2 of 3

067.030

বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভের গভীরে চলে যায়, তবে কে তোমাদেরকে সরবরাহ করবে পানির স্রোতধারা?
Say (O Muhammad SAW): ”Tell me! If (all) your water were to be sunk away, who then can supply you with flowing (spring) water?”

قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَاؤُكُمْ غَوْرًا فَمَن يَأْتِيكُم بِمَاء مَّعِينٍ
Qul araaytum in asbaha maokum ghawran faman ya/teekum bima-in maAAeenin

YUSUFALI: Say: “See ye?- If your stream be some morning lost (in the underground earth), who then can supply you with clear-flowing water?”
PICKTHAL: Say: Have ye thought: If (all) your water were to disappear into the earth, who then could bring you gushing water?
SHAKIR: Say: Have you considered if your water should go down, who is it then that will bring you flowing water?
KHALIFA: Say, “What if your water sinks away, who will provide you with pure water?”

৩০। বল, ” তোমরা ভেবে দেখেছ কি ? কোন সকালে যদি তোমাদের নদীগুলি [ ভূগর্ভে ] হারিয়ে যায়, তবে কে তোমাদের স্বচ্ছ প্রবাহিত পানি সরবরাহ করতে পারবে ? ” ৫৫৯১

৫৫৯১। সূরাটি শেষ করা হয়েছে অপরূপ সুন্দর একটি উপমার মাধ্যমে যার সাহায্যে আধ্যাত্মিক জীবনের উৎসকে তুলে ধরা হয়েছে। পানির গতির ধারা যেরূপ নিম্নাভিমূখী ; আল্লাহ্‌র রহমতের ধারাও সেরূপ নিম্নাভিমূখী। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যদি কখনও প্রভাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখি পৃথিবীর উপরিভাগ পানি শূন্য হয়ে গেছে, সকল উৎস শুকিয়ে মাটির নীচে চলে গেছে; তাহলে তার অবশ্যাম্ভবী পরিণতি হবে পৃথিবীর সকল জীবের মৃত্যু। সেরূপ ঐশ্বরিক প্রজ্ঞা ও করুণা ব্যতীত আধ্যাত্মিক জীবনের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। আধ্যাত্মিক জীবনের প্রাণ হচ্ছে, ঐশ্বরিক প্রজ্ঞা, করুণা, ও দয়া যার গতি পানির ন্যায় উর্দ্ধলোক থেকে নিম্নলোকে। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনের মূল কেন্দ্র হচ্ছে ঐশ্বরিক করুণাধারা। আমাদের সর্ব অস্তিত্বের জন্য আমরা সর্বশক্তিমানের দয়া ও করুণার প্রার্থী। জাগতিক কোনও শক্তিই আল্লাহ্‌র সমকক্ষ নয়। আল্লাহ্‌র জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দয়া ও করুণা ঝরণার স্বচ্ছ পানির ন্যায়। ঝরণার প্রবাহমান পানি যেরূপ পরিষ্কার, সুস্বাদু যার সাথে কর্দমাক্ত ঘোলা পানির কোনও তুলনাই চলে না। ঠিক সেরূপ আল্লাহ্‌র সদয় তত্বাবধান, প্রজ্ঞা, করুণা যা মানব জীবনকে ঘিরে থাকে যা মানুষের আধ্যাত্মিক শক্তিকে উজ্জীবিত করতে তুলনাহীন। পৃথিবীর সকল জ্ঞানের ভান্ডার তার তুলনায় ঐ কর্দমাক্ত পানির ন্যায়। কারণ পার্থিব জ্ঞান অনেক সময়েই জীবনকে আলোকিত করার পরিবর্তে তমসাচ্ছন্ন করে ফেলে। পানির অভাবে পৃথিবী যেরূপ জীবন শূন্য হয়ে যাবে ঠিক সেরূপ যে আত্মা আল্লাহ্‌র রহমত বঞ্চিত হবে সে আত্মা শেষ পর্যন্ত মৃত আত্মাতে রূপান্তরিত হবে। এই আয়াতটিতে পার্থিব জীবনের উপমার মাধ্যমে ইহলোককে অতিক্রম করে পারলৌকিক জীবনকে উপলব্ধিতে সাহায্য করেছে। প্রবাহমান পানির স্রোত যেরূপ তার গতিধারার জন্য উৎস হিসেবে ঝরনার উপরে নির্ভরশীল। ঠিক তদ্রূপ হচ্ছে ঐশ্বরিক করুণা ধারা যার প্রবাহ উচ্চ থেকে নিম্নে মানুষের আধ্যাত্মিক জগতের মাঝে।