১২৫. দ্রোণকর্ত্তৃক বৃহৎক্ষত্রবধ

১২৫তম অধ্যায়

দ্রোণকর্ত্তৃক বৃহৎক্ষত্রবধ

সঞ্জয় কহিলেন, “হে মহারাজ! অনন্তর অপরাহু সময়ে পুনরায় সোমকদিগের সহিত দ্রোণাচার্যের তুমুল যুদ্ধ উপস্থিত হইল। আপনার প্রিয়চিকীর্ষ মহাধনুর্দ্ধর বীরবরাগ্রগণ্য দ্রোণ শোণাস্বসংযুক্ত রথে আরোহণপূর্ব্বক অনতিবেগে পাণ্ডবদিগের অভিমুখে ধাবমান হইয়া বিচিত্ৰপুঙ্খ শাণিতশরনিকরে প্রধান প্রধান যোদ্ধাদিগকে বিদ্ধ করিয়া স্বচ্ছন্দে রণস্থলে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। তখন কেকয়দেশীয় পঞ্চভ্রাতার সর্ব্বজ্যেষ্ঠ সমরদুৰ্ম্মদ মহারথ বৃহৎক্ষত্র মহামেঘ যেমন গন্ধমাদনে বারিবর্ষণ করে, তদ্রূপ আচার্য্যের উপর তীক্ষ্ণ বিশিখ নিক্ষেপপূর্ব্বক তাঁহাকে নিপীড়িত করিলেন। আচাৰ্য্য তাঁহার শরাঘাতে ক্রোধাবিষ্ট হইয়া তাঁহার উপর ক্রুদ্ধ আশীবিষসদৃশ শাণিত সুবর্ণপুঙ্খ পঞ্চদশ শর নিক্ষেপ করিলে, মহাবীর বৃহৎক্ষেত্র সেই দ্রোণনির্মুক্ত বাণসমুদয়ের প্রত্যেককে পাঁচ পাঁচ বাণে ছেদন করিয়া ফেলিলেন। দ্বিজপুঙ্গব দ্রোণ তাঁহার হস্তলাঘব দর্শন করিয়া হাস্যপূর্ব্বক পুনর্ব্বার সন্নতপর্ব্ব আট শর নিক্ষেপ করিলেন। বৃহৎক্ষত্র দ্রোণপরিত্যক্ত শরসমুদয় সমাগত দেখিয়া নিশিত শর নিক্ষেপপূর্ব্বক তাহা বিনষ্ট করিয়া ফেলিলেন। কৌরবপক্ষীয় সৈন্যেরা বৃহৎক্ষত্রের সেই দুষ্কর কাৰ্য্য অবলোকন করিয়া বিস্ময়াবিষ্ট হইল। তখন আচার্য্য বৃহৎক্ষত্রকে প্রশংসাপূর্ব্বক তাঁহার প্রতি অতি দুর্দ্ধর্ষ দিব্য-ব্ৰহ্মাস্ত্র পরিত্যাগ করিলেন। মহাবীর বৃহৎক্ষত্র স্বীয় ব্রহ্মাস্ত্ৰদ্বারা তৎক্ষণাৎ দ্রোণের ব্রহ্মাস্ত্র ছেদনপূর্ব্বক ষষ্টিসংখ্যক সুবর্ণপুঙ্খ শাণিতশরে তাহাকে বিদ্ধ করিয়া সিংহনাদ করিতে লাগিলেন। তখন পুরুষশ্রেষ্ঠ আচার্য্য বৃহৎক্ষত্রের উপর নিশিত নারাচ নিক্ষেপ করিলেন। নারাচ বৃহৎক্ষত্রের দেহাবরণ ও গাত্র ভেদ করিয়া, কৃষ্ণসর্প যেরূপ বিলমধ্যে প্রবেশ করে তদ্রূপ ধরাতলে প্রবিষ্ট হইল। মহাবীর কৈকয় দ্রোণসায়কে অতিমাত্র বিদ্ধ হইয়া ক্রোধে নয়ন বিঘূর্ণনপূর্ব্বক স্বর্ণপুঙ্খ শাণিত সপ্ততিশরে আচাৰ্য্যকে বিদ্ধ করিয়া একবাণে তাঁহার সারথিকে নিতান্ত নিপীড়িত করিলেন। মহাবীর দ্রোণ বৃহৎক্ষত্রের শরে অতিমাত্র বিদ্ধ হইয়া তীক্ষ্ন বিশিখ প্রয়োগপূর্ব্বক তাঁহাকে ব্যাকুলিত করিয়া চারিশরাঘাতে তাঁহার চারি অশ্বকে বিনাশ করিয়া ফেলিলেন। তৎপরে একশরাঘাতে সারথিকে এবং দুইবাণে ছত্র ঔ ধ্বজ ছেদনপূর্ব্বক সুপ্রযুক্ত নারাচদ্বারা বৃহৎক্ষত্রের হৃদয় বিদীর্ণ করিয়া তাহাকে ধরাতলে পাতিত করিলেন।

