2 of 3

071.007

আমি যতবারই তাদেরকে দাওয়াত দিয়েছি, যাতে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, ততবারই তারা কানে অঙ্গুলি দিয়েছে, মুখমন্ডল বস্ত্রাবৃত করেছে, জেদ করেছে এবং খুব ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছে।
”And verily! Every time I called unto them that You might forgive them, they thrust their fingers into their ears, covered themselves up with their garments, and persisted (in their refusal), and magnified themselves in pride.

وَإِنِّي كُلَّمَا دَعَوْتُهُمْ لِتَغْفِرَ لَهُمْ جَعَلُوا أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِمْ وَاسْتَغْشَوْا ثِيَابَهُمْ وَأَصَرُّوا وَاسْتَكْبَرُوا اسْتِكْبَارًا
Wa-innee kullama daAAawtuhum litaghfira lahum jaAAaloo asabiAAahum fee athanihim waistaghshaw thiyabahum waasarroo waistakbaroo istikbaran

YUSUFALI: “And every time I have called to them, that Thou mightest forgive them, they have (only) thrust their fingers into their ears, covered themselves up with their garments, grown obstinate, and given themselves up to arrogance.
PICKTHAL: And lo! whenever I call unto them that Thou mayst pardon them they thrust their fingers in their ears and cover themselves with their garments and persist (in their refusal) and magnify themselves in pride.
SHAKIR: And whenever I have called them that Thou mayest forgive them, they put their fingers in their ears, cover themselves with their garments, and persist and are puffed up with pride:
KHALIFA: “Whenever I invited them to be forgiven by You, they placed their fingers in their ears, covered themselves with their clothes, insisted, and turned arrogant.

৭। ” প্রত্যেক সময়ে যখনই আমি তাদের আহ্বান করেছি, যাতে তুমি তাদের ক্ষমা কর, তারা কানে অঙ্গুলী দেয়, নিজেদের পোষাক দ্বারা আবৃত করে ফেলে ৫৭১০, অনমনীয় মনোভাব প্রদর্শন করে এবং অতিশয় ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে।

৫৭১০। নূহ নবীর সম্প্রদায়ের বিদ্রোহের কথা এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, আক্ষরিক অর্থে তা হচ্চে এই সম্প্রদায়ের লোকেরা হযরত নূহের সর্তক বাণীকে প্রত্যাখান করার জন্য কানে আঙ্গুলি প্রবেশ করিয়ে রাখতো যেনো তা শুনতে না হয়, সমস্ত শরীরকে বস্ত্রাবৃত করে রাখতো যেনো [সত্যের] আলো তাদের শরীরে প্রবেশ না করে এবং তাদের যেনো আড়াল করে রাখে, সত্যের প্রচারকের দৃষ্টি থেকে। এই আয়াতটির অর্থ প্রতীকধর্মী, যা আক্ষরিক অর্থকে অতিক্রম করে আধ্যাত্মিক জগতের প্রতি আহ্বান করেছে। পোষাক যেরূপ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ঢেকে রাখে, মানুষের বিভিন্ন প্রবৃত্তি বা রীপু সমূহও সেরূপ আত্মার স্বাভাবিক প্রকাশকে ঢেকে রাখে বা ব্যহত করে। এ সব প্রবণতা হচ্ছে অহংকার, বদ্‌ভ্যাস বা স্বভাব, সামাজিক রীতিনীতি যা সত্যের বিরুদ্ধাচারণ করে তার প্রতি আনুগত্য, পুরুষানুক্রমিক ভাবে প্রচলিত ঐতিহ্যের প্রতি আত্মসমর্পনের ইচ্ছা যদিও তা আত্মিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর, ক্ষুদ্র স্বার্থ রক্ষার জন্য সত্যকে ত্যাগ করা, পার্থিব গৌরব রক্ষার জন্য বৃহত্তর সত্যকে অবদমিত করার প্রবণতা ইত্যাদি। এসব প্রবণতা, জাগতিক জীবনে মানুষকে এত প্রবলভাবে আকর্ষণ করে যে তাকে তুলনা করা চলে পোষাকের সাথে। পোষাক যেরূপ সূর্যের আলোর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, মানুষের এ সব প্রবণতা বা রীপু সমূহ তাদের আত্মার চারিপার্শ্বে এরূপ বেষ্টনীর সৃষ্টি করে যে, তা ভেদ করে আল্লাহ্‌র নূর বা হেদায়েতের আলো তাদের আত্মার মাঝে পৌঁছাতে সক্ষম হয় না। এর ফলে তারা ধীরে ধীরে সত্য বিমুখ হয়ে পড়ে এবং তাদের চরিত্রে ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়। এরূপ লোকেরাই হয়, স্বার্থপর ও উদ্ধত অহংকারী।