2 of 3

067.002

যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।
Who has created death and life, that He may test you which of you is best in deed. And He is the All-Mighty, the Oft-Forgiving;

الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ
Allathee khalaqa almawta waalhayata liyabluwakum ayyukum ahsanu AAamalan wahuwa alAAazeezu alghafooru

YUSUFALI: He Who created Death and Life, that He may try which of you is best in deed: and He is the Exalted in Might, Oft-Forgiving;-
PICKTHAL: Who hath created life and death that He may try you which of you is best in conduct; and He is the Mighty, the Forgiving,
SHAKIR: Who created death and life that He may try you– which of you is best in deeds; and He is the Mighty, the Forgiving,
KHALIFA: The One who created death and life for the purpose of distinguishing those among you who would do better. He is the Almighty, the Forgiving.

২। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মরণ এবং জীবন ৫৫৫৬, যেনো তিনি পরীক্ষা করতে পারেন তোমাদের মধ্যে কর্মে কে উত্তম ৫৫৫৭। এবং তিনি ক্ষমতায় পরাক্রমাশালী। বারে বারে ক্ষমাশীল ৫৫৫৮।

৫৫৫৬। ‘ তিনিই সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন।’ লক্ষ্য করুন এই আয়াতে “জীবনের” উল্লেখের পূর্বে “মরণ” উল্লেখ করা হয়েছে। আয়াত [ ২ : ১৮ ] এর বর্ণনা হচ্ছে ” অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন, তিনি তোমাদের জীবন্ত করেছেন, আবার তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন ও পুণরায় জীবন্ত করবেন, পরিণামে তাঁর দিকেই তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে। ” আবার সূরা [ ৫৩ : ৪৪ ] আয়াতের বর্ণনাতে মৃত্যুর উল্লেখ জীবনের পূর্বে করা হয়েছে। এ সব আয়াত থেকে সিদ্ধান্তে আসা যায় যে,

১) পৃথিবীর জীবন শুরুর পূর্বে হয়তো আমরা ছিলাম অস্তিত্ববিহীন বা অন্যরূপে বিরাজমান;

২) পৃথিবীতে আমরা যে ভাবে অবস্থান করছি একদিন সে জীবনের অবসান ঘটবে, কিন্তু আমাদের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে না। কারণ আত্মা অমর। শুধু আত্মার সামনে থাকবে পর্দা বা বাঁধার প্রাচীর যা উল্লেখ আছে সূরা [ ২৩ : ১০০] আয়াতে ‘Barzak’ শব্দটি দ্বারা। এই পর্দার আবরণ থাকবে দৈহিক মৃত্যুর পর থেকে শেষ বিচারের পূর্ব পর্যন্ত। শেষ বিচারের দিনে এই পর্দার অবসান ঘটবে এবং পরে প্রত্যেকের জন্য হবে নূতন জীবনে যাত্রা। সে জীবন হবে অনন্ত জীবন নূতন পৃথিবীতে নূতন আঙ্গিকে যার উল্লেখ আছে সূরা [ ১৪ : ৪৮ ] আয়াতে।

৫৫৫৭। আমরা জানি না পৃথিবীতে আগমনের পূর্বে আমাদের অবস্থান কি ছিলো, আবার পৃথিবীর জীবনকে মৃত্যুর মাধ্যমে ত্যাগ করার পরে আমাদের অবস্থান কি হবে। আমাদের চেতনা শুধু এই পার্থিব জীবনকেই ঘিরে থাকে। এ কথা কেউ যেনো মনে না করে যে জীবন শুধুমাত্র পৃথিবীর কর্মক্ষেত্রে আনন্দ উৎসবের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে; এ জীবন উদ্দেশ্য বিহীন, মৃত্যুই জীবনের সমাপ্তি এনে দেবে। যদিও পার্থিব জীবন শুরু করার পূর্বের অবস্থা এবং মৃত্যুর পরের অবস্থান আমরা কল্পনা করতে পারি না; কিন্তু আল্লাহ্‌ আমাদের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এই আয়াতের মাধ্যমে। জীবনের বৃহত্তর ও মহত্তর উদ্দেশ্য রয়েছে এবং সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রত্যেককে উত্তম কর্ম বা সৎ কাজের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হবে। এ পৃথিবীর জীবনে, পৃথিবীর জীবনকে আল্লাহ্‌ সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষা করবার জন্য “তোমাদের মধ্যে কর্মে কে উত্তম।”

৫৫৫৮। মানুষ দুর্বলচিত্ত। এই দুর্বলচিত্ত মানুষ জীবনের বন্ধুর পথ অতিক্রম করে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে পৌঁছাতে সক্ষম। কারণ সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তিনি “পরাক্রমশালী ” এবং তার ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করতে সক্ষম। তিনি ক্ষমাশীল অন্যথায় দুর্বল মানুষের পক্ষে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব ছিলো না।