2 of 3

074.001

হে চাদরাবৃত!
O you (Muhammad SAW) enveloped (in garments)!

يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ
Ya ayyuha almuddaththiru

YUSUFALI: O thou wrapped up (in the mantle)!
PICKTHAL: O thou enveloped in thy cloak,
SHAKIR: O you who are clothed!
KHALIFA: O you hidden secret.

===============
সূরা মুদ্দাছ্‌ছির বা বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদিত -৭৪
৫৬ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই সূরাটি পূর্বোক্ত সূরার সমসাময়িক। বিষয়বস্তুও প্রায় একই। প্রার্থনা এবং আল্লাহ্‌র প্রশংসা করা, বিপদ বিপযর্য়ের সময়ে যখন আধ্যাত্মিক জগত চাপের মুখে থাকে তখন ধৈর্য্য ধারণের প্রয়োজনীয়তা। যারা অন্যায়ের মাধ্যমে পৃথিবীতে দুঃখ ও দুর্দ্দশার সৃষ্টি করেছে, তারা পরলোকে নিদারুণ যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা লাভ করবে।

==================
সূরা মুদ্দাছ্‌ছির বা বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদিত -৭৪
৫৬ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

১। ওহে [ পোষাকে ] আবৃত মানুষ ৫৭৭৮।

৫৭৭৮। অবতীর্ণ সূরাগুলির মধ্যে এই সূরাটি প্রাথমিক। প্রাথমিক সূরার এই আয়াতে দুটি চিন্তার ধারা পাশাপাশি বিরাজ করছে।

১) প্রথমতঃ আয়াতটির মাধ্যমে ব্যক্তিগত ভাবে রাসুলকে (সা) সম্বোধন করা হয়েছে।

২) বিশ্বের সকল যুগের সকল মানুষের জন্য আছে আধ্যাত্মিক উপদেশ।

প্রথমত : ১) যে সময়ে আয়াতটি অবতীর্ণ হয়,তখন রাসুল নবুয়ত লাভ করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত ধ্যানমগ্ন অবস্থা যা বস্ত্রাচ্ছিদ অবস্থার সাথে তুলনীয়। যে অবস্থায় তিনি সর্ব অবস্থায় থাকতেন বা আল্লাহকে খুজঁতেন তা কেটে গেছে। তাকে আদেশ করা হয়েছে যে তিনি নির্ভিক ভাবে প্রকাশ্যে আল্লাহ্‌র বাণী প্রচারে অগ্রসর হবেন। যদিও তিনি সর্বদাই ছিলেন পবিত্র হৃদয়ের অধিকারী। কিন্তু শুধু ব্যক্তিগত পবিত্রতাই নয়, তাঁর সকল কাজ নিবেদিত হতে হবে সমাজে শুধুমাত্র আল্লাহর পবিত্রতা প্রতিষ্ঠার জন্য। পূর্বপুরুষদের সকল জঘন্য প্রথা এবং দেবদেবীর উপাসনা অবশ্যই বিদূরিত করতে হবে। আল্লাহ্‌র নবী সারা বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ যা তাঁর ব্যক্তিত্ব থেকে প্রবাহিত। এর জন্য তিনি তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট থেকে কোনও পুরষ্কার বা প্রশংসা দাবী করেন না। বরং ঘটনা ছিলো এর উল্টো। তার উপরে অত্যাচার ও নির্যাতনের ঝড় বয়ে যায়। সে সময়ে তাঁকে ধৈর্য্য ধারণ করতে বলা হয় আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের জন্য।

২) দ্বিতীয়তঃ সাধারণ পর্যায়ে বিপদ বিপর্যয়ের মাধ্যমে এরূপ অবস্থা আসতে পারে, সেক্ষেত্রে নবী করিমের জীবনী ও কর্ম ক্ষেত্র আমাদের জন্য হবে পথের দিশারী।