দ্রোণকর্ত্তৃক ধৃষ্টকেতুবধ

“এইরূপে কেকয়বংশোদ্ভব মহারথ বৃহৎক্ষত্র নিহত হইলে, শিশুপালপুত্র ধৃষ্টকেতু ক্রোধান্ধ হইয়া সারথিকে কহিলেন, ‘হে সারথে! বৰ্মধারী দ্ৰোণ সমস্ত কৈকয়গণ ও পাঞ্চালসৈন্যগণ নিপাতিত করিয়া যে স্থানে অবস্থান করিতেছেন, সেই স্থানে রথসঞ্চালন কর।’ সারথি ধৃষ্টকেতুর বচন শ্রবণ করিয়া কাম্বোজদেশীয় বেগগামী অশ্বগণকে সঞ্চালনপূর্ব্বক তাঁহাকে দ্রোণসমীপে সমানীত করিল। বলদর্পিত চেদিরাজ ধৃষ্টকেতু পাবকে পতনোম্মুখ পতঙ্গের ন্যায় প্রাণপরিত্যাগের নিমিত্ত দ্রোণের অভিমুখীন হইয়া ষষ্টি বাণ নিক্ষেপপূর্ব্বক তাঁহাকে এবং তাঁহার রথ, ধ্বজ ও অশ্বগণকে বিদ্ধ করিয়া পুনরায় তাঁহার উপর অসংখ্য তীক্ষ্ণ শর নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। সুপ্ত ব্যাঘ্র প্রতিবোধিত হইলে যেরূপ ক্রুদ্ধ হয়, মহাবীর দ্রোণাচার্য্য ধৃষ্টকেতুর শরাঘাতে তদ্রূপ ক্রুদ্ধ হইয়া ক্ষুরপ্র-অস্ত্রে তাঁহার কোদণ্ড দ্বিখণ্ড করিয়া ফেলিলেন। মহারথ শিশুপালপুত্র সত্বর অন্য কার্মুক গ্রহণ করিয়া কঙ্কপত্ৰভূষিত সায়কদ্বারা দ্রোণকে বিদ্ধ করিতে লাগিলেন। মহাবীর দ্রোণ চারিবাণে ধৃষ্টকেতুর চারি অশ্ব বিনাশ করিয়া হাস্যমুখে সারথির মস্তকচ্ছেদনপূর্ব্বক তাঁহার উপর পঞ্চবিংশতি বাণ নিক্ষেপ করিলেন। তখন মহাবীর ধৃষ্টকেতু সত্বর প্রস্তরদৃঢ় কনকবিভূষিত ভীষণ গদা গ্রহণ ও লম্ফপ্রদানপূর্ব্বক রথ হইতে ধরাতলে অবতীর্ণ হইয়া দ্রোণের প্রতি সেই গদা নিক্ষেপপূর্ব্বক সিংহনাদ করিতে লাগিলেন। মহাবীর দ্রোণাচাৰ্য্য ক্রুদ্ধ ভুজঙ্গীর ন্যায় ও কালরাত্রির ন্যায় সেই গদা সমাগত অবলোকন করিয়া অসংখ্য শরসন্নিপাতে তাহা ছেদন করিয়া ফেলিলেন। গদা দ্রোণশরে ছিন্ন ও নিপাতিত হওয়াতে ধরাতল প্রতিধ্বনিত হইল। তখন অমর্ষপরায়ণ মহাবীর ধৃষ্টকেতু গদা ছিন্ন হইল দেখিয়া দ্রোণের উপর তোমর ও কনকভূষিত শক্তি নিক্ষেপ করিলেন। সেই শক্তি ও তোমর তার্ক্ষ্য-নিকৃত্ত ভুজঙ্গদ্বয়ের ন্যায় দ্রোণের পাঁচবাণে ছিন্ন ও ধরাতলে নিপতিত হইল। অনন্তর প্রবলপ্রতাপ মহাবীর দ্রোণ ধৃষ্টকেতুর বিনাশজন্য এক সুতীক্ষ্ণ বিশিখ নিক্ষেপ করিলেন। দ্রোণনির্মুক্ত বাণ অতিপরাক্রম শিশুপালপুত্রের বর্ম্মসংবৃত দেহ বিদীর্ণ করিয়া পদ্মসরোবরে বিচরণকারী হংসের ন্যায় ধরণীতলে পতিত হইল। এইরূপে মহাবীর দ্রোণ ক্ষুধার্ত্ত চাস যেরূপ পতঙ্গ বিনষ্ট করে, তদ্রূপ ধৃষ্টকেতুকে বিনষ্ট করিয়া ফেলিলেন।

“হে মহারাজ! চেদিরাজ ধৃষ্টকেতু নিহত হইলে তাঁহার আত্মা পিতৃলোকে প্রবেশ করিল। পিতৃবধে ক্রুদ্ধ তদীয় পুত্র দ্রোণের অভিমুখীন হইলে মহাবীর দ্রোণাচার্য্য মৃগশাবকঘাতী বলবান ব্যাঘ্রের ন্যায় তাঁহাকেও হাসিতে হাসিতে যমরাজের রাজধানীতে প্রেরণ করিলেন।

দ্রোণকর্ত্তৃক চেদিবীরগণ বধ

“হে কুরুরাজ! এইরূপে পাণ্ডবসৈন্যগণ বিনষ্ট হইতে আরম্ভ হইলে মহাবীর জরাসন্ধপুত্র স্বয়ং দ্রোণের অভিমুখে ধাবমান হইলেন এবং জলদাবলি যেরূপ দিবাকরকে সমাচ্ছন্ন করে, তদ্রূপ তাঁহাকে শরধারায় সমাচ্ছন্ন করিয়া ফেলিলেন। ক্ষত্রিয়মর্দ্দন মহাবীর দ্রোণ রথস্থিত মহারথ জরাসন্ধপুত্রের হস্তলাঘব দর্শন করিয়া অতি সত্বর বাণবৃষ্টিপূর্ব্বক তাঁহাকে আচ্ছন্ন করিয়া সমস্ত ধনুর্দ্ধরসমক্ষে তাঁহার প্রাণসংহার করিলেন। হে মহারাজ! এইরূপে তৎকালে সমরভূমিতে যে যে বীর সেই কালান্তকযমোপম দ্রোণাচার্য্যের সহিত সংগ্রাম করিতে সমাগত হইলেন, মহাবীর দ্রোণ তাঁহাদের সকলকেই সংহার করিতে লাগিলেন। তৎপরে তিনি স্বীয় নামাঙ্কিত অসংখ্যশরে পাণ্ডবপক্ষীয় যোদ্ধাগণকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিলেন। সেই নামাঙ্কিত দ্রোণনিক্ষিপ্ত শাণিত শরসমুদয় অসংখ্য হস্তী, অশ্ব ও মনুষ্যগণকে আহত করিল। আচাৰ্য্যশরপীড়িত পাঞ্চালেরা ইন্দ্ৰনিপীড়িত অসুরগণের ন্যায় ও শীতাৰ্দিত গো-গণের ন্যায় কম্পিত হইতে লাগিল।

