2 of 3

053.030

তাদের জ্ঞানের পরিধি এ পর্যন্তই। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ভাল জানেন, কে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন কে সুপথপ্রাপ্ত হয়েছে।
That is what they could reach of knowledge. Verily, your Lord it is He Who knows best him who goes astray from His Path, and He knows best him who receives guidance.

ذَلِكَ مَبْلَغُهُم مِّنَ الْعِلْمِ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اهْتَدَى
Thalika mablaghuhum mina alAAilmi inna rabbaka huwa aAAlamu biman dalla AAan sabeelihi wahuwa aAAlamu bimani ihtada

YUSUFALI: That is as far as knowledge will reach them. Verily thy Lord knoweth best those who stray from His Path, and He knoweth best those who receive guidance.
PICKTHAL: Such is their sum of knowledge. Lo! thy Lord is Best Aware of him who strayeth, and He is Best Aware of him whom goeth right.
SHAKIR: That is their goal of knowledge; surely your Lord knows best him who goes astray from His path and He knows best him who follows the right direction.
KHALIFA: This is the extent of their knowledge. Your Lord is fully aware of those who strayed away from His path, and He is fully aware of those who are guided.

২৯। সুতারাং যারা আমার উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং পৃথিবীর জীবন ব্যতীত অন্য কিছু চায় না, তুমিও তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও।

৩০। তাদের জ্ঞানের [ সীমানা ] এ পর্যন্তই পৌঁছাবে ৫১০৪। আল্লাহ্‌ ভালোভাবেই তাদের জানেন, কারা তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়; এবং তাদের ভালোভাবেই জানেন কারা সৎপথ প্রাপ্ত হয়।

৫১০৪। কি অপূর্বভাবে জীবনের চিত্রকে এক কথায় অঙ্কন করা হয়েছে। যারা আল্লাহ্‌র স্মরণে বিমুখ হয় তাদের মনঃস্তাত্বিক চিত্র অংকন করা হয়েছে এই একটি আয়াতের মাধ্যমে। যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না তাদের সমগ্র সত্ত্বায় পরলোকের অস্তিত্বের কোনও স্থান নাই। তাদের মনঃজগত, চিন্তার ব্যপ্তি শুধুমাত্র এই পার্থিব জীবনকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়ে থাকে। এরা হয় প্রচন্ড ভোগবাদী ও বস্তুবাদী। এদের কেউ অর্থের, কেউ সম্মানের, কেউ খ্যাতির, কেউ ক্ষমতার, কেউ প্রভাব-প্রতিপত্তির পিছনে জীবনের সকল অধ্যাবসায়,প্রচেষ্টা, মেধা, মননশক্তি, সৃজন ক্ষমতা ব্যয় করে থাকে। এদের জীবন আবর্তিত হয় পার্থিব আরাম-আয়েশ, ও যৌন সম্ভোগের আনন্দকে কেন্দ্র করে। সুতারাং তাদের চিন্তার জগতের ব্যাপ্তি পার্থিব জীবনের বাইরে সম্প্রসারিত হতে পারে না। এদের আত্মায় কোনও দিনও আধ্যাত্মিক জগতের আলো অনুভূত হতে পারে না। তাদের জ্ঞান শুধুমাত্র সীমিত পার্থিব জগতেই আবদ্ধ থাকবে। আধ্যাত্মিক জগতের দুয়ার তাদের সামনে কখনও উম্মোচিত হতে পারবে না। কারণ আধ্যাত্মিক জগতকে অনুভব করতে অন্তর্দৃষ্টির প্রয়োজন। বস্তু জগতের ভারী আবরণ তাদের অন্তর্দৃষ্টিকে অন্ধ করে দেবে। বৈদ্যুতিক আলোর চোখ ধাঁধানো দ্যুতি যেমন পূর্ণিমা চাঁদের আলোকেও দৃশ্যমান হতে বাঁধা দেয়। ঠিক সেরূপ বস্তু জগতের ঔজ্জ্বল্য আধ্যাত্মিক জগতকে আত্মার মাঝে অনুভবে বাধা দান করে। বৈদ্যুতিক আলো অপসারণ ব্যতীত পূর্ণিমার চাঁদের আলোর অপরূপ সৌন্দর্য যেমন প্রকাশ পায় না ; ঠিক সেরূপ পার্থিব জীবনের কামনা থেকে মুক্ত হতে না পারলে আধ্যাত্মিক জীবনের সৌন্দর্য্য, অপূর্ব শান্তি,কমনীয় রূপ, আত্মার মাঝে অনুভব করা সম্ভব নয়। আল্লাহ্‌তে অবিশ্বাসী ও বস্তুবাদীদের ধরা ছোঁয়ার বহু দূরে থাকবে আধ্যাত্মিক জগতের রূপরেখা। অপরপক্ষে যারা আল্লাহ্‌র একত্বে বিশ্বাসী, যারা আধ্যাত্মিক জগতের আলোকে হৃদয়ের মাঝে অনুভব করতে সমর্থ হয়েছে তারা তাদের সকল ব্যর্থতা সত্বেও সঠিক পথে অবস্থান করছে। তাঁরা আল্লাহ্‌র হেদায়েতের জন্য উম্মুখ হয়ে থাকে; সুতারাং আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ তাদের সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।