002.165

আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর।
And of mankind are some who take (for worship) others besides Allâh as rivals (to Allâh). They love them as they love Allâh. But those who believe, love Allâh more (than anything else). If only, those who do wrong could see, when they will see the torment, that all power belongs to Allâh and that Allâh is Severe in punishment.

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللّهِ أَندَاداً يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللّهِ وَالَّذِينَ آمَنُواْ أَشَدُّ حُبًّا لِّلّهِ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُواْ إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلّهِ جَمِيعاً وَأَنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ
Wamina alnnasi man yattakhithu min dooni Allahi andadan yuhibboonahum kahubbi Allahi waallatheena amanoo ashaddu hubban lillahi walaw yara allatheena thalamoo ith yarawna alAAathaba anna alquwwata lillahi jameeAAan waanna Allaha shadeedu alAAathabi

YUSUFALI: Yet there are men who take (for worship) others besides Allah, as equal (with Allah): They love them as they should love Allah. But those of Faith are overflowing in their love for Allah. If only the unrighteous could see, behold, they would see the penalty: that to Allah belongs all power, and Allah will strongly enforce the penalty.
PICKTHAL: Yet of mankind are some who take unto themselves (objects of worship which they set as) rivals to Allah, loving them with a love like (that which is the due) of Allah (only) – those who believe are stauncher in their love for Allah – Oh, that those who do evil had but known, (on the day) when they behold the doom, that power belongeth wholly to Allah, and that Allah is severe in punishment!
SHAKIR: And there are some among men who take for themselves objects of worship besides Allah, whom they love as they love Allah, and those who believe are stronger in love for Allah and O, that those who are unjust had seen, when they see the chastisement, that the power is wholly Allah’s and that Allah is severe in requiting (evil).
KHALIFA: Yet, some people set up idols to rival GOD, and love them as if they are GOD. Those who believe love GOD the most. If only the transgressors could see themselves when they see the retribution! They will realize then that all power belongs to GOD alone, and that GOD’s retribution is awesome.

১৬৫। তথাপি কিছু লোক আছে যারা [এবাদতের জন্য] আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কিছুকে [আল্লাহ্‌র] সমকক্ষ রূপে গ্রহণ করে। আল্লাহ্‌কে যেরূপ ভালবাসা উচিত তারা এদের সেরূপ ভালবাসে। কিন্তু যারা ঈমান এনেছে, তারা আল্লাহ্‌র প্রতি ভালবাসায় সুদৃঢ়। পাপীদের যদি দেখার ক্ষমতা থাকতো তবে তারা শাস্তিকে প্রত্যক্ষ করতে পারতো। [তারা বুঝতো] সকল শক্তি [শুধুমাত্র] আল্লাহ্‌রই হাতে। আল্লাহ্‌ কঠোরভাবে শাস্তি বলবৎ করবেন ১৬৭।

১৬৭। আমাদের চারিপাশের বিশ্ব-জগতের দিকে আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলেই আমরা বুঝতে পারবো সমস্ত সৃষ্টিই এক স্রষ্টার সৃষ্টি। বিজ্ঞানের একই নিয়ম বা তত্ত্ব সকলেই অনুসরণ করে। তার করুণা ধারায় সকলেই সঞ্জীবিত। যারা বিশ্বাসী এবং পরহেজগার তারা সৃষ্টির সমস্ত কিছুর মধ্যেই স্রষ্টার অস্তিত্ব অনুভব করতে পারে। কিন্তু যারা অবিশ্বাসী তারা এই সহজ সত্যটি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়। অবিশ্বাসী এই অর্থে যে, তারা অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, অনেকে মুখে মুখে আল্লাহ্‌কে স্বীকার করে কিন্তু তাদের অন্তর অন্য জিনিষের বন্দনা করে, এরাও অবিশ্বাসীদের অন্তর্ভূক্ত। বিশ্বাসীদের অন্তর সর্বদা আল্লাহ্‌র প্রতি ভালবাসায় পরিপূর্ণ থাকে। তারা এই বিশ্বজগতের সব কিছুতেই আল্লাহ্‌র হাতের স্পর্শ অনুভব করে, তাঁর রহমতের সন্ধান পায়। কিন্তু অবিশ্বাসীদের অন্তরে বিভিন্ন জিনিষ পূজনীয় বিষয় হিসেবে স্থান পায়। এইসব পূজনীয় বিষয় যে সবসমযে মূর্তি বা বিগ্রহ হবে এমন কোনও কথা নাই। মূর্তি বা বিগ্রহকে যারা পূঁজা করে তাদের সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু এছাড়াও যে সব বস্তুকে অবিশ্বাসীরা আল্লাহ্‌র সমকক্ষরূপে পরিগণিত করে তাকে এভাবে বর্ণনা করা যায় –

