2 of 3

073.003

অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম
Half of it, or a little less than that,

نِصْفَهُ أَوِ انقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا
Nisfahu awi onqus minhu qaleelan

YUSUFALI: Half of it,- or a little less,
PICKTHAL: A half thereof, or abate a little thereof
SHAKIR: Half of it, or lessen it a little,
KHALIFA: Half of it, or a little less.

৩। অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কম,

৪। অথবা, তদপেক্ষা বেশী, এবং কুর-আন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে, সুরেলা কন্ঠে। ৫৭৫৬

৫৭৫৬। যে সময়ে এই সূরাটি অবতীর্ণ হয়, সম্ভবতঃ সে সময়ে শুধুমাত্র ৯৬ নং সূরা ৬৮ নং সূরা সম্ভবতঃ ৭৪ নং সূরা এবং সূরা আল্‌- হামদ্‌ সূরা বিদ্যমান ছিলো। বর্তমানে আমাদের সম্মুখে সম্পূর্ণ কোরাণ মহাগ্রন্থ উপস্থাপন করা হয়েছে। লক্ষ্য করুন সামান্য কয়েকটি সূরা যখন বিদ্যমান তখনই সাবধান করা হয়েছে যে, কোরাণ যেনো কেউ তাড়াহুড়ো করে না পড়ে – যেমন আমাদের অনেকে গর্বের সাথে বলে থাকেন যে, সে রমজানে ৩-৪ বার কোরাণ খতম করেছে। না বুঝে, না অনুধাবন করে, শুধুমাত্র দ্রুত পড়ে যাওয়ার মাঝে কোনও পূণ্য নাই। কোরাণ আবৃত্তি করতে হবে, ধীরে ধীরে,স্পষ্ট ও সুন্দর সুরেলাভাবে যেনো এই বাণীর উপদেশ ও মর্মবাণী আত্মার অন্তঃস্থলে প্রবেশের সুযোগ লাভ করে। দ্রুত ও তাড়াহুড়ো করে অর্থ না বুঝে পড়লে তার কোন প্রতিক্রিয়াই চরিত্রে প্রতিফলিত হয় না। অর্থ না বুঝে কোরাণ তেলাওয়াত মূল্যহীন। কোরাণের আয়াতগুলি ভাষা ও ছন্দে এতই সুন্দর যে তা আবেগের সাথে সুরেলা ধ্বনিতে পড়তে হবে। এতে রয়েছে এক অপূর্ব মাধুর্য এবং বিন্যাসে রয়েছে বিশেষ ধরণের বর্ণাঢ্যতা যা আত্মাকে করে সমৃদ্ধ। এর অভ্যন্তরভাগে সেরূপ রয়েছে আত্মার জন্য সীমাহীন স্নিগ্ধ ফল্গুধারা।

মন্তব্য : সঙ্গীতের সুর মানুষের মনোজগতে বিশেষ প্রভাব ফেলতে সক্ষম। সে কারণেই সঙ্গীতের সুরে কুর-আন পড়তে বলা হয়েছে, আজান হবে সুরেলা ভাবে। সে কারণেই আল্লাহ দাউদ নবীকে বিশেষ সঙ্গীত প্রতিভা দান করেছিলেন। তাঁর সঙ্গীতে পাহাড় প্রতিধ্বনি করতো, পাখীরা গান করতো, সঙ্গীত প্রতিভা আল্লাহ্‌র বিশেষ দান। মানুষের মনোজগতকে সমৃদ্ধ করার জন্য- তবে সে সঙ্গীত হতে হবে রুচীসমৃদ্ধ আত্মার জন্য স্নিগ্ধ সীমাহীন স্নিগ্ধ ফাল্গুধারার মত।

অতএব আরবীর সাথে সাথে মাতৃভাষাতে কোরাণ পাঠ করতে হবে যেনো এর উপদেশ স্ব জীবনে প্রতিফলিত করার সুযোগ ঘটে। [২১:৭৯] [৩৪:১০] [৩৮:১৮] [৩৮:১৯]