“হে ভরতকুলতিলক! এইরূপে সৈন্যসকল দ্রোণশরে নিপীড়িত হইলে পাণ্ডবদিগের মধ্যে ঘোরতর আর্ত্তনাদশব্দ সমুত্থিত হইল। ঐ সময়ে পাঞ্চালবংশোদ্ভব মহারথেরা আতপতাপে উত্তপ্ত ও ভারদ্বাজের শরজালে নিপীড়িত হইয়া একান্ত ভীতচিত্তে অবস্থান করিতে লাগিলেন এবং অনেকে মোহপ্রাপ্ত হইলেন। তখন চেদি, সৃঞ্জয়, কাশি ও কোশলদেশীয় বীরগণ শক্তিদ্বারা মহাদ্যুতি দ্রোণাচাৰ্য্যকে যমভবনে প্রেরণ করিবার বাসনায় সকলে হৃষ্টচিত্তে ‘আজ দ্রোণ বিনষ্ট হইয়াছেন’, এই কথা বলিতে বলিতে যুদ্ধার্থ তাঁহার অভিমুখে গমন করিলেন। মহাবীর আচার্য্য সেই যত্নশীল বীরগণকে, বিশেষতঃ চেদিশ্রেষ্ঠগণকে যমসদনে প্রেরণ করিলেন। এইরূপে চেদিদেশীয় বীরগণ বিনষ্ট হইলে পাঞ্চালেরা ক্ষীণবল ও দ্রোণশরে নিপীড়িত হইয়া কম্পিত হইতে লাগিল এবং তাহার অদ্ভুত কর্ম্ম ও অবয়ব [ক্রোধে উদ্দীপ্ত দেহ] পর্য্যবেক্ষণ করিয়া মহাবীর ভীমসেন ও ধৃষ্টদ্যুম্নকে আহ্বানপূর্ব্বক চীৎকার করিয়া কহিল, ‘এই ব্রাহ্মণ দ্রোণাচাৰ্য্য নিশ্চয়ই কঠোর তপশ্চরণ করিয়াছিলেন; তাহার প্রভাবেই সংগ্রামে ক্ষত্রিয়প্রধান বীরগণকে দগ্ধ করিতেছেন। ক্ষত্রিয়ের যুদ্ধ এবং ব্রাহ্মণের তপশ্চরণই প্রধান ধর্ম্ম। কৃতবিদ্য তপস্বী দর্শনমাত্রেই লোককে দগ্ধ করিতে পারেন। বহুসংখ্যক প্রধান প্রধান ক্ষত্রিয়েরা আচার্য্যের ঘোরতর অস্ত্রানল প্রভাবে দগ্ধ হইতেছেন। মহামতি দ্রোণাচাৰ্য্য স্বীয় বল ও উৎসাহের অনুরূপ কাৰ্য্য করিয়া সমস্ত প্রাণীগণকে মুগ্ধ করিয়া আমাদিগের বলক্ষয় করিতে আরম্ভ করিয়াছেন।

