2 of 3

069.016

সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে ও বিক্ষিপ্ত হবে।
And the heaven will split asunder, for that Day it (the heaven will be frail (weak), and torn up,

وَانشَقَّتِ السَّمَاء فَهِيَ يَوْمَئِذٍ وَاهِيَةٌ
Wainshaqqati alssamao fahiya yawma-ithin wahiyatun

YUSUFALI: And the sky will be rent asunder, for it will that Day be flimsy,
PICKTHAL: And the heaven will split asunder, for that day it will be frail.
SHAKIR: And the heaven shall cleave asunder, so that on that day it shall be frail,
KHALIFA: The heaven will crack, and fall apart.

১৫। সেদিন সংঘটিত হবে মহাপ্রলয়,

১৬। আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে, সেদিন উহা শিথিল হয়ে পড়বে,

১৭। আর ফেরেশতারা আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ৫৫৫০, এবং সেদিন আটজন ফেরেশতা তোমার প্রভুর আরশকে ধারণ করবে তাদের উর্দ্ধে। ৫৬৫১

৫৬৫০। কেয়ামত দিবসের ছবি আঁকা হয়েছে কবিতার ভাষায় ও ছন্দে। কারণ সেদিনের বর্ণনা কোনও মানুষের ভাষায় করা সম্ভব নয়। মানুষের ভাব,ভাষা, কল্পনা সবই সীমাবদ্ধ। সেই সীমাবদ্ধ প্রকাশ ক্ষমতা দ্বারা সে কিভাবে সেই দিনের ছবি মনের মাঝে ধারণ করতে পারে ? সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে। ফেরেশতারা আকাশে বাস করে। তাদের অবস্থান কি হবে ? তাদের ছবি আমরা কি ভাবে অঙ্কন করবো ? বলা হয়েছে তারা ” আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে।” আল্লাহ্‌র জ্যোতি যা এতদিন মানুষের দৃষ্টি থেকে আড়াল করে রাখা হয়েছিলো, সে আড়াল বিদূরিত হয়ে যাবে। আল্লাহ্‌র সিংহাসন দৃষ্টিতে ভাস্বর হবে। এখানে সিংহাসন হচ্ছে আল্লাহ্‌র ক্ষমতা, শক্তি, ন্যায় ও সত্যের প্রতীক স্বরূপ।

৫৬৫১। দেখুন পূর্বের টিকা। ফেরেশতাদের উল্লেখ দ্বারা আল্লাহ্‌র মহিমার বিভিন্ন প্রকাশকে বোঝানো হয়েছে। তাদের সংখ্যার উল্লেখ করা হয়েছে আট, যদি না সিংহাসনের উল্লেখ করা হতো, তবে এই আট সংখ্যাকে ব্যাখ্যা করা দূরূহ হয়ে যেতো, যদিও কোরাণের বাণীর সঠিক অর্থ একমাত্র আল্লাহ্‌-ই জানেন, তবুও মনে হয় সিংহাসন দ্বারা প্রাচ্য দেশীয় সিংহাসনের ধারাকে বোঝানো হয়েছে যা ‘অষ্টভূজ’ এবং এই সিংহাসনের প্রতিটি কোনা একজন করে ফেরেশতা ধারণ করে আছেন। অথবা সিংহাসন যদি চতুষ্কোণ হবে তবে চারজন করে এক এক বারে দুবারে আটজন ফেরেশতা আছেন তা ধারণ করার জন্য। প্রকৃত পক্ষে সম্পূর্ণ ছবিটি হচ্ছে প্রতীক ধর্মী – যে প্রতীকের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র মাহাত্ম্য ক্ষমতাকে প্রকাশ করা হয়েছে।