বলুন, নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল থেকে কে তোমাদের কে রিযিক দেয়। বলুন, আল্লাহ। আমরা অথবা তোমরা সৎপথে অথবা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছি ও আছ?
Say (O Muhammad SAW to these polytheists, pagans, etc.) ”Who gives you provision from the heavens and the earth?” Say: ”Allâh, And verily, (either) we or you are rightly guided or in a plain error.”
قُلْ مَن يَرْزُقُكُم مِّنَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ قُلِ اللَّهُ وَإِنَّا أَوْ إِيَّاكُمْ لَعَلَى هُدًى أَوْ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
Qul man yarzuqukum mina alssamawati waal-ardi quli Allahu wa-inna aw iyyakum laAAala hudan aw fee dalalin mubeenin
YUSUFALI: Say: “Who gives you sustenance, from the heavens and the earth?” Say: “It is Allah; and certain it is that either we or ye are on right guidance or in manifest error!”
PICKTHAL: Say: Who giveth you provision from the sky and the earth? Say: Allah, Lo! we or you assuredly are rightly guided or in error manifest.
SHAKIR: Say: Who gives you the sustenance from the heavens and the earth? Say: Allah. And most surely we or you are on a right way or in manifest error
KHALIFA: Say, “Who provides for you, from the heavens and the earth?” Say, “GOD,” and “Either we or you are guided, or have gone far astray.”
২৪। বল ” কে তোমাদের আকাশ ও পৃথিবী থেকে জীবনোপকরণ দান করে থাকেন?” ৩৮২৭ বল, ” আল্লাহ! এবং এটা নিশ্চিত যে , হয় আমরা না হয় তোমরা সঠিক পথে অথবা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছ। ” ৩৮২৮।
৩৮২৭। পরবর্তী ছয়টি আয়াতের বক্তব্য “বল’ এই শব্দটি দ্বারা শুরু হয়েছে। আয়াতগুলি হচ্ছে ২২, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, এবং ৩০। ২২নং আয়াতে আল্লাহ্র একত্বের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, ২৪নং আয়াতে আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও দয়া , ২৫ নং আয়াতে মানুষের ব্যক্তিগত দায়িত্ব , শেষ বিচারের দিন সম্পর্কে বলা হয়েছে ২৬ নং আয়াতে, ২৭ নং আয়াতে আল্লাহ্র ক্ষমতা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা, এবং ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে মৃত্যুর পরে কেয়ামতের দিনের বিচার সম্বন্ধে , যা অবশ্যাম্ভবী এবং যেদিন ভালো, মন্দ, ন্যায়-অন্যায় প্রতিটি জিনিষের প্রকৃত মূল্যায়ন হবে।
৩৮২৮। ভালো, মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পূণ্য এক সাথে থাকতে পারে না। এ ব্যাপারে ভালোর সাথে মন্দের, ন্যায়ের সাথে অন্যায়ের , পাপের সাথে পূণ্যের কোনও আপোষ হতে পারে না। তবে সংসারে অমিশ্র ভালো বা অমিশ্র মন্দ দেখা যায় না। সাধারণ মানুষের মাঝে ভালো ও মন্দের সংমিশ্রণ দেখা যায়। এবং আমাদের মানুষের এই দোষ ত্রুটি মেনে নিয়েই জীবনের পথ অতিক্রম করতে হয়। অবশ্য তার মানে এই নয় যে, আমাদের একই সাথে আল্লাহ্ ও অপদেবতার এবাদত করতে হবে। জীবনের কোনও অবস্থাতেই আল্লাহ্র সাথে কোনও কিছুকেই শরীক করা চলবে না। ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পূণ্যের অবস্থান পরস্পর বিপরীত মেরুতে। আলো যেরূপ অন্ধকারের বিপরীত অবস্থানে থাকে, ঠিক সেরূপ ন্যায়ের অবস্থান অন্যায়ের বিপরীত মেরুতে। আলো ও অন্ধকারের উপমা দেয়া হলো কারণ অন্ধকারের গভীরতা ও আলোর ঔজ্জ্বল্য সব সময়ে এক সাথে থাকে না। উদাহরণ স্বরূপ বলে চলে যে মেঘে আবৃত তারাবিহীন কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির অন্ধকার এবং মেঘশূন্য আকাশের তারার আলোতে উদ্ভাসিত রাত্রির অন্ধকার এক নয়। আবার সূর্যের প্রথম আলোর ঔজ্জ্বল্য ও মধ্যাহ্ন সূর্যের দীপ্তি এক নয়। ঠিক সেরূপ আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো সবার নিকট সমভাবে উদ্ভাসিত হয় না। যার আধ্যাত্মিক দৃষ্টি যত স্বচ্ছ সে তত বেশী গভীরভাবে এই আলোর দীপ্তি অনুভবে সক্ষম।
এই সব আয়াতে সুস্পষ্ট প্রমাণদির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে, আল্লাহ্ই স্রষ্টা, মালিক, এবং সর্বশক্তিমান। বর্ণনা করা হয়েছে পাপ ও পূণ্যের মধ্যে পার্থক্য। সুতারাং যে বিজ্ঞ সে নিজেই চিনে নেবে সে ভ্রান্ত পথে না সৎ পথে স্থিত হয়েছে।