নিষ্ঠুর ব্যাধ হল সত্যতপা ঋষি
মহান তপস্যী আরুণির আশ্রম ছিল দেবিকা নদীর তীরে। নিত্যদিনের মত আরুণি স্নান করলেন, নারায়ণের নাম উচ্চারণ করে যখন তীরে উঠলেন, তখন এক সর্বনাশা কাণ্ড দেখলেন। একটা ব্যাধ ধনুকে তির যোজনা করে দাঁড়িয়ে আছে তাকে মারবার জন্য। মুনি ভয়ে কাঁপতে থাকেন, কিন্তু ব্যাধ তো কখনও কোনো মুনিঋষিকে হত্যা করে না। তারা তো কেবল পশুপাখি হত্যা করে। এখন আমি নিজেকে রক্ষা করবো কীভাবে।
তিনি কিছু স্থির করতে পারলেন না। তিনি আবার নদীতে নেমে গেলেন। জলে নেমে তিনি নারায়ণকে স্মরণ করলেন।
সেই ব্যাধ কিন্তু তির নিয়ে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকল। ব্রাহ্মণদের প্রতি তার ভীষণ আক্রোশ। কারোর গলায় পৈতা দেখলে তাকে সে হত্যা করে। মুনি যখন নারায়ণকে স্মরণ করছিলেন, তখন ব্যাধ দেখল মুনির কাছ থেকে এক অপূর্ব জ্যোতি বেরোচ্ছে। সেই জ্যোতিতে চোখ যেন ঝলসে যায়। ব্যাধের হাত থেকে আপনা আপনি তির-ধনুক খসে পড়ে গেল।
আরুণি দেখলেন ব্যাধের হাতে তির-ধনুক নেই। সে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আগের ক্রোধ ও রক্তচক্ষু তার নেই। মুনিবর তখন সাহস সঞ্চার করে নদীর তরে উঠে এলেন। আর তখন ব্যাধটি লুটিয়ে পড়ল তার চরণে।
সে মুনিকে বলতে লাগল–আমি বড় পাপী, জীবনে বহু পাপ করেছি। আমি বহু মুনি-ঋষি, ব্রাহ্মণ ও নারীকে হত্যা করেছি। আমাকে বলুন আমি এখন কি করে উদ্ধার পাব।
সে বহুক্ষণ কাকুতি-মিনতি করতে লাগল। কিন্তু আরুণির মনে কোনোরূপ করুণার সঞ্চার হল না। বহু কষ্টে নিজের পা থেকে সেই ব্যাধকে ছাড়িয়ে নিজের আশ্রমে চলে গেলেন আরুণি।
ব্যাধ তখন প্রতিজ্ঞা করল–আমি একদিন না একদিন এই মুনির করুণা পাবই পাব। সে ধনুর্বান ছুঁড়ে ফেলে দিল। সে সেই দেবিকা নদীর তীরে একটি গাছের তলায় বসে রইল। মন থেকে সে হিংসা দূর করে দিল।
আরুণি রোজ সেই দেবিকা জলে স্নান করেন এবং আশ্রমে চলে যান। ব্যাধ প্রতিদিন তার চলার পথের ধারে হাতজোড় করে বসে থাকে এবং কাঁদতে থাকে মুনির করুণা লাভের আশায়। কিন্তু মুনি তাকে দেখেও দেখে না যেন। ব্যাধ কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিল না। নিত্যদিন সেই নদীতে স্নান করে এবং সে সেই নদীর জল খেয়ে বেঁচে আছে। আর সে কিছুই খায় না।
এইভাবে দিন বয়ে যেতে থাকে। একদিন একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল। নিত্যদিনের মত আরুণি মুনি জলে স্নান করলেন এবং নামজপ করলেন। তারপর সেই তীরে উঠতে যাবেন তখন দেখেন একটা বাঘ তার দিকে লক্ষ্য করে কঁপাতে আসছে।
ব্যাধ সেই বাঘটিকে দেখে তৎক্ষণাৎ ধনুকের তির মারল। বাঘের দেহ বিদীর্ণ হয়ে গেল। বাঘ সেখানেই লুটিয়ে পড়ল। এদিকে বাঘকে দেখেই মুনিবর ঝাঁপিয়ে পড়লেন নদীতে এবং নারায়ণ’ নারায়ণ’ নাম উচ্চারণ করতে থাকলেন।
সঙ্গে সঙ্গে একটা অদ্ভুত কাণ্ড ঘটে গেল। মরে যাওয়া বাঘের শরীর থেকে বেরিয়ে এল এক দিব্য সুপুরুষ।
মুনিবর বিস্মিত হলেন। এগিয়ে এলেন সেই পুরুষের দিকে। ব্যাধ এল এগিয়ে। মুনি জিজ্ঞাসা করলেন–কে তুমি? কোথা থেকে এখানে এলে?
