029.038

আমি আ’দ ও সামুদকে ধ্বংস করে দিয়েছি। তাদের বাড়ী-ঘর থেকেই তাদের অবস্থা তোমাদের জানা হয়ে গেছে। শয়তান তাদের কর্মকে তাদের দৃষ্টিতে সুশোভিত করেছিল, অতঃপর তাদেরকে সৎপথ অবলম্বনে বাধা দিয়েছিল এবং তারা ছিল হুশিয়ার।
And ’Ad and Thamûd (people)! And indeed (their destruction) is clearly apparent to you from their (ruined) dwellings. Shaitân (Satan) made their deeds fair-seeming to them, and turned them away from the (Right) Path, though they were intelligent.

وَعَادًا وَثَمُودَ وَقَد تَّبَيَّنَ لَكُم مِّن مَّسَاكِنِهِمْ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ فَصَدَّهُمْ عَنِ السَّبِيلِ وَكَانُوا مُسْتَبْصِرِينَ
WaAAadan wathamooda waqad tabayyana lakum min masakinihim wazayyana lahumu alshshaytanu aAAmalahum fasaddahum AAani alssabeeli wakanoo mustabsireena

YUSUFALI: (Remember also) the ‘Ad and the Thamud (people): clearly will appear to you from (the traces) of their buildings (their fate): the Evil One made their deeds alluring to them, and kept them back from the Path, though they were gifted with intelligence and skill.
PICKTHAL: And (the tribes of) A’ad and Thamud! (Their fate) is manifest unto you from their (ruined and deserted) dwellings. Satan made their deeds seem fair unto them and so debarred them from the Way, though they were keen observers.
SHAKIR: And (We destroyed) Ad and Samood, and from their dwellings (this) is apparent to you indeed; and the Shaitan made their deeds fair-seeming to them, so he kept them back from the path, though they were endowed with intelligence and skill,
KHALIFA: Similarly, ‘Aad and Thamoud (were annihilated). This is made manifest to you through their ruins. The devil had adorned their works in their eyes, and had diverted them from the path, even though they had eyes.

৩৮। [ আরও স্মরণ কর ] আ’দ ও সামুদ [জাতির ] কথা ৩৪৫৯। [ তাদের ভাগ্য ] সুস্পষ্ট রূপে তোমার নিকট প্রতিভাত হবে তাদের প্রাসাদসমূহের [ ধবংসাবশেষ ] থেকে। শয়তান তাদের কাজকে তাদের নিকট মনোমুগ্ধকর করেছিলো ৩৪৬০, এবং তাদের সৎপথ থেকে ফিরিয়ে রেখেছিলো , যদিও তারা ছিলো বুদ্ধি ও দক্ষতায় বিশেষ নেয়ামত প্রাপ্ত।

৩৪৫৯। আদ্‌ জাতির জন্য দেখুন [ ৭ : ৬৫ – ৭২ ] আয়াত এবং টিকা ১০৪০ এবং সামুদ জাতির জন্য দেখুন [৭ : ৭৩ – ৭৯ ] আয়াত ও টিকা ১০৪৩।

১) তাদের সভ্যতার ধবংসাবশেষ এ কথাই প্রমাণ করে যে, তারা উন্নত সভ্যতার অধিকারী ছিলো এবং তারা ছিলো জাতি হিসেবে বুদ্ধিমান ও সুদক্ষ কারিগর।

২) তারা তাদের পার্থিব সভ্যতাকে সর্বোচ্চ মনে করতো এবং সে জন্য তারা খুব গর্বিত ছিলো।

৩) তাদের ধ্বংস এ কথাই প্রমাণ করে যে, উন্নত প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও সভ্যতাই পৃথিবীতে টিকে থাকার একমাত্র মানদন্ড নয়। যারাই আল্লাহ্‌র দেয়া নৈতিক নীতিমালাকে লঙ্ঘন করে বা করেছিলো তাদের ধবংস ছিলো অনিবার্য।

৩৪৬০। আদ্‌ জাতি ছিলো উদ্ধত, অহংকারী ও আত্মতৃপ্ত। তাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিলো পার্থিব জীবনের সুখ সম্ভোগ , জীবনের বৃহত্তর ও মহত্তর উদ্দেশ্যকে তারা অস্বীকার করতো। পার্থিব জীবন শেষে পরলোকের জীবনের প্রতি তারা ছিলো উদাসীন। সুতারাং তারা আল্লাহ্‌ নির্দ্দেশিত জীবন বিধানকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করতো। তারা নির্বোধ ছিলো না তারা ছিলো বুদ্ধিমান জাতি। সে হিসেবেও তাদের উপলব্ধি করা উচিত ছিলো যে মনুষ্য জাতি অন্যান্য প্রাণী জগতের ন্যায় নয়। মনুষ্য জাতির সৃষ্টি আল্লাহ্‌র বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ – যারা মৃত্যুর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায় না। বুদ্ধিমত্তা থাকা সত্বেও তারা এই সহজ সত্যকে অনুধাবন করতে পারে নাই , কারণ উদ্ধত , অহংকার ও আত্মতৃপ্তি তাদের সাধারণ চিন্তাধারাকে বিপথে চালিত করে। তাদের পাপ কাজকে তাদের চোখে শোভন মনে হতে থাকে। ফলে বিচক্ষণ হওয়া সত্বেও তারা সৎপথ অবলম্বন করে না, এ সত্য আদ্‌ জাতির জন্য যেমন ছিলো সত্য, বর্তমানেও তা সমভাবে প্রযোজ্য। যারা উদ্ধত ও অহংকারী তারা সঠিকভাবে প্রকৃত সত্যকে অনুধাবন করতে পারবে না। নিজের অন্যায় কাজকে তাদের চোখে শোভন মনে হবে। কারণ ঔদ্ধত্য ও অহংকার একটি অত্যন্ত খারাপ রীপু।