2 of 3

075.016

তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না।
Move not your tongue concerning (the Qur’ân, O Muhammad SAW) to make haste therewith.

لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ
La tuharrik bihi lisanaka litaAAjala bihi

YUSUFALI: Move not thy tongue concerning the (Qur’an) to make haste therewith.
PICKTHAL: Stir not thy tongue herewith to hasten it.
SHAKIR: Do not move your tongue with it to make haste with it,
KHALIFA: Do not move your tongue to hasten it.

১৬। [ হে মুহম্মদ ] তাড়াতাড়ি [ কুর-আনকে ] আয়ত্ত করার জন্য তোমার জিহ্বা তাহার [ জিব্রাইলের ] সাথে নাড়িও না। ৫৮২০

১৭। ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই ;

১৮। অতএব, যখন আমি তা পাঠ করি, তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর,

১৯। উপরন্তু এর ব্যাখ্যার [ ও বুঝানোর ] দায়িত্ব আমারই।

৫৮২০। এ পর্যন্ত কেয়ামত পরিস্থিতির ভয়াবহতা আলোচিত হলো। পরেও আলোচনা আসবে। মাঝ খানে চার আয়াতে রাসুলুল্লাহ্‌ (সা) কে একটি বিশেষ নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে, যা ওহী নাযিল হওয়ার সময় অবতীর্ণ আয়াতগুলি সম্পর্কিত। অনরুপ আয়াত দেখুন [ ২০: ১১৪ ] ও টিকা ২৬৩৯। সেখানে বলা হয়েছে, “আপনার প্রতি আল্লাহ্‌র ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরাণ গ্রহণের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবেন না।” সূরা নং ৭৫ হচ্ছে প্রাথমিক অবতীর্ণ সূরাগুলির অন্যতম এবং এই আয়াতের নির্দ্দেশ পরের সূরার নির্দ্দেশ অপেক্ষা সামান্য ভিন্নতর। এই নির্দ্দেশ গুলির তাৎক্ষনিক অর্থ হচ্ছে যে এর মাধ্যমে রাসুলকে (সা) নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে যে, প্রত্যাদেশকে মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে, যেনো তা তাঁর অন্তরে গভীর ভাবে প্রবেশ লাভ করে ও রেখাপাত করে। এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ কোরান সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন স্বয়ং আল্লাহ্‌। এবং সময়ের বৃহত্তর পরিসরে আল্লাহ্‌র পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। কোরাণকে আল্লাহ্‌ মানুষের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করেছেন, সংরক্ষণ করেছেন এবং এর সামান্যতম অংশও হারিয়ে যেতে দেন নাই। আজ থেকে চৌদ্দশ বৎসর পূর্বে কোরাণ যা ছিলো চৌদ্দশত বৎসর পরেও কোরাণ সেই অবিকৃত অবস্থায় আছে যা অন্যান্য কিতাবের বা ধর্মগ্রন্থের বেলায় ঘটে নাই। এখানে কোরাণ অনুসরণ মানে চুপ করে জিব্রাইলের পাঠ শ্রবণ করা। পরবর্তী আয়াত সমূহে রাসুলকে বলা হয়েছে যে, অবতীর্ণ আয়াত সমূহের সঠিক মর্ম ও উপদেশসমূহ বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র। অর্থাৎ এর সার্বজনীন উপদেশ হচ্ছে আল্লাহ্‌র দেয়া মানসিক দক্ষতার তারতম্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকে কোরাণের বাণীর মর্ম হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে। যদিও এই আয়াতটি রাসুলকে উদ্দেশ্য করে অবতীর্ণ হয়, তবুও এর আবেদন সার্বজনীন। আল্লাহ্‌র কালাম হৃদয়ঙ্গম করার জন্য অধৈর্য্য বা তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নাই। তাড়াহুড়োর মাধ্যমে এই বাণীকে হৃদয়ঙ্গম করা যায় না। কোরাণের বাণীকে প্রশান্ত হৃদয়ে গভীর অভিনিবেশ সহকারে, আন্তরিক মনোযোগের সাথে, হৃদয়ঙ্গম করার জন্য চেষ্টা করতে হবে, তবেই প্রত্যেকেই তার স্ব স্ব যোগ্যতা অনুযায়ী তা অনুধাবনে সক্ষম হবে। কারণ আল্লাহ্‌ সকলকে সমান মানসিক দক্ষতা প্রদান করেন নাই। সুতারাং আমাদের যে মন্দ প্রথা চালু আছে আমরা বিশাস করি যে, না বুঝে আরবীতে দ্রুত কোরাণ সমাপ্ত করলেই অশেষ সওয়াব লাভ করা যাবে তা সঠিক নয়।