1 of 3

041.052

বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, অতঃপর তোমরা একে অমান্য কর, তবে যে ব্যক্তি ঘোর বিরোধিতায় লিপ্ত, তার চাইতে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে?
Say: ”Tell me, if it (the Qur’ân) is from Allâh, and you disbelieve in it, who is more astray than one who is in opposition far away (from Allâh’s Right Path and His obedience).

قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِن كَانَ مِنْ عِندِ اللَّهِ ثُمَّ كَفَرْتُم بِهِ مَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ هُوَ فِي شِقَاقٍ بَعِيدٍ
Qul araaytum in kana min AAindi Allahi thumma kafartum bihi man adallu mimman huwa fee shiqaqin baAAeedin

YUSUFALI: Say: “See ye if the (Revelation) is (really) from Allah, and yet do ye reject it? Who is more astray than one who is in a schism far (from any purpose)?”
PICKTHAL: Bethink you: If it is from Allah and ye reject it – Who is further astray than one who is at open feud (with Allah)?
SHAKIR: Say: Tell me if it is from Allah; then you disbelieve in it, who is in greater error than he who is in a prolonged opposition?
KHALIFA: Proclaim: “What if this is truly from GOD, then you decide to reject it? Who are farther astray than those who decide to oppose this?”

৫২। বল, ” তোমরা কি ভেবে দেখেছ ৪৫২৪-ক , যদি [ এই প্রত্যাদেশ প্রকৃতই ] আল্লাহ্‌র নিকট থেকে অবতীর্ণ হয়ে থাকে, অথচ তোমরা ইহা প্রত্যাখান কর ?তবে তার চেয়ে অধিক পথভ্রান্ত কে আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচারণে বহুদূরে চলে যায় ? ৪৫২৪-খ।”

৪৫২৪-ক। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্‌ মানুষকে আহ্বান করেছেন আত্ম অনুসন্ধানের জন্য। “কোরাণ পাঠ করে উপলব্ধির চেষ্টা কর; দেখ এর মাঝে অসাধারণ কিছু লক্ষ্য করতে পার কি না।” আন্তরিক ভাবে অর্থ বুঝে কোরাণ পাঠ করলে অবশ্যই আত্মার মাঝে কোরাণের বাণীর তাৎপর্যের উপলব্ধি ঘটবে। আত্মার মাঝে অনুসন্ধানের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশের সত্যকে উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে। যদি এর পরেও কেউ প্রত্যাদেশের সত্যকে প্রত্যাখান করে, চিন্তা করে দেখ কি ভয়ঙ্কর দায়িত্ব সে নিজ স্কন্ধে বহন করছে। কারণ নভোমন্ডল ও পৃথিবীতে কেউই আল্লাহ্‌র আইনের চুলমাত্র বিরোধিতা করে না। আল্লাহ্‌র সৃষ্টির প্রতিটি ধূলিকণা আল্লাহ্‌র আইনের প্রতি একান্ত আনুগত্য প্রকাশ করে থাকে। একমাত্র মানুষই এর ব্যতিক্রম। আল্লাহ্‌ তাকে “সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ” দান করেছেন, ভালোকে গ্রহণ ও মন্দকে বর্জন করার জন্য। যদি সে এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে , তবে সে গুরুদায়িত্ব তার একারই। এই দায়িত্বের বোঝা তার একাই বহন করতে হবে। সৃষ্টির কেউই যখন স্রষ্টার আইন লঙ্ঘন করে না তখন যে মানুষ ইচ্ছাকৃত ভাবে বিপথে গমন করে তার মত নির্বোধ আর কে আছে ?

৪৫২৪-খ। কোরাণের বাণী বিশ্বজনীন। পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য তা অবতীর্ণ। যদি কেউ আল্লাহ্‌র এই বিশ্বজনীন বাণীকে অমান্য করে এবং সার্বজনীন বিশ্বাস বা প্রত্যয়ের বিরুদ্ধাচারণ করে তাহলে সে নিজের কবর নিজে খুঁড়ছে। কারণ সে এক অন্ধকারময় ক্ষুদ্র ধর্মগোষ্ঠির অনুসারী হবে যারা হবে উদ্দেশ্যবিহীন। যারা ধর্মের আলোয় উদ্ভাসিত পৃথিবীতে বাসের যোগ্যতা হারাবে। তাদের মত বিভ্রান্ত আর কে আছে ?