2 of 3

069.051

নিশ্চয় এটা নিশ্চিত সত্য।
And Verily, it (this Qur’ân) is an absolute truth with certainty.

وَإِنَّهُ لَحَقُّ الْيَقِينِ
Wa-innahu lahaqqu alyaqeeni

YUSUFALI: But verily it is Truth of assured certainty.
PICKTHAL: And lo! it is absolute truth.
SHAKIR: And most surely it is the true certainty
KHALIFA: It is the absolute truth.

৫১। অবশ্যই ইহা সুনিশ্চিত সত্য। ৫৬৭৩

৫২। সুতারাং মহান আল্লাহ্‌র নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। ৫৬৭৪

৫৬৭৩। কুর-আন হচ্ছে নিশ্চিত সত্য। যদিও কুর-আন হচ্ছে সর্বোচ্চ সত্য, তবুও সকল মানুষ এই সত্যকে সমভাবে ধারণ করতে পারে না। মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির তারতম্য অনুযায়ী মানসিক ধারণ ক্ষমতার তারতম্য ঘটে ব্যক্তির জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং মুল্যবোধ ধারণ ক্ষমতার উপরে।

সাধারণ ভাবে সত্য উপলব্ধির ক্ষমতাকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। যুক্তি -তর্ক ও পরীক্ষণ -নিরীক্ষণের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বা সত্যকে হৃদয়ঙ্গম করা হয়, যেমন বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত সমূহ এরূপ সত্য। এই সিদ্ধান্তে অনেক সময়েই ভুল হতে পারে কারণ মানুষের তৈরী পরীক্ষণ যন্ত্রপাতি অনেক সময়েই ভুল উপাত্ত সরবরাহ করে থাকে, বা ব্যক্তি যুক্তি সঙ্গত চিন্তার ক্ষেত্রে ভুল পথে পরিচালিত হতে পারে – যার ফলে আজ যা অকাট্য বৈজ্ঞানিক সত্য আগামীতে তা ভুল প্রমাণিত হতে পারে। এরূপ সত্যকে বলে ‘Ilm-ul-yaqin’। দ্বিতীয়তঃ চক্ষু ও অন্যান্য ইন্দ্রিয় দ্বারা সত্য ঘটনাকে প্রত্যক্ষ করে বিশ্বাস করা। তবে এ দেখা কখনও অকাট্য সত্য হতে পারে না। একই ঘটনা দেখে বিভিন্ন মানুষ তাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার তারতম্য অনুযায়ী বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা দান করে থাকে। এরূপ সত্যকে বলে, ” “Ain-ul-yaqin” যা ব্যক্তিগত পরিদর্শনের ফল। দেখুন [ ১০২ : ৫, ৭ ]। আর এক ধরণের সত্য আছে যা অকাট্য সত্য, বা নিশ্চিত সত্য, বা সর্বোচ্চ সত্য। এই সত্য হয় নির্ভুল। কোন মানবিক ভুল -ভ্রান্তি যেমন চক্ষু, কর্ণ, বা যন্ত্রপাতি বা যুক্তির অবতারণা কিছুই তাকে কলুষিত করতে সক্ষম নয়। এ সত্য হচ্ছে আধ্যাত্মিক জগতের সত্য বা কোরাণের প্রত্যাদেশের সত্য। এই সত্যকে, বলে “Haqq-ul-yaqin”। এই আয়াতে এই সত্যের কথাই বলা হয়েছে। যে সত্য ধারণের ফলে মানুষের মাঝে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার জন্ম নেয়।

৫৬৭৪। যেহেতু আল্লাহ্‌ তাঁর প্রত্যাদেশের মাধ্যমে এই সর্বোচ্চ সত্য বা নিশ্চিত সত্যের সন্ধান দান করেছেন ; যার ফলে মানুষ জ্ঞানী ও প্রজ্ঞা সম্পন্ন মানুষে রূপান্তরিত হতে সক্ষম হয়। সেহেতু মানুষ স্রষ্টার নিকট কৃতজ্ঞ থাকবে ও স্রষ্টার মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করবে। আর এই ঘোষণা হবে চিন্তাধারা, কথা ও কাজের মাধ্যমে।