2 of 3

057.008

তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছ না, অথচ রসূল তোমাদেরকে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার দাওয়াত দিচ্ছেন? আল্লাহ তো পূর্বেই তোমাদের অঙ্গীকার নিয়েছেন-যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।
And what is the matter with you that you believe not in Allâh! While the Messenger (Muhammad SAW) invites you to believe in your Lord (Allâh), and He (Allâh) has indeed taken your covenant, if you are real believers.

وَمَا لَكُمْ لَا تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالرَّسُولُ يَدْعُوكُمْ لِتُؤْمِنُوا بِرَبِّكُمْ وَقَدْ أَخَذَ مِيثَاقَكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
Wama lakum la tu/minoona biAllahi waalrrasoolu yadAAookum litu/minoo birabbikum waqad akhatha meethaqakum in kuntum mu/mineena

YUSUFALI: What cause have ye why ye should not believe in Allah?- and the Messenger invites you to believe in your Lord, and has indeed taken your Covenant, if ye are men of Faith.
PICKTHAL: What aileth you that ye believe not in Allah, when the messenger calleth you to believe in your Lord, and He hath already made a covenant with you, if ye are believers?
SHAKIR: And what reason have you that you should not believe in Allah? And the Messenger calls on you that you may believe in your Lord, and indeed He has made a covenant with you if you are believers.
KHALIFA: Why should you not believe in GOD when the messenger is inviting you to believe in your Lord? He has taken a pledge from you, if you are believers.

৮। আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান না আনার তোমাদের কি কারণ থাকতে পারে ৫২৮২, এবং রসুল তোমাদেরকে তোমাদের প্রভুর প্রতি ঈমান আনার জন্য আহ্বান করছেন। [ অথচ ] আল্লাহ্‌ তো পূর্বেই তোমাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন ৫২৮৩, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।

৫২৮২। ” আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনার তোমাদের কি কারণ থাকতে পারে ? ” এই ছোট্ট বাক্যটির অন্তর্নিহিত ভাবধারা সূদূর প্রসারী এবং গভীর যা শুধুমাত্র চিন্তার মাধ্যমে অনুধাবন করা যায়। শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই বাক্যটির মূল ভাবার্থ হচ্ছে : ” পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে চর্তুদিকে আল্লাহ্‌র এত নিদর্শন ছড়ানো আছে যে, তা দেখে আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করাই অস্বাভাবিক ইত্যাদি। ” একই রূপ বাক্যের প্রয়োগ করা হয়েছে আয়াত ১০।

৫২৮৩। এই অংগীকার’ কে দুভাবে প্রকাশ করা যায়।

১) যখন কেউ আল্লাহ্‌র একত্ব ও কর্তৃত্বকে স্বীকার করে নেয় তখন পরোক্ষভাবে তার উপরে আল্লাহ্‌র সাধারণ হুকুম সমূহ মানার অপ্রকাশ্য বাধ্যবাধকতা থাকে যেমন আল্লাহ্‌র সেবা করা ও মনুষত্বের সেবা করা ইত্যাদি। দেখুন অংগীকার পূর্ণ করার ব্যাপারে আয়াত [ ৫ : ১ ] ও টিকা ৬৮২।

২) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুসলমানেরা রাসুলের (সা) সাথে অংগীকারে আবদ্ধ হন যে তারা আল্লাহ্‌র সেবায় নিয়োজিত থাকবেন এবং রাসুলের (সা) প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবেন। যেমন : আকাবা উপত্যকার অংগীকার [ দেখুন ৫ : ৭ ] আয়াত ও টিকা ৭০৫ ] এবং হুদায়বিয়া প্রান্তরে রাসুলের (সা) প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করার অংগীকার দেখুন [ ৪৮ : ১০ ] আয়াত ও টিকা ৪৮৭৭। এই চুক্তিদ্বয় ইহুদীদের সিনাই পর্বতে হযরত মুসার সাথে সম্পাদিত চুক্তির সাথে তুলনীয়। দেখুন [ ২ : ৬৩ ] আয়াত ও টিকা নং ৭৮। ” আল্লাহ্‌ তোমাদের নিকট হইতে অংগীকার গ্রহণ করিয়াছেন।” এই বাক্যটি দ্বারা উপরের দুইটি অংগীকারকেই বোঝানো হয়।