যারা আল্লাহর তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা অপদস্থ হয়েছে, যেমন অপদস্থ হয়েছে তাদের পূর্ববর্তীরা। আমি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ নাযিল করেছি। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।
Verily, those who oppose Allâh and His Messenger (Muhammad SAW) will be disgraced, as those before them (among the past nation), were disgraced. And We have sent down clear Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.). And for the disbelievers is a disgracing torment.
إِنَّ الَّذِينَ يُحَادُّونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ كُبِتُوا كَمَا كُبِتَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَقَدْ أَنزَلْنَا آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ مُّهِينٌ
Inna allatheena yuhaddoona Allaha warasoolahu kubitoo kama kubita allatheena min qablihim waqad anzalna ayatin bayyinatin walilkafireena AAathabun muheenun
YUSUFALI: Those who resist Allah and His Messenger will be humbled to dust, as were those before them: for We have already sent down Clear Signs. And the Unbelievers (will have) a humiliating Penalty,-
PICKTHAL: Lo! those who oppose Allah and His messenger will be abased even as those before them were abased; and We have sent down clear tokens, and for disbelievers is a shameful doom
SHAKIR: Surely those who act in opposition to Allah and His Messenger shall be laid down prostrate as those before them were laid down prostrate; and indeed We have revealed clear communications, and the unbelievers shall have an abasing chastisement.
KHALIFA: Surely, those who fight GOD and His messenger are committed to defeat, like their previous counterparts were committed to defeat. We have sent down clear proofs, and the rejectors have incurred a shameful retribution.
৫। যারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রসুলের বিরুদ্ধাচারণ করে তাদের অপদস্থ করে ধূলিতে মিশিয়ে দেয়া হবে, যেমন করা হয়েছিলো তাদের পূর্ববর্তীদের। নিশ্চয়ই আমি সুস্পষ্ট আয়াত অবতীর্ণ করেছি। এবং অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি, –
৬। সেই দিন, যেদিন তাদের সকলকে একত্রে [ পুনরায় ] উত্থিত করা হবে এবং তাদের কার্যাবলীর প্রকৃত সত্য [ এবং অর্থ ] জানিয়ে দেয়া হবে ৫৩৪০। আল্লাহ্ উহার [ মূল্য ] হিসাব করেছেন, যদিও তারা তা বিস্মৃত হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ের সাক্ষী।
৫৩৪০। “তাদের কার্যাবলীর প্রকৃত সত্য এবং অর্থ জানিয়ে দেয়া হবে।” অনুরূপ আয়াত অনেক আছে কোরাণ শরীফের বিভিন্ন সূরাতে যেমন [ ৫ : ৪৮ ] ও টিকা ৭৬২ ; [ ৫ : ১০৫ ] ও টিকা ৮১১ [ ৬ : ৬০, ১০৮ ] ; [ ৯: ৯৪ ] ইত্যাদি। পৃথিবীর মোহ মানুষকে করে বিভ্রান্ত ও সত্য বিচ্যুত। ফলে তার উপলব্ধি ও অনুভব করার ক্ষমতা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বিভ্রান্তির বেড়াজালে। প্রকৃত সত্যকে বিভিন্ন ব্যক্তি তার উপলব্ধির সত্ত্বা অনুযায়ী বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখে থাকে এবং সমাজে কূটতর্কের জন্ম দেয়। যেমন : সমাজে অনেক সময়েই অনেক ভন্ড লোক দেখা যায় যারা সমাজের চক্ষে নিজেকে মহৎ প্রমাণ করতে ব্যতিব্যস্ত থাকে। এদের কেউ সমাজতন্ত্রের নামে জনদরদী, কেউ মানবতার নামে, কেউ ধর্মের নামে জনদরদী। কিন্তু তাদের কর্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য থাকে লোকচক্ষুর অন্তরালে। এরা তাদের অন্তরের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে আত্মগোপন করে জনসমক্ষে নিজেকে পূত-পবিত্র এবং জনকল্যাণে আত্মনিবেদিত ব্যক্তি রূপে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়, কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে তাদের জনহিতকর কাজ তাদের মুখোশ বা ভণিতা মাত্র। অনেক সময়ে দেখা যায় যে, মানুষ আবেগ ও অনুভূতিতে আপ্লুত হয়ে কোন নেতাকে দেবতার আসনে বসায় যে যোগ্যতা তার নাই। এবং দুঃখের বিষয় এসব লোকেরাও সচেতনহীন ভাবে সেই কথা বিশ্বাস করে এবং নিজের দোষত্রুটি উপলব্ধির পরিবর্তে নিজেকে ফেরেশতা সমতুল্য ব্যক্তিরূপে গণ্য করে। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে নিজেকে মহৎ ও বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারীরূপে কল্পনা করার প্রবণতা। নিজেকে দোষত্রুটি মুক্ত করার জন্য যা স্মরণ রাখা প্রয়োজন তা আমরা ভুলে যাই। যা ভুলে যাওয়া প্রয়োজন তা আমরা স্মরণ রাখি ও গর্বে অহংকারে স্ফীত হই। এর ফলে আমাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা এবং অন্তর্দৃষ্টি বা দূরদৃষ্টি ধীরে ধীরে হয়ে পড়ে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর, ফলে আমাদের মূল্যবোধ হয় অবক্ষয়ের সম্মুখীন, এবং আমরা মিথ্যা মূল্যবোধে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। এই আয়াতের মাধ্যমে ও অন্যান্য বহু আয়াতে আল্লাহ্ বারে বারে সাবধান করেছেন যে, শেষ বিচারের দিনে মানুষের এই মিথ্যা মূল্যবোধ, ভণিতা, প্রবণতা সব কিছুর অবসান ঘটবে। প্রতিটি ঘটনার প্রকৃত সত্যরূপ হবে উদ্ভাসিত, মিথ্যার খোলস যাবে ঝড়ে। শুধু যে সত্য উদ্ভাসিত হবে তাই-ই নয়, আমরা আমাদের জীবনে কৃত প্রতিটি কাজের নিয়ত এবং প্রকৃত উদ্দেশ্যকে অনুধাবনে সক্ষম হব। পৃথিবীর জীবনে এই বোধ আমাদের জীবনে থাকে অনুপস্থিত। পরলোকের জীবনে প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনের মাধ্যমে আমাদের জ্ঞান চক্ষুকে উম্মীলিত করা হবে।