1 of 3

022.007

এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন।
And surely, the Hour is coming, there is no doubt about it, and certainly, Allâh will resurrect those who are in the graves.

وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَن فِي الْقُبُورِ
Waanna alssaAAata atiyatun la rayba feeha waanna Allaha yabAAathu man fee alquboori

YUSUFALI: And verily the Hour will come: there can be no doubt about it, or about (the fact) that Allah will raise up all who are in the graves.
PICKTHAL: And because the Hour will come, there is no doubt thereof; and because Allah will raise those who are in the graves.
SHAKIR: And because the hour is coming, there is no doubt about it; and because Allah shall raise up those who are in the graves.
KHALIFA: And that the Hour is coming, no doubt about it, and that GOD resurrects those who are in the graves.

০৭। এ সম্বন্ধে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই যে, কিয়ামত অবশ্যই আসবে, অথবা যারা কবরে আছে তাদের সকলকে আল্লাহ্‌ উত্থিত করবেন।

০৮। তথাপি মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আছে যাদের কোন জ্ঞান নাই , কোন পথ নির্দ্দেশ নাই, কোন দীপ্তিমান কিতাব নাই, কিন্তু [ তা সত্ত্বেও ] তারা আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে বির্তক করে ২৭৭৯;-

২৭৭৯। ‘দীপ্তিমান কিতাব ‘। দেখুন আয়াত [ ৩ : ১৮৪ ] এবং টিকা ৪৯০। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে জ্ঞান শব্দটি পার্থিব জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মানুষ বিদ্যা শিক্ষার মাধ্যমে , বুদ্ধির ব্যবহারের মাধ্যমে যে জাগতিক জ্ঞান লাভ করে তাকেই জ্ঞান শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে। ‘পথ নির্দ্দেশ ‘ শব্দটি দ্বারা স্বর্গীয় হেদায়েতকে বোঝানো হয়েছে যা আল্লাহ্‌র তরফ থেকে সরাসরি আগত অথবা তার নবী রসুলদের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, অথবা স্বর্গীয় প্রত্যাদেশ যা ওহীর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, এবং “Book of Enlightenment” বা “দীপ্তিমান কিতাব অর্থ নৈতিক মূল্যবোধ পরিচালনার ভিত্তিস্বরূপ যে কিতাব। সৎ চরিত্রের ভিত্তি স্বরূপ যে নৈতিক মালা , যার অনুসরণে মানুষ পবিত্র ও সৎ চরিত্রের অধিকারী হয় তা যে গ্রন্থ ধারণ করে। দীপ্তিমান কিতাব হচ্ছে সেই গ্রন্থ যার মধ্যে আছে চরিত্রের মাধুর্য ও গুণের উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর পথের নিশানা। আর এই স্বর্গীয় পথের নিশানাকে যিনি দেখিয়ে দেন বা নির্দ্দেশ করেন বা চিনিয়ে দেন সেই সব আল্লাহ্‌র নবী ও রাসুলেরা হচ্ছে “পথ নির্দ্দেশ।” কোর-আনকে দীপ্তিমান কিতাব বলা হয় কারণ এই সেই গ্রন্থ যার মধ্যে আছে চরিত্রের মাধুর্য ও গুণের উৎকর্ষ সাধন করে সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর পথের নিশানা। কোর-আনের মূল নির্দ্দেশ হচ্ছে চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করার উপায় সমূহ , যার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব। পাপে নিমজ্জিত আত্মা আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য লাভে বঞ্চিত হয়। যে আত্মা গুণান্বিত ও আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য লাভে ধন্য সেই তো আলোকিত আত্মা। সেদিক থেকে ” দীপ্তিমান কিতাব ” কথাটি অত্যন্ত প্রযোজ্য।