002.064

তারপরেও তোমরা তা থেকে ফিরে গেছ। কাজেই আল্লাহর অনুগ্রহ ও মেহেরবানী যদি তোমাদের উপর না থাকত, তবে অবশ্যই তোমরা ধবংস হয়ে যেতে।
Then after that you turned away. Had it not been for the Grace and Mercy of Allâh upon you, indeed you would have been among the losers.

ثُمَّ تَوَلَّيْتُم مِّن بَعْدِ ذَلِكَ فَلَوْلاَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَكُنتُم مِّنَ الْخَاسِرِينَ
Thumma tawallaytum min baAAdi thalika falawla fadlu Allahi AAalaykum warahmatuhu lakuntum mina alkhasireena

YUSUFALI: But ye turned back thereafter: Had it not been for the Grace and Mercy of Allah to you, ye had surely been among the lost.
PICKTHAL: Then, even after that, ye turned away, and if it had not been for the grace of Allah and His mercy ye had been among the losers.
SHAKIR: Then you turned back after that; so were it not for the grace of Allah and His mercy on you, you would certainly have been among the losers.
KHALIFA: But you turned away thereafter, and if it were not for GOD’s grace towards you and His mercy, you would have been doomed.

৬৪। এরপরেও তোমরা [অঙ্গীকার থেকে] ফিরে গেলে। যদি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকতো, তাহলে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হতে।

৬৫। তোমরা তো ভাল করেই জানো তোমাদের মধ্যে যারা সাবাতের [শনিবারের] সম্পর্কে সীমালঙ্ঘন করেছিলো। আমি তাদের বললাম, ‘তোমরা ঘৃণিত বানর হয়ে যাও।’ ৭৯

৬৬। সুতরাং আমি তা সমসাময়িক ও তাদের পরবর্তী বংশধরদের জন্য করেছিলাম দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহ্‌ ভীরুদের জন্য করেছিলাম উপদেশ।

৭৯। ইহুদী ধর্ম মতে শনিবার হচ্ছে অত্যন্ত পবিত্র দিন। ঐদিনকে বলে সাবাত। ঐদিন সমস্ত কাজ নিষিদ্ধ, শুধুমাত্র সাপ্তাহিক উপসনার জন্য নির্দিষ্ট। হযরত মুসার আইন অনুযায়ী সাবাতের আইন ভঙ্গ করার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। সমুদ্র তীরবর্তী স্থানে একদল ইহুদী বাস করতো যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। এই সম্প্রদায় সাবাত আইন লঙ্ঘন করে সেদিনও মাছ ধরতো। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই তারা মৎস্য শিকার করতো। ফলে তারা আল্লাহ্‌র রোষানলে পতিত হয় এবং তাদের আকৃতির রূপান্তর ঘটে। আয়াত [৭: ১৬৩-১৬৬]-এ বর্ণনা আছে যে, যেহেতু শনিবার বা সাবাত দিনে সমস্ত কাজ কর্ম বন্ধ থাকে মাছেরা নিরাপদ মনে করে ঐ দিন সমুদ্র উপকূলে নির্ভয়ে মাথা উচুঁ করে চলাফেরা করতো। কিন্তু সপ্তাহের অন্য দিন তা করতো না। এটা ছিলো ঐ সম্প্রদায়ের জন্য এক পরীক্ষা। বিভিন্ন রেওয়াত থেকে জানা যায় যে, ইহুদীরা শরীয়তের নির্দেশ অমান্য করার জন্য অপকৌশল অবলম্বন করে। তারা সমুদ্র উপকূলে নির্ভয়ে বিচরণশীল মাছগুলিকে ধরে লেজে লম্বা সুতো বেঁধে দিত এবং তার একটা মাথা ডাঙ্গায় কোন কিছুর সাথে বেঁধে রাখা হতো। রবিবার আসতেই সুতো টেনে মাছ শিকার করে নেওয়া হতো। এ শুধু আল্লাহ্‌র আইন লঙ্ঘনই নয়, এ এক রকম উপহাসও বটে। হয়তো বা তাদের মধ্যে ধারণা ছিলো যে তারা শনিবারে মাছগুলিকে বধ করছে না সুতরাং আল্লাহ্‌র আইন ভঙ্গ করছে না। কিন্তু আল্লাহ্‌র আইন ছিলো যে ঐ দিনটি মাছেদের জন্য নিরাপদ থাকবে। যেহেতু ইহুদীরা অপকৌশল অবলম্বনকারী, সেই কারণে তারা ধর্মের মূল ভিত্তি থেকে সরে এসে ধর্মের আনুষ্ঠানিকতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তাদের ধারণা ছিলো তারা শনিবারে মাছ বধ না করে রবিবারে করছে। এটা ধর্মের পরিপন্থি হবে না। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার উপর তারা অত্যাধিক গুরুত্ব দিত। আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে কোন ধর্ম নাই। এই সহজ সত্য বোঝা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যও অপরিহার্য বটে। কারণ আত্মিক প্রণোদনা ব্যতীত কর্মের গুরুত্ব নাই। এ ব্যাপারে আল্লাহ্‌ বিশদ দিক নির্দেশনা দিয়েছেন মানুষের জন্য। আমাদের মনে রাখতে হবে ‘নিয়তের উপরেই কর্মের ফলাফল নির্ভর করে’। একমাত্র আল্লাহ্‌ই অন্তর্যামী, তিনি সব কাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত। আজকের মুসলিম সম্প্রদায় আল্লাহ্‌ প্রদত্ত ন্যায় ও সত্য পথকে পরিহার করে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। ফলে ঐ ধীবর ইহুদী সম্প্রদায়ের মতই তাদের আজ বিশ্বব্যাপী লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা।