার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই।