যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।
And, when they are admonished, pay no heed,-
وَإِذَا ذُكِّرُوا لَا يَذْكُرُونَ
Wa-itha thukkiroo la yathkuroona
YUSUFALI: And, when they are admonished, pay no heed,-
PICKTHAL: And heed not when they are reminded,
SHAKIR: And when they are reminded, they mind not,
KHALIFA: When reminded, they take no heed.
১৩। এবং যখন তাদের উপদেশ দেয়া হয়, তারা তা গ্রহণ করে না ,-
১৪। এবং যখন তারা কোন নিদর্শন দেখে , তারা তা নিয়ে উপহাস করে।
১৫। এবং বলে, ” এটা তো সুস্পষ্ট যাদু ব্যতীত কিছু নয়।”
১৬। ” কি ! যখন আমরা মরে যাব এবং ধূলি ও অস্থিতে রূপান্তরিত হব, [ তখনও ] কি আমাদের [পুণরায় ] উত্থিত করা হবে ?
১৭। ” এবং আমাদের পূর্বপুরুষদেরও ? ” ৪০৪৩
৪০৪৩। অবিশ্বাসীদের মানসিক অবস্থাকে এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষকে আল্লাহ্ পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির করে সৃষ্টি করেছেন। দৈহিক উপাদানে যদিও সে অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে আলাদা নয় , কিন্তু বুদ্ধিমত্তা ও আধ্যাত্মিক জগতে, সে সকল সৃষ্ট পদার্থ থেকে শ্রেষ্ঠ। একমাত্র তাঁর জন্যই মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নির্ধারিত। মানুষের ভিতরে দুটো পরস্পর বিরোধী শক্তি কাজ করে। মাটির তৈরী নশ্বর দেহ পার্থিব বিষয়বস্তু , আরাম আয়েশের কাঙ্গাল। অপরপক্ষে মানুষের আত্মা যা পরমাত্মার অংশ, তা আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য ব্যগ্র। যখন জাগতিক বিষয়বস্তু প্রাধান্য বিস্তার করে, আত্মার বিকাশ ব্যহত হয়। সে কারণেই যারা অত্যন্ত বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন তারা পরলোকের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে থাকে। তারা অনুভবে অক্ষম যে দৈহিক মৃত্যুর পরেও তাদের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকবে। বহু পূর্বে তাদের যে সব পূর্ব পুরুষ গত হয়েছে তাদের আবার পুণরুজ্জীবিত করা হবে। কি ভাবে তা সম্ভব ?