ধৃষ্টদ্যুম্নতনয় ক্ষত্ৰবর্ম্মার নিধন

“হে মহারাজ! তখন ধৃষ্টদ্যুম্নতনয় মহাবলপরাক্রান্ত মহাবীর ক্ষত্ৰবর্ম্মা তাঁহাদিগের সেই বাক্য শ্রবণপূর্ব্বক ক্ৰোধান্ধ দ্রোণের অভিমুখীন হইয়া অর্দ্ধচন্দ্রবাণে তাঁহার সশর শরাসন ছেদন করিয়া ফেলিলেন। ক্ষত্রিয়মর্দ্দন দ্রোণ তদ্দর্শনে সাতিশয় ক্রোধাবিষ্ট হইয়া অন্য কার্মুক গ্রহণ ও তাহাতে শত্ৰুনিপাতন, ভাস্বর, বেগবান বাণ সন্ধান করিয়া শরাসন আকর্ণ আকর্ষণপূর্ব্বক শর পরিত্যাগ করিলেন। দ্রোণনির্মুক্ত বাণ ক্ষত্ৰবর্ম্মার হৃদয় বিদারণপূর্ব্বক তাঁহাকে সংহার করিয়া ধরাতলে নিপতিত হইল। এইরূপে ধৃষ্টদ্যুম্নপুত্র নিহত হইলে সমুদয় সৈন্য ভয়ে কম্পিত হইতে লাগিল।

“অনন্তর মহাবলপরাক্রান্ত চেকিতান দ্রোণকে আক্রমণপূর্ব্বক দশবাণে বিদ্ধ করিয়া পুনরায় তাহার বক্ষঃস্থলে শর নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন এবং তৎপরে চারিবাণে তাঁহার চারি অশ্ব ও চারিবাণে সারথিকে বিদ্ধ করিলেন। তখন মহাবীর দ্রোণ যোড়শশরে চেকিতানের দক্ষিণভুজ বিদ্ধ করিয়া ষোড়শশরে তাঁহার ধ্বজ ও সাতশরে সারথিকে ছেদন করিয়া ফেলিলেন। সারথি নিহত হইলে অশ্বগণ চেকিতানের রথ লইয়া পলায়ন করিতে লাগিল। পাঞ্চাল ও পাণ্ডবগণ চেকিতানের রথ সারথিবিহীন অবলোকন করিয়া নিতান্ত ভীত হইলেন। ঐ সময়ে পঞ্চাশীতিবর্ষবয়স্ক আকর্ণপালিত [বার্দ্ধক্যের জরায় কর্ণ পৰ্য্যন্ত লোলিত-কাণ ভাঙ্গিয়া পড়া] বৃদ্ধ দ্রোণাচাৰ্য্য চতুর্দ্দিকে সমবেত চেদি, পাঞ্চাল ও সৃঞ্জয়গণকে বিভ্রাবিত করিয়া যোড়শবর্ষীয় যুবার ন্যায় রণস্থলে বিচরণ করিতে লাগিলেন। শত্রুগণ তাঁহাকে বজ্রহস্ত বাসবের ন্যায় বোধ করিলেন। পরে মহাবাহু মতিমান দ্রুপদরাজ বলিতে লাগিলেন, ‘ব্যাঘ্র যেরূপ লোভপরবশ হইয়া ক্ষুদ্র মৃগসমুদয় বিনাশ করে, তদ্রূপ এই লুব্ধ দুরা দুৰ্য্যোধন ক্ষত্রিয়গণকে বিনাশ করিতেছেন। পরকালে অবশ্যই উহাকে নরকগামী হইতে হইবে। ঐ দুরাত্মার লোভেই শত শত প্রধানতম ক্ষত্রিয়েরা সমরে নিহত ও রুধিরলিপ্তগাত্রে নিকৃত্ত বৃষভের ন্যায় শৃগাল ও কুক্কুরকুলে ভক্ষ্য হইয়া রণভূমিতে শয়ান রহিয়াছেন। হে মহারাজ! অক্ষৌহিণীপতি দ্রুপদরাজ এই কথা বলিয়া পাণ্ডবদিগকে পুরোবর্তী করিয়া অবিলম্বে দ্রোণাভিমুখে ধাবমান হইলেন।”