আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে এবাদতের একটি নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি, যা তারা পালন করে। অতএব তারা যেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক না করে। আপনি তাদেরকে পালনকর্তার দিকে আহবান করুন। নিশ্চয় আপনি সরল পথেই আছেন।
For every nation We have ordained religious ceremonies [e.g. slaughtering of the beast of cattle during the three days of stay at Mîna (Makkah) during the Hajj (pilgrimage)] which they must follow; so let them (pagans) not dispute with you on the matter (i.e. to eat of the cattle which you slaughter, and not to eat of cattle which Allâh kills by its natural death), but invite them to your Lord. Verily! You (O Muhammad SAW) indeed are on the (true) straight guidance. (i.e. the true religion of Islâmic Monotheism).
لِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكًا هُمْ نَاسِكُوهُ فَلَا يُنَازِعُنَّكَ فِي الْأَمْرِ وَادْعُ إِلَى رَبِّكَ إِنَّكَ لَعَلَى هُدًى مُّسْتَقِيمٍ
Likulli ommatin jaAAalna mansakan hum nasikoohu fala yunaziAAunnaka fee al-amri waodAAu ila rabbika innaka laAAala hudan mustaqeemin
YUSUFALI: To every People have We appointed rites and ceremonies which they must follow: let them not then dispute with thee on the matter, but do thou invite (them) to thy Lord: for thou art assuredly on the Right Way.
PICKTHAL: Unto each nation have We given sacred rites which they are to perform; so let them not dispute with thee of the matter, but summon thou unto thy Lord. Lo! thou indeed followest right guidance.
SHAKIR: To every nation We appointed acts of devotion which they observe, therefore they should not dispute with you about the matter and call to your Lord; most surely you are on a right way.
KHALIFA: For each congregation, we have decreed a set of rites that they must uphold. Therefore, they should not dispute with you. You shall continue to invite everyone to your Lord. Most assuredly, you are on the right path.
৬৬। তিনিই তোমাদের জীবন দান করেছেন ও মৃত্যু ঘটাবেন এবং পুণরায় তোমাদের জীবন দান করবেন। সত্যই, মানুষ এক অতি অকৃতজ্ঞ প্রাণী।
৬৭। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমি ধর্মীয় আচার – অনুষ্ঠান নির্ধারিত করেছি ২৮৪৮, যা অবশ্যই তারা অনুসরণ করবে। সুতারাং তারা যেনো এই ব্যাপারে তোমার সাথে বির্তক না করে। কিন্তু তুমি [ তাদের ] তোমার প্রভুর দিকে আহ্বান কর। অবশ্যই তুমি সঠিক পথে রয়েছ।
২৮৪৮। এই আয়াতের অর্থ এই যে, মুশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলামী শরীয়তের বিধানকারীর বিরুদ্ধে তর্ক-বির্তক শুরু করে। আল্লাহ্ প্রত্যেক উম্মতকে তার সময়ের উপযোগী বিশেষ শরীয়ত বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও কিতাব দিয়েছেন। আল্লাহ্র নিকট থেকে পরবর্তী নির্দ্দেশ না আসা পর্যন্ত তা তাদের জন্য বৈধ ছিলো। রসুলের (সা) আগমনে তাদের অনুধাবন করা উচিত ছিলো যে নূতন বিধান সকলের জন্য প্রযোজ্য। কিণ্তু তারা তা করে না কারণ সাধারণ মানুষ ধর্মের মূল বিষয় অপেক্ষা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করে। এ কথা সত্যি যে, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য, সংঘবদ্ধ জীবন ধারণের জন্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও লৌকিকতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ এসব আনুষ্ঠানিকতার প্রভাব সমাজ জীবনে ও ব্যক্তিজীবনে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। যদিও এসব আনুষ্ঠানিকতা ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতীক স্বরূপ, তবুও অনেক সময়ে দেখা যায় সাধারণ মানুষ ধর্মের গুঢ় অন্তর্নিহিত শিক্ষাকে অনুধাবনের পরিবর্তে এ সব বাহ্যিক আনুষ্ঠানিকতাকে ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে এবং তর্ক-বির্তক ও বাক্-বিতন্ডা শুরু করে। এ কথা রসুলের সময়ে মোশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের জন্য যেমন প্রযোজ্য ছিলো, আজও তা সমভাবে প্রযোজ্য। এ সব বাদানুবাদ ও তর্ক-বিতর্ক অবশ্যই নিন্দার্হ। কিণ্তু তাই বলে এ কথা বলা যাবে না যে, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নাই বা এগুলি অর্থহীন। ইসলামের দৃষ্টিতে সংঘবদ্ধ জীবনের জন্য, সামাজিক একতার জন্য এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ বিকাশের জন্য এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও লৌকিকতার প্রয়োজন সমাধিক। এখানেই প্রয়োজন হবে মানুষের অন্তর্দৃষ্টি এবং বিবেকের। আনুষ্ঠানিকতা ও লৌকিকতা যেনো ধর্মীয় মূল্যবোধকে অতিক্রম না করে যায়। আর তা করেছিলো দেখেই মোশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা রসুলের (সা) প্রচারিত দ্বীনের আনুষ্ঠানিকতার সৌন্দর্যকে উপলদ্ধি করতে পারে নাই। ইসলামে এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সমূহ এমনভাবে আরোপ করা হয়েছে যা মানুষের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক বিকাশের সহায়ক। এই আয়াতে রসুলকে (সা) আল্লাহ্ নির্দ্দেশ দিয়েছেন সমগ্র মানব গোষ্ঠিকে দ্বীনের প্রতি আহ্বান করার জন্য। এই আহ্বানের বার্তা এখন পর্যন্ত প্রযোজ্য। যদি আমরা আমাদের বিবেক থেকে জানি যে আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও লৌকিকতাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছি, তবে সকলকে আমরা আমাদের সংঘবদ্ধ জীবনে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে দ্বিধা করবো না। সকলকে জানাতে হবে যে, বাদানুবাদ বা র্তক-বির্তক নয়, আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বৃহত্তর ও মহত্তর জীবনের সন্ধান লাভ করাই হচ্ছে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মূল উদ্দেশ্য।