2 of 3

055.034

অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?

فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani

YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?

৩৪। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? ৫১৯৫

৫১৯৫। এই সূরাতে কত সুন্দর ধারাবাহিকভাবে আল্লাহ্‌র নিদর্শন সমূহ উপস্থাপন করা হয়েছে। আমাদের চর্তুদ্দিকে আল্লাহ্‌র নিদর্শন সমূহ ছড়ানো আছে। মানুষের সৃষ্টিতে, তার বুদ্ধিমত্তায়, প্রকৃতির মাঝে, প্রত্যাদেশের মাঝে আল্লাহ্‌র সৃষ্টি কৌশল বিদ্যমান। দিনের উষ্ণতা সূর্যের দীপ্তির সাথে জড়িত, পানির চক্রের মাধ্যমে রক্ষা হয় পৃথিবীর জীবন ও বিশোধনের কাজ; মানুষের বুদ্ধিমত্তা বা বিজ্ঞানের দ্বারা প্রকৃতিকে জয় করা এ সবই হচ্ছে আল্লাহ্‌র অসীম অনুগ্রহ তাঁর সৃষ্টির প্রতি – আল্লাহ্‌র সাহায্য ও প্রতিপালনের মাধ্যম বিশেষ। মানুষ যদি প্রশান্ত মনে আল্লাহ্‌র সৃষ্টি কৌশল সম্বন্ধে চিন্তা করে ; তবে অবশ্যই সে অনুধাবনে সক্ষম হবে যে, কি গভীর মমতায় বিশ্বস্রষ্টার কল্যাণময় হস্ত আমাদের ঘিরে আছে। মানুষ তবেই প্রকৃত সত্যকে অনুভবে সক্ষম হবে এবং ভবিষ্যতের জবাবদিহি সম্পর্কে সাবধান হবে। সূরার পরবর্তী অংশে এই সাবধানবাণীই বারে বারে উচ্চারণ করা হয়েছে।
এতক্ষণ বর্ণনা করা হয়েছে আল্লাহ্‌র বিশেষ অনুগ্রহ সমূহ। এখান থেকে শুরু হচ্ছে শেষ বিচারের দিনে পাপীদের শাস্তির বিবরণ।