2 of 3

081.001

যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে,
When the sun Kuwwirat (wound round and lost its light and is overthrown ).

إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ
Itha alshshamsu kuwwirat

YUSUFALI: When the sun (with its spacious light) is folded up;
PICKTHAL: When the sun is overthrown,
SHAKIR: When the sun is covered,
KHALIFA: When the sun is rolled.

==============
সূরা তাকভীর অথবা ভাঁজ করা -৮১
২৯ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এটা একটি প্রাথমিক মক্কী সূরা। সম্ভবতঃ ধারাবাহিকতায় এটি ষষ্ঠ বা সপ্তম। পৃথিবী ও বিশ্বভূবনের শেষ পরিণতির বা ধ্বংসের চিত্র আঁকা হয়েছে এই সূরাতে [ ১ – ৩ ]। সেই সাথে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্বকে তুলে ধরা হয়েছে [১৪ নং ] আয়াত। এই বর্ণনার পরেই বলা হয়েছে যে কোরাণের প্রত্যাদেশ সত্য, এবং তা অবতীর্ণ করা হয়েছে জিব্রাইল ফেরেশতার মাধ্যমে। এটা কোন আবেগে আচ্ছন্নকারী কবির অসংলগ্ন রচনা নয়। প্রত্যাদেশকে প্রেরণ করা হয়েছে মানুষের আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির জন্য [ ১৪ -২৯]।

এই সূরাটি ৮২নং সূরার সাথে তুলনা করা চলে। ৮২নং সূরাটি ও এই সূরাটি এক সাথে পাঠ করা উচিত।

সূরা তাকভীর অথবা ভাঁজ করা -৮১
২৯ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে ]

১। যখন সূর্য ৫৯৬৯ [ তার অত্যুজ্জ্বল আলোসহ ] ভাঁজ করা হবে ৫৯৭০;

৫৯৬৯। এই সূরাতে [ ১ – ১৩ ] পর্যন্ত আয়াত সমূহ ‘যখন’ শব্দটি দ্বারা শর্তাধীন করা হয়েছে ১৪ নং স্বতন্ত্র বাক্যের অধীনে। এমন একটি সময় আসবে যখন এই চেনা জানা পৃথিবীর সকল কাজ স্তব্ধ হয়ে যাবে। সেদিন প্রতিটি আত্মা জানতে পারবে তাঁর কর্মফল। পুণরুত্থান হবে প্রতিটি আত্মার ব্যক্তিগত বিপদ। সেই বিপদের দিনে সারা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে এবং মানুষের সম্মুখে তাঁর কৃতকর্মের বিবরণ উম্মুক্ত করা হবে।

৫৯৭০। শর্তাধীন বাক্যগুলির সংখ্যা ১২। এই ১২টি বাক্য দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ছয়টি মানুষের বাহ্যিক বা শারিরীক অবস্থার সাথে সম্পৃক্ত। শেষের ছয়টি অন্তরের বা আত্মার সাথে সম্পৃক্ত। আসুন আমরা একটা একটা করে বিশ্লেষণ করি। ১) প্রকৃতিতে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আলো, তাপ এবং শক্তি [ বিদ্যুৎ বা চুম্বক শক্তি ] যার সবই আমরা লাভ করি সূর্য থেকে। সূর্য পৃথিবীর সকল আলো, তাপ ও শক্তির উৎস। যার ফলে পৃথিবীর সকল প্রাণ সূর্যের উপরে নির্ভরশীল। যদিও সূর্যের সাথে পৃথিবীর প্রাণের অস্তিত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তবুও সূর্যের দূরত্ব আমাদের থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে। সেদিন সূর্য তার জ্যোতি হারাবে। বর্তমান জ্যোতির্বিজ্ঞান বলে যে, এমন একদিন আসবে যেদিন সূর্য নিভে যাবে অর্থাৎ নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটবে। বিজ্ঞানের এই বর্তমান তত্ব কোরাণের আয়াতেরই প্রতিধ্বনি মাত্র। যেদিন সূর্যের মৃত্যু ঘটবে সেদিন সে তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি হারাবে। ফলে সূর্যের সাথে সাথে সারা সৌরমন্ডল লন্ডভন্ড হয়ে পড়বে। কিন্তু আত্মা হবে অক্ষয় ও অমর।