(১) নিজের কাল্পনিক সৃষ্টিকে সে স্রষ্টার উপরে স্থান দেয়। যেমন-অনেক উচ্চ শিক্ষিত বুদ্ধিমান ব্যক্তি আছেন যারা নাস্তিক, তাদের উপাস্য হচ্ছে বিজ্ঞান বা শিল্প বা সাহিত্য। এর মাঝেই তারা আত্মার পরিপূর্ণতা খুঁজে পেতে চায়। তাদের ধ্যান ধারণা সবই নিজেকে ঘিরে, নিজের সৃষ্টিকে ঘিরে আবর্তিত হয়। সেখানে বিশ্ব স্রষ্টার কোনও স্থান নাই। তারা ভুলে যায় যে আল্লাহ্‌ তাকে বিশেষ নেয়ামতে ধন্য করেছেন মানুষের সেবা করার জন্য। এখানে আত্ম অহংকার বা আত্মপূঁজার কোনও স্থান নাই।

(২) আর এক ধরনের লোক আছে যারা আল্লাহ্‌র আসনে বসায় তাদের নেতাকে। এই নেতা রাজনৈতিক হতে পারে [যেমন-লেলিন ছিলেন কমুনিষ্ট সোভিয়েত রাশিয়ায়] আবার ধর্মীয় হতে পারে। এখানে ধর্মীয় নেতা অর্থাৎ আমাদের দেশের পীর পূঁজার সংস্কৃতির কথা বলতে চাচ্ছি। এই সব পীর তাদের ভক্তদের এক আল্লাহ্‌র আসন থেকে নিজেদের সেই আসনে অধিষ্ঠিত করেছে এবং ভক্তদের সব মুশকিল আসানের মালিক বলে দাবী করে। আবার আর এক ধরণের পৌত্তলিকতা আমাদের সমাজে আসন গেড়ে বসেছে তা হচ্ছে ‘মাজার পূঁজা’ আল্লাহ্‌র কাছে কোনও শুভকাজে অনুমতি না চেয়ে কোন বিপদে সাহায্য না চেয়ে মাজারে যেয়ে জিয়ারত করে শুভ কাজ শুরু করা হয় বা বিপদে সাহায্য চাওয়া হয়।
(৩) তৃতীয় আর এক ধরনের লোক আছে যারা শয়তানের পূঁজারী। এরা মানুষকে বিপথে পরিচালিত করে। ফলে এরা অন্যায়, অসত্যকে আকড়ে ধরে এবং এর দ্বারা ইহলৌকিক উন্নতিকে জীবনের পরম পাওয়া বলে গণ্য করে। কিন্তু আল্লাহ্‌ পরিষ্কার ভাবে বলেছেন যে মৃত্যুর পর প্রতিটি মানুষের জ্ঞান চক্ষু উন্মীলন করা হবে। তারা যাদের পূঁজা করতো সেই পূঁজনীয় বস্তু তার ভক্তদের ত্যাগ করবে।