মুমিনগণ, তোমরা রসূলের কাছে কানকথা বলতে চাইলে তৎপূর্বে সদকা প্রদান করবে। এটা তোমাদের জন্যে শ্রেয়ঃ ও পবিত্র হওয়ার ভাল উপায়। যদি তাতে সক্ষম না হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
O you who believe! When you (want to) consult the Messenger (Muhammad SAW) in private, spend something in charity before your private consultation. That will be better and purer for you. But if you find not (the means for it), then verily, Allâh is Oft-Forgiving, Most Merciful.
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً ذَلِكَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَأَطْهَرُ فَإِن لَّمْ تَجِدُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
Ya ayyuha allatheena amanoo itha najaytumu alrrasoola faqaddimoo bayna yaday najwakum sadaqatan thalika khayrun lakum waatharu fa-in lam tajidoo fa-inna Allaha ghafoorun raheemun
YUSUFALI: O ye who believe! When ye consult the Messenger in private, spend something in charity before your private consultation. That will be best for you, and most conducive to purity (of conduct). But if ye find not (the wherewithal), Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
PICKTHAL: O ye who believe! When ye hold conference with the messenger, offer an alms before your conference. That is better and purer for you. But if ye cannot find (the wherewithal) then lo! Allah is Forgiving, Merciful.
SHAKIR: O you who believe! when you consult the Messenger, then offer something in charity before your consultation; that is better for you and purer; but if you do not find, then surely Allah is Forgiving, Merciful.
KHALIFA: O you who believe, when you wish to confer with the messenger, you shall offer a charity (to the poor) before you do so. This is better for you, and purer. If you cannot afford it, then GOD is Forgiver, Most Merciful.
১২। হে মুমিনগণ! যখন তোমরা রসুলের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে পরামর্শ করতে চাও ৫৩৫০ ; তোমাদের ব্যক্তিগত পরামর্শের পূর্বে দানে কিছু ব্যয় কর। এটাই হবে তোমাদের জন্য উত্তম এবং [ আত্মার ] পরিশুদ্ধতার সহায়ক ৫৩৫১। কিন্তু যদি তাতে অক্ষম হও, আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।
৫৩৫০। আল্লাহ্র রাজত্বে আধ্যাত্মিক জগতের উন্নতির জন্য আল্লাহ্ আমাদের সর্বাধিক সুযোগ করে দিয়েছেন। জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষকের [ রাসুল ] শিক্ষা ছিলো সকলের জন্য অবারিত। এখানে ধনী বা গরীবের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নাই। সকলেই সমভাবে রাসুলের নিকট গমনের অধিকারী ছিলো। কিন্তু মানুষ বড়ই দুর্বল চরিত্রের প্রাণী। সুতারাং মানুষের জন্য যে সমতার বাণী ইসলাম পৃথিবীতে নিয়ে এসেছে তা থেকে সরে এসে রাসুলের (সা ) নিকট সমাজের সম্পদশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাঝে অন্যায় প্রবণতা দেখা যায়। তারা সময়ে অসমেয় অতি সাধারণ ব্যাপারে নিজেদের গুরুত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্র (সা ) কানে কানে কথা বলতো, এতে সময়ের অপচয় ছাড়াও নবীর অত্যন্ত কষ্ট হতো এবং অন্যদেরও অসুবিধা হতো। তাই রাসুলের (সা) সাথে চুপি চুপি কথা বলার পূর্বে সদ্কার নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে। তাদের এই প্রবণতার কারণ নিম্নলিখিত :
১) তাদের ধারণা ছিলো যে তাদের ঘটনাটি বা ব্যাপারটি বিশেষ বিশেষত্বের দাবী রাখে, যা সর্বসাধারণের মাঝে প্রকাশ করা যুক্তিযুক্ত নয়;
২) তাদের ব্যাপারটি যদি সর্বসমক্ষে প্রকাশ হয়, তবে তাদের সম্মানের হানি হবে যা যুক্তি সঙ্গত নয়।
৩) হয়তো বা তারা প্রচন্ড স্বার্থপর, যে কারণে তারা রাসুলের (সা) মুল্যবান সময়কে নিজ স্বার্থে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে এবং নিজেকে সম্মানীত ব্যক্তিরূপে উপস্থাপনে আগ্রহী।
উপরে বর্ণিত তিনটি উদ্দেশ্যর কারণেই মানুষ রাসুলের (সা ) অমৃত উপদেশ বাণীকে কুক্ষিগত করতে চাইতো, যা কোরাণের এই আয়াতের মাধ্যমে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু তাই বলে তাদের আত্ম উন্নতির পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয় নাই। সাধারণ মানুষ অহংকারে পরিপূর্ণ আত্মকেন্দ্রিক ব্যক্তি। সুতারাং তাদের আত্ম উন্নতির পথকে সুগম করার জন্য বলা হয়েছে যে যদি তারা রাসুলের (সা) সাথে ব্যক্তিগত ভাবে চুপি চুপি আলোচনা করতে চায়, তবে তা করার পূর্বে তারা অবশ্যই গরীবদের জন্য কিছু দান করবে। মুসলিমগণ এই নির্দ্দেশের ফলে সতর্ক হন এবং মুনাফেকরা সাদকা করার ভয় এ থেকে বিরত থাকে।
৫৩৫১। মানুষের এই দুর্বলতা আল্লাহ্র নিকট ক্ষমার যোগ্য। সে কারণেই এই ব্যবস্থা গরীবকে অর্থ দানের মাধ্যমে তাদের এই ব্যক্তিগত দোষত্রুটি সম্বন্ধে বোধদয় ঘটবে এবং অর্থ প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে তারা তাদের দোষত্রুটি পরিশুদ্ধ করার সুযোগ লাভ করবে। সর্বোপরি গরীবকে দান করার প্রবণতা তাদের গরীবের দুঃখ – দুর্দ্দশা উপলব্ধির মাধ্যমে আত্ম শুদ্ধির পথে পরিচালিত করবে। ফলে তাদের কর্মের উদ্দেশ্য বা নিয়ত হবে পরিশুদ্ধ। আবার একই সাথে আল্লাহ্ এই বিশেষ ‘দান’ কে বাধ্যতামূলক করেন নাই বলা হয়েছে কেউ অক্ষম হলে, আল্লাহ্ “ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু “।