2 of 3

058.006

সেদিন স্মরণীয়; যেদিন আল্লাহ তাদের সকলকে পুনরুত্থিত করবেন, অতঃপর তাদেরকে জানিয়ে দিবেন যা তারা করত। আল্লাহ তার হিসাব রেখেছেন, আর তারা তা ভুলে গেছে। আল্লাহর সামনে উপস্থিত আছে সব বস্তুই।
On the Day when Allâh will resurrect them all together (i.e. the Day of Resurrection) and inform them of what they did. Allâh has kept account of it, while they have forgotten it. And Allâh is Witness over all things.

يَوْمَ يَبْعَثُهُمُ اللَّهُ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُهُم بِمَا عَمِلُوا أَحْصَاهُ اللَّهُ وَنَسُوهُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ
Yawma yabAAathuhumu Allahu jameeAAan fayunabbi-ohum bima AAamiloo ahsahu Allahu wanasoohu waAllahu AAala kulli shay-in shaheedun

YUSUFALI: On the Day that Allah will raise them all up (again) and show them the Truth (and meaning) of their conduct. Allah has reckoned its (value), though they may have forgotten it, for Allah is Witness to all things.
PICKTHAL: On the day when Allah will raise them all together and inform them of what they did. Allah hath kept account of it while they forgot it. And Allah is Witness over all things.
SHAKIR: On the day when Allah will raise them up all together, then inform them of what they did: Allah has recorded it while they have forgotten it; and Allah is a witness of all things.
KHALIFA: The day will come when GOD will resurrect them all, then inform them of everything they had done. GOD has recorded everything, while they have forgotten it. GOD witnesses all things.

৫। যারা আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রসুলের বিরুদ্ধাচারণ করে তাদের অপদস্থ করে ধূলিতে মিশিয়ে দেয়া হবে, যেমন করা হয়েছিলো তাদের পূর্ববর্তীদের। নিশ্চয়ই আমি সুস্পষ্ট আয়াত অবতীর্ণ করেছি। এবং অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি, –

৬। সেই দিন, যেদিন তাদের সকলকে একত্রে [ পুনরায় ] উত্থিত করা হবে এবং তাদের কার্যাবলীর প্রকৃত সত্য [ এবং অর্থ ] জানিয়ে দেয়া হবে ৫৩৪০। আল্লাহ্‌ উহার [ মূল্য ] হিসাব করেছেন, যদিও তারা তা বিস্মৃত হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সর্ববিষয়ের সাক্ষী।

৫৩৪০। “তাদের কার্যাবলীর প্রকৃত সত্য এবং অর্থ জানিয়ে দেয়া হবে।” অনুরূপ আয়াত অনেক আছে কোরাণ শরীফের বিভিন্ন সূরাতে যেমন [ ৫ : ৪৮ ] ও টিকা ৭৬২ ; [ ৫ : ১০৫ ] ও টিকা ৮১১ [ ৬ : ৬০, ১০৮ ] ; [ ৯: ৯৪ ] ইত্যাদি। পৃথিবীর মোহ মানুষকে করে বিভ্রান্ত ও সত্য বিচ্যুত। ফলে তার উপলব্ধি ও অনুভব করার ক্ষমতা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বিভ্রান্তির বেড়াজালে। প্রকৃত সত্যকে বিভিন্ন ব্যক্তি তার উপলব্ধির সত্ত্বা অনুযায়ী বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখে থাকে এবং সমাজে কূটতর্কের জন্ম দেয়। যেমন : সমাজে অনেক সময়েই অনেক ভন্ড লোক দেখা যায় যারা সমাজের চক্ষে নিজেকে মহৎ প্রমাণ করতে ব্যতিব্যস্ত থাকে। এদের কেউ সমাজতন্ত্রের নামে জনদরদী, কেউ মানবতার নামে, কেউ ধর্মের নামে জনদরদী। কিন্তু তাদের কর্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য থাকে লোকচক্ষুর অন্তরালে। এরা তাদের অন্তরের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে আত্মগোপন করে জনসমক্ষে নিজেকে পূত-পবিত্র এবং জনকল্যাণে আত্মনিবেদিত ব্যক্তি রূপে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়, কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে তাদের জনহিতকর কাজ তাদের মুখোশ বা ভণিতা মাত্র। অনেক সময়ে দেখা যায় যে, মানুষ আবেগ ও অনুভূতিতে আপ্লুত হয়ে কোন নেতাকে দেবতার আসনে বসায় যে যোগ্যতা তার নাই। এবং দুঃখের বিষয় এসব লোকেরাও সচেতনহীন ভাবে সেই কথা বিশ্বাস করে এবং নিজের দোষত্রুটি উপলব্ধির পরিবর্তে নিজেকে ফেরেশতা সমতুল্য ব্যক্তিরূপে গণ্য করে। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে নিজেকে মহৎ ও বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারীরূপে কল্পনা করার প্রবণতা। নিজেকে দোষত্রুটি মুক্ত করার জন্য যা স্মরণ রাখা প্রয়োজন তা আমরা ভুলে যাই। যা ভুলে যাওয়া প্রয়োজন তা আমরা স্মরণ রাখি ও গর্বে অহংকারে স্ফীত হই। এর ফলে আমাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা এবং অন্তর্দৃষ্টি বা দূরদৃষ্টি ধীরে ধীরে হয়ে পড়ে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর, ফলে আমাদের মূল্যবোধ হয় অবক্ষয়ের সম্মুখীন, এবং আমরা মিথ্যা মূল্যবোধে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। এই আয়াতের মাধ্যমে ও অন্যান্য বহু আয়াতে আল্লাহ্‌ বারে বারে সাবধান করেছেন যে, শেষ বিচারের দিনে মানুষের এই মিথ্যা মূল্যবোধ, ভণিতা, প্রবণতা সব কিছুর অবসান ঘটবে। প্রতিটি ঘটনার প্রকৃত সত্যরূপ হবে উদ্ভাসিত, মিথ্যার খোলস যাবে ঝড়ে। শুধু যে সত্য উদ্ভাসিত হবে তাই-ই নয়, আমরা আমাদের জীবনে কৃত প্রতিটি কাজের নিয়ত এবং প্রকৃত উদ্দেশ্যকে অনুধাবনে সক্ষম হব। পৃথিবীর জীবনে এই বোধ আমাদের জীবনে থাকে অনুপস্থিত। পরলোকের জীবনে প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনের মাধ্যমে আমাদের জ্ঞান চক্ষুকে উম্মীলিত করা হবে।