অতএব যে আমার স্মরণে বিমুখ এবং কেবল পার্থিব জীবনই কামনা করে তার তরফ থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নিন।
Therefore withdraw (O Muhammad SAW) from him who turns away from Our Reminder (this Qur’ân) and desires nothing but the life of this world.
فَأَعْرِضْ عَن مَّن تَوَلَّى عَن ذِكْرِنَا وَلَمْ يُرِدْ إِلَّا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا
FaaAArid AAan man tawalla AAan thikrina walam yurid illa alhayata alddunya
YUSUFALI: Therefore shun those who turn away from Our Message and desire nothing but the life of this world.
PICKTHAL: Then withdraw (O Muhammad) from him who fleeth from Our remembrance and desireth but the life of the world.
SHAKIR: Therefore turn aside from him who turns his back upon Our reminder and does not desire anything but this world’s life.
KHALIFA: You shall disregard those who turn away from our message, and become preoccupied with this worldly life.
২৯। সুতারাং যারা আমার উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং পৃথিবীর জীবন ব্যতীত অন্য কিছু চায় না, তুমিও তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও।
৩০। তাদের জ্ঞানের [ সীমানা ] এ পর্যন্তই পৌঁছাবে ৫১০৪। আল্লাহ্ ভালোভাবেই তাদের জানেন, কারা তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়; এবং তাদের ভালোভাবেই জানেন কারা সৎপথ প্রাপ্ত হয়।
৫১০৪। কি অপূর্বভাবে জীবনের চিত্রকে এক কথায় অঙ্কন করা হয়েছে। যারা আল্লাহ্র স্মরণে বিমুখ হয় তাদের মনঃস্তাত্বিক চিত্র অংকন করা হয়েছে এই একটি আয়াতের মাধ্যমে। যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না তাদের সমগ্র সত্ত্বায় পরলোকের অস্তিত্বের কোনও স্থান নাই। তাদের মনঃজগত, চিন্তার ব্যপ্তি শুধুমাত্র এই পার্থিব জীবনকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়ে থাকে। এরা হয় প্রচন্ড ভোগবাদী ও বস্তুবাদী। এদের কেউ অর্থের, কেউ সম্মানের, কেউ খ্যাতির, কেউ ক্ষমতার, কেউ প্রভাব-প্রতিপত্তির পিছনে জীবনের সকল অধ্যাবসায়,প্রচেষ্টা, মেধা, মননশক্তি, সৃজন ক্ষমতা ব্যয় করে থাকে। এদের জীবন আবর্তিত হয় পার্থিব আরাম-আয়েশ, ও যৌন সম্ভোগের আনন্দকে কেন্দ্র করে। সুতারাং তাদের চিন্তার জগতের ব্যাপ্তি পার্থিব জীবনের বাইরে সম্প্রসারিত হতে পারে না। এদের আত্মায় কোনও দিনও আধ্যাত্মিক জগতের আলো অনুভূত হতে পারে না। তাদের জ্ঞান শুধুমাত্র সীমিত পার্থিব জগতেই আবদ্ধ থাকবে। আধ্যাত্মিক জগতের দুয়ার তাদের সামনে কখনও উম্মোচিত হতে পারবে না। কারণ আধ্যাত্মিক জগতকে অনুভব করতে অন্তর্দৃষ্টির প্রয়োজন। বস্তু জগতের ভারী আবরণ তাদের অন্তর্দৃষ্টিকে অন্ধ করে দেবে। বৈদ্যুতিক আলোর চোখ ধাঁধানো দ্যুতি যেমন পূর্ণিমা চাঁদের আলোকেও দৃশ্যমান হতে বাঁধা দেয়। ঠিক সেরূপ বস্তু জগতের ঔজ্জ্বল্য আধ্যাত্মিক জগতকে আত্মার মাঝে অনুভবে বাধা দান করে। বৈদ্যুতিক আলো অপসারণ ব্যতীত পূর্ণিমার চাঁদের আলোর অপরূপ সৌন্দর্য যেমন প্রকাশ পায় না ; ঠিক সেরূপ পার্থিব জীবনের কামনা থেকে মুক্ত হতে না পারলে আধ্যাত্মিক জীবনের সৌন্দর্য্য, অপূর্ব শান্তি,কমনীয় রূপ, আত্মার মাঝে অনুভব করা সম্ভব নয়। আল্লাহ্তে অবিশ্বাসী ও বস্তুবাদীদের ধরা ছোঁয়ার বহু দূরে থাকবে আধ্যাত্মিক জগতের রূপরেখা। অপরপক্ষে যারা আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাসী, যারা আধ্যাত্মিক জগতের আলোকে হৃদয়ের মাঝে অনুভব করতে সমর্থ হয়েছে তারা তাদের সকল ব্যর্থতা সত্বেও সঠিক পথে অবস্থান করছে। তাঁরা আল্লাহ্র হেদায়েতের জন্য উম্মুখ হয়ে থাকে; সুতারাং আল্লাহ্র অনুগ্রহ তাদের সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।