1 of 3

022.037

এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।
It is neither their meat nor their blood that reaches Allâh, but it is piety from you that reaches Him. Thus have We made them subject to you that you may magnify Allâh for His Guidance to you. And give glad tidings (O Muhammad SAW) to the Muhsinûn (doers of good).

لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِن يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ
Lan yanala Allaha luhoomuha wala dimaoha walakin yanaluhu alttaqwa minkum kathalika sakhkharaha lakum litukabbiroo Allaha AAala ma hadakum wabashshiri almuhsineena

YUSUFALI: It is not their meat nor their blood, that reaches Allah: it is your piety that reaches Him: He has thus made them subject to you, that ye may glorify Allah for His Guidance to you and proclaim the good news to all who do right.
PICKTHAL: Their flesh and their food reach not Allah, but the devotion from you reacheth Him. Thus have We made them subject unto you that ye may magnify Allah that He hath guided you. And give good tidings (O Muhammad) to the good.
SHAKIR: There does not reach Allah their flesh nor their blood, but to Him is acceptable the guarding (against evil) on your part; thus has He made them subservient to you, that you may magnify Allah because He has guided you aright; and give good news to those who do good (to others).
KHALIFA: Neither their meat, nor their blood reaches GOD. What reaches Him is your righteousness. He has subdued them for you, that you may show your appreciation by glorifying GOD for guiding you. Give good news to the charitable.

৩৭। আল্লাহ্‌র নিকট ইহাদের গোশ্‌ত বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না বরং পৌঁছায় তোমাদের [আল্লাহ্‌র ] প্রতি অনুরাগ। এভাবেই তিনি ইহাদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যেনো তোমরা আল্লাহ্‌র মহিমা কীর্তন করতে পার, এজন্য যে তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন ২৮১৫। যারা সৎ কাজ করে তুমি তাদের সুসংবাদ দাও।

৩৮। অবশ্যই আল্লাহ্‌ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন। তিনি কোন বিশ্বাসঘাতক ও অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।

২৮১৫। আল্লাহ্‌র জন্য আত্মত্যাগের মর্মবাণী উদ্ধৃত করা হয়েছে টিকা ২৮১০। আল্লাহ্‌ এই বিশ্ব ভূবনের মালিক। কোরবাণীর পশুর রক্ত, মাংস কিছুই তার কাছে পৌঁছায় না। যা পৌঁছায় তা হচ্ছে বান্দার সৎকাজে আত্মোৎসর্গের নিয়ত। পৌত্তলিক এবং আরব মোশরেকরা সে যুগে দেব-দেবীর পূজা করতো প্রাণী বলি দ্বারা অর্থাৎ রক্ত দ্বারা দেব-দেবীর মনোরঞ্জন করা হতো। এটা ছিলো তাদের নিজস্ব কল্পনা। যিনি পৃথিবীর স্রষ্টা, বিশ্ব বিধাতা তাঁর তো সৃষ্ট পদার্থের রক্তের প্রয়োজন নাই। তিনি তো অভাবমুক্ত। তিনি চান ভক্তের আকুল আকুতি , ভালোবাসা ,ভক্তি ও শ্রদ্ধার ডালি এবং আল্লাহ্‌র জন্য আত্মোৎসর্গ। ভক্তের এই প্রাণের ভালোবাসার প্রকাশের জন্য আনুষ্ঠানিক যে ব্যবস্থা তাই হচ্ছে পশু কোরবাণী। আত্মোৎসর্গের প্রতীক হচ্ছে কোরবাণী যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় হযরত ইব্রাহীমের সর্বোচ্চ আত্মাত্যাগের কাহিনী। একমাত্র মনের এই আত্মত্যাগের মহত্তম দিকটি আনুষ্ঠানিক কর্মের মাধ্যমে প্রকাশের জন্যই পশু হত্যার নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে এবং সেই কারণেই কোরবাণীর পশুর উপরে আল্লাহ্‌র নামে কোরবাণী দেওয়ার নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে। অন্যথায় জীবনের পবিত্রতা ও মহার্ঘতা আমরা বিস্মৃত হতাম। আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনার মাধ্যমে পশু জবেহ্‌ করার হুকুম কারণ আল্লাহ্‌র করুণার পরিবর্তে আমরা খাদ্য সংগ্রহ করি পশু হত্যার মাধ্যমে। এই আনুষ্ঠানিকতা আমাদের উজ্জীবিত করে আল্লাহ্‌র করুণার প্রতি – যা মন থেকে পশু হত্যার নিষ্ঠুরতার দিকটি অবমূল্যায়ন করতে সক্ষম হয়। কোরবাণীর পশুর দুই -তৃতীয়াংশ গরীবদের মাঝে ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ ভাবেই কোরবাণীর প্রতীককে মানবতার সেবার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। নিজস্ব কিছু গরীব ও আত্মীয়দের জন্য আত্মত্যাগের মনোভাবই হচ্ছে কোরবাণীর মূল সুর। চরিত্রের মাঝে এই দুলর্ভ গুণরাজির প্রকাশই হচ্ছে কোরবাণীর আত্মত্যাগের নির্যাস। স্রষ্টার নিকট আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে হয় এ জন্য যে আল্লাহ্‌ আমাদের দূর্লভ চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করার সুযোগ দান করেছেন, আমাদের পথের নির্দ্দেশনা দান করেছেন। আমাদের জাতীয় জীবনে আজকে বহু লোককে দেখা যায় যারা কোরবাণীর এই মহৎ শিক্ষা থেকে দূরে সরে গেছে। যারা কোরবাণীর মাধ্যমে অর্থ বিত্তের প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতা করে। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং আত্মত্যাগ, কোরবাণীর এই মহৎ শিক্ষাকে জাতীয় জীবনে জাগরিত করা সকলের কর্তব্য।