আমি আপনাকে পাঠ করাতে থাকব, ফলে আপনি বিস্মৃত হবেন না
We shall make you to recite (the Qur’ân), so you (O Muhammad (Peace be upon him)) shall not forget (it),
سَنُقْرِؤُكَ فَلَا تَنسَى
Sanuqri-oka fala tansa
YUSUFALI: By degrees shall We teach thee to declare (the Message), so thou shalt not forget,
PICKTHAL: We shall make thee read (O Muhammad) so that thou shalt not forget
SHAKIR: We will make you recite so you shall not forget,
KHALIFA: We will recite to you; do not forget.
৬। আমি তোমাকে [ কুর-আন ] শিক্ষা দেবো ধীরে ধীরে ৬০৮৪, যেনো তুমি ভুলে না যাও, ৬০৮৫ –
৬০৮৪। মানব আত্মা যখন আল্লাহ্র হেদায়েতের আলোতে ধন্য হয়, তখন আধ্যাত্মিক জগতে আলোর পথে তাঁর অগ্রগতির যাত্রা শুরু হয়। এই অগ্রগতি হয় ধীরে ধীরে ও ক্রমান্বয়ে, অন্ধকার থেকে আলোর পথে। আল্লাহ্ তাঁকে “শিক্ষা দেন” বা হেদায়েত করেন ক্রমান্বয়ে। এই আয়াতটিতে রাসুলকে সম্বোধন করা হলেও এর আবেদন সার্বজনীন। পবিত্র কোরাণ অবতীর্ণ হয় সুদীর্ঘ ২৩ বৎসর ব্যপী ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে। এভাবেই আল্লাহ্র সকল প্রত্যাদেশ সমূহ ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে অবতীর্ণ হয়। সাধারণ প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোরাণের আয়াত সমূহের ব্যাখ্যা সমান্তরাল ভাবে দুধরণের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট, অপরটি হচ্ছে আয়াতের শিক্ষা যা সর্বযুগের সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য হয়ে থাকে। এখানে বক্তব্যকে : ১) রাসুলের (সা) জীবনের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে কোরাণ অবতীর্ণ হওয়াকে ২) পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য এটা হচ্ছে সাধারণ শিক্ষা যা সর্বযুগে প্রযোজ্য। “যেনো তুমি ভুলে না যাও।” যারাই আল্লাহ্র বাণী হৃদয়ে ধারণ করে বুঝতে সক্ষম হবেন, তাঁরা তা ভুলবেন না। তাঁরা তার প্রকাশ ঘটাবেন তাদের বক্তব্যে, তাদের চরিত্রে, তাদের কাজের মাধ্যমে। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক বিকাশ ঘটবে ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে। এবং যে এই পথ একবার অতিক্রম করবে সে তা ভুলতে পারবে না। তার ব্যক্তিত্ব,চরিত্র,হৃদয় সেই পথের আলোকে আলোকিত হয়ে যাবে।
৬০৮৫। আলোচ্য আয়াতে রাসুলকে (সা ) আশ্বাস দিয়েছেন যে, কোরাণ মুখস্ত করানোর দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ্ নিয়েছেন। রাসুল (সা) ছিলেন নিরক্ষর। সুতারাং আল্লাহ্র বাণী তাঁর হৃদয়ে এবং আপামর মানুষের হৃদয়ে অংকিত করার দায়িত্ব রাব্বুল আলামীনের।