2 of 3

090.001

আমি এই নগরীর শপথ করি
I swear by this city (Makkah);

لَا أُقْسِمُ بِهَذَا الْبَلَدِ
La oqsimu bihatha albaladi

YUSUFALI: I do call to witness this City;-
PICKTHAL: Nay, I swear by this city –
SHAKIR: Nay! I swear by this city.
KHALIFA: I solemnly swear by this town.

==============
সূরা বালাদ বা নগর – ৯০
২০ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

ভূমিকা ও সার সংক্ষেপঃ একটি প্রাথমিক মক্কী সূরা। এই সূরাতে মক্কা নগরীর সাথে রাসুলের (সা) সর্ম্পকের উল্লেখ করা হয়েছে। মক্কা নগরী রাসুলের (সা) জন্মের বহু পূর্ব থেকে পবিত্র নগরী হিসেবে পরিচিত। এই পবিত্র নগরীতে বিশ্বনবীর জন্ম হয়। তিনি এই নগরীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যে পরিবারের হাতে পবিত্র কাবা ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়োজিত ছিলো। বিশ্ব নবী খুব অল্প বয়েসেই পিতা ও মাতা হারা এতিম শিশুতে পরিণত হন। শিশু বয়েস থেকেই তাঁর হৃদয় মন এক স্রষ্টার এবাদতে নিমগ্ন থাকতো। পরিণত বয়েসে তিনি পৌত্তলিক এবাদতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ফলে তাঁর জন্মস্থানের অধিবাসীরা তাঁর প্রতি নির্যাতনের খড়গ চালনা করে। যার ফলে জন্মভূমি থেকে বিতারিত হয়ে ইয়াথরিব শহরে গমন করেন এবং সেখান থেকে ধর্ম প্রচার করেন। পরবর্তীতে এই শহরের নাম হয় ‘মদিনাত্‌ -উন-নবী ‘ বা নবীর শহর। সেই থেকে বর্তমানেও এই শহরকে বলা হয় মদিনা। মদিনাকে রাসুলের শিশু হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। কিন্তু রাসুলের (সা ) হৃদয় সর্বদা তাঁর মাতৃভূমির জন্য আকুতি করতো এবং তাঁর দায়িত্ব কর্তব্য সমাপন অন্তে তিনি পূণরায় তার মাতৃভূমিতে প্রত্যার্পন করেন বিজয়ী রূপে। তিনি কাবা শরীফকে পৌত্তলিক মুক্ত করেন এবং এক আল্লাহ্‌র উপাসনা চালু করেন। তিনি স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে মুসলিম বিশ্বে ন্যায়বান ও যোগ্য ব্যক্তির শাসন চালু করেন, সেই সাথে দাস মুক্তি, গরীবের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেন। অনুধাবন করার বিষয় হচ্ছে পবিত্র মক্কাকে কেন্দ্র করে কি অপূর্ব ন্যায়ের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো। পৃথিবীর আধ্যাত্মিক ইতিহাসে কাবা হচ্ছে আধ্যাত্মিক মুক্তির প্রতীক স্বরূপ।

সূরা বালাদ বা নগর – ৯০
২০ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

১। শপথ করছি এই নগরের ৬১৩০।

৬১৩০। এখানে শপথ করা হয়েছে রাসুলের (সা) মাতৃভূমি মক্কা নগরী ও রাসুলের (সা) সম্পর্কের মধ্যে। মক্কা নগরীর পটভূমি এই সূরার ভূমিকাতে বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষের আধ্যাত্মিক জগতের মুক্তির প্রতীক হচ্ছে এই শহর। মানুষকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে কঠোর শ্রমের মাধ্যমে সংগ্রাম করার জন্য। এটাই হচ্ছে শপথের বিষয়বস্তু [ আয়াত ৯০ : ৪ ]।