2 of 3

059.021

যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা’আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
Had We sent down this Qur’ân on a mountain, you would surely have seen it humbling itself and rending asunder by the fear of Allâh. Such are the parables which We put forward to mankind that they may reflect .

لَوْ أَنزَلْنَا هَذَا الْقُرْآنَ عَلَى جَبَلٍ لَّرَأَيْتَهُ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ اللَّهِ وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ
Law anzalna hatha alqur-ana AAala jabalin laraaytahu khashiAAan mutasaddiAAan min khashyati Allahi watilka al-amthalu nadribuha lilnnasi laAAallahum yatafakkaroona

YUSUFALI: Had We sent down this Qur’an on a mountain, verily, thou wouldst have seen it humble itself and cleave asunder for fear of Allah. Such are the similitudes which We propound to men, that they may reflect.
PICKTHAL: If We had caused this Qur’an to descend upon a mountain, thou (O Muhammad) verily hadst seen it humbled, rent asunder by the fear of Allah. Such similitudes coin We for mankind that haply they may reflect.
SHAKIR: Had We sent down this Quran on a mountain, you would certainly have seen it falling down, splitting asunder because of the fear of Allah, and We set forth these parables to men that they may reflect.
KHALIFA: If we revealed this Quran to a mountain, you would see it trembling, crumbling, out of reverence for GOD. We cite these examples for the people, that they may reflect.

২১। যদি আমি এই কুর-আন পর্বতের উপরে অবতীর্ণ করতাম ৫৩৯৮, তবে তুমি উহাকে আল্লাহ্‌র ভয়ে বিনীত এবং বিদীর্ণ হতে দেখতে ৫৩৯৯। এই সকল দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য বর্ণনা করছি যেনো তারা চিন্তা করে।

৫৩৯৮। সুউচ্চ পর্ব্বতমালা মানুষের হৃদয়ে যে অনুভূতির জন্ম দেয় তা দ্বিবিধ। প্রথমত : পর্বতের উচ্চতা যা মানুষের মনে সম্ভ্রম জাগায়। দ্বিতীয়ত : পর্বতের কাঠিন্য, সকল সুউচ্চ পর্বতই কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত হয়। পর্বতের উপমার সাহায্যে কোরাণের তুলনা করা হয়েছে এই আয়াতে। কোরানের প্রত্যাদেশ সমূহ এতই মহিমান্বিত, শ্রেষ্ঠ এবং ভয় ও শ্রদ্ধা উদ্রেককারী যে, সর্বোচ্চ পর্বতও শ্রদ্ধায়, ভয়ে বিনয়াবনত হয়ে পড়বে। দ্বিতীয়ত : প্রতাদেশ সমূহ এতটাই শক্তিশালী ও প্রত্যয় উৎপাদনকারী যে পবর্তও তার কাঠিন্য হারিয়ে ফেলবে। ভয়ে ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে প্রত্যাদেশের ভারে। এর পরেও কি মানুষ নিজেকে আল্লাহ্‌র অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মনে করে। সে কি এতটাই কঠিন হৃদয় যে এই শক্তিশালী বাণী সমূহও তার হৃদয়ে কোনও প্রভাব ফেলতে অক্ষম ? পূণ্যাত্মা হৃদয়, যে হৃদয় পাপের দ্বারা কলুষিত হয় নাই, সে ক্ষেত্রে উত্তর হবে “না”। কিন্তু যে হৃদয় পাপ দ্বারা কলুষিত হয়েছে সেক্ষেত্রে উত্তর হবে “হ্যাঁ”।

৫৩৯৯। দেখুন সূরা [ ৭ : ১৪৩ ] ও টিকা ১১০৩ ; যেখানে বর্ণনা করা হয়েছে হযরত মুসার কাহিনীর মাধ্যমে যে, আল্লাহ্‌র মহিমা পবর্তকে ধূলায় পরিণত করে দেয়। আরও দেখুন সূরা [ ৩৩ : ৭২ ] ও টিকা ৩৭৭৮। যেখানে পর্বতকে রূপক ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পবর্ত হচ্ছে স্থায়ীত্বের প্রতীক, যা অটল ও অপরিবতর্নীয়। এই পর্বতকেই যখন আল্লাহ্‌ তার আমানত ধারণ করতে বললেন, ” সে বিনীতভাবে অস্বীকার করেছিলো কারণ সে নিজেকে এই বিশাল দায়িত্বের উপযোগী মনে করে নাই; সে ছিলো এ ব্যাপারে বিনয়ী এবং নম্র।