সুপুরুষ মুনির চরণে প্রণাম জানিয়ে বলল–আমি রাজা দীর্ঘবাহু।
কিন্তু আপনি বাঘের দেহের মধ্যে এলেন কেমন করে? জানতে চাইলেন মুনিবর।
রাজা দীর্ঘবাহু তখন তাঁর করুণ কাহিনি বলতে লাগল–আমি ক্ষত্রিয় রাজা হলেও বাল্যকাল থেকেই আমার শাস্ত্রজ্ঞান লাভের প্রবল ইচ্ছা থাকায় বহু বিদ্যা অর্জন করি। বেদাদি প্রায় সকল শাস্ত্রই আমি অধ্যয়ন করি। সকল শাস্ত্র পড়ে আমি পণ্ডিত হয়ে যাই। তারপর আমার মনে হল আমিতো সকল শাস্ত্র পড়ে পণ্ডিত হয়ে উঠেছি, তাহলে আমি ব্রাহ্মণদের থেকে কম কিসে! তাই আমি ব্রাহ্মণদের শ্রদ্ধা করতাম না। তারপর আমি রাজা হলাম, পিতার রাজসভায় যে-সকল ব্রাহ্মণ ছিলেন, তাদেরকে রাজসভা থেকে বিদায় দিলাম।
সেই ব্রাহ্মণরা অপমানিত হয়ে আমাকে অভিশাপ দিলেন–তোমার এমন দম্ভের কারণে তুমি বাঘ হয়ে জন্মাবে।
ব্রাহ্মণদের মুখে অভিশাপ শুনে আমার জ্ঞান হল–আমি একি করলাম! পাণ্ডিত্যের অভিমানে আমি জ্ঞাণীগণকে অপনানিত করলাম। তখন আমি সেই ব্রাহ্মণদের পায়ে লুটিয়ে পড়ে ক্ষমা চাইলাম।
ব্রাহ্মণগণ আমার বিনয় দেখে বললেন–ব্রাহ্মণবাক্য কখনও মিথ্যা হবার নয়। বাঘ তোমাকে হতেই হবে। যদি তুমি কখনও তিরবিদ্ধ হও, আর তখন যদি তুমি নারায়ণের নাম শুনতে পাও, তখন তোমার মুক্তি হবে।
অনেকদিন ধরে আমি বাঘরূপে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এতদিন পরে আমার সেই শাপমুক্তি হল। হে সুব্রত, আজ আপনি আমার খাদ্য হয়ে নারায়ণ নাম শোনালেন। তাতেই আমি মুক্তি পেলাম। তাই আপনার চরণে আমার অসংখ্য প্রণাম।
তারপরে রাজা ব্যাধের দিকে তাকিয়ে বলল–তুমি না তির মারলে আমার মুক্তি সম্ভব হতো না, তোমার মঙ্গল হোক।
এই কথাগুলো বলে দীর্ঘবাহু রাজা চলে গেল।
তারপরে মুনিবর আরুণি সেই ব্যাধকে ডাকলেন। বললেন, তুমি বহুদিন এই পবিত্র নদীতে স্নান করেছ, আর প্রত্যেকদিন আমার কণ্ঠে নারায়ণ নাম শুনেছ। তাই তুমি পবিত্র আর আমাকে তুমি বাঘের হাত থেকে রক্ষা করলে, তাই তোমার শরীরে কোনো পাপ থাকতে পারে না। তোমাকে আমি দীক্ষা দেব, তুমি স্নান করে এস।
ব্যাধ আনন্দে স্নান করে এলো। আরুণি তার কানে মন্ত্র দিলেন। বললেন–তুমি ‘নারায়ণ’ নাম করবে। এবং চতুর্ভুজ শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী নারায়ণের ধ্যান কর।
ব্যাধ খুব খুশি হলো। সে গুরুকে প্রণাম করল এবং নারায়ণের ধ্যানে বসে গেল। সারাদিনের মধ্যে একবার সে গাছের পাতা খেত, তারপরেই বসে যেত নারায়ণের ধ্যানে।
কিছুদিন এমনিভাবে চলার পরে ব্যাধ নদীতে স্নান সেরে খাওয়ার জন্য গাছের পাতা তুলতে গেল, তখন যেন কে বলে উঠল–তুমি গাছের পাতা তুলে খাবে না।
সেদিন থেকে ব্যাধ আর গাছের পাতা তুলল না। গাছের তলায় যে শুকনো পাতাগুলো পড়ে থাকত, সেগুলোই সে খেতো।
কিছুদিন পরে সে আবার শুনল তুমি শুকনো পাতাও খাবে না। সে আর পাতা খেল না। সম্পূর্ণ না খেয়ে সে নারায়ণ নাম জপ করতে লাগল। জড়দেহে খাবার না দিলে কেমন করে থাকবে সেই দেহ। ক্রমে ক্রমে তার শরীর কঙ্কালসার হয়ে গেল। দেহটি হাড়সার হয়ে উঠল।
দুর্বাসা মুনি একদিন সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন এক কঙ্কালসার ব্যাধকে। মনে মনে ভাবলেন–এর তপস্যার শক্তি একবার পরখ করে দেখি। এই ভেবেই তার কাছে চলে গেলেন।
মুনিকে দেখে ব্যাধ প্রণাম জানাল এবং তাকে বসবার জন্য আসন দিল।
মুনি তখন ব্যাধকে বললেন–তার ভীষণ ক্ষিদে পেয়েছে। বহু পথ ঘুরে ঘুরে তিনি ক্লান্ত। তিনি সারাদিন কিছু খাননি।
ব্যাধ মহা সঙ্কটে পড়ে গেল। নিজে কিছু আহার করে না, তাই তার কাছে কোনো আহারের সামগ্রী নেই, এখন নারায়ণই ভরসা। তখন সে একমনে নারায়ণকে ডাকতে লাগল। হে নারায়ণ, তুমিই আমার সহায়। তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নাই। আমি যদি এই অতিথির সেবা না করতে পারি, তাহলে আমার মহাপাপ হবে। তুমি দেখো ঠাকুর আমার দ্বারা যেন কোনো পাপ না হয়।
এইভাবে জপ করতে করতে ব্যাধের হাতে একটি থালা এসে পড়ল। ব্যাধ তখন দুর্বাসা মুনিকে বলল–হে মুনিবর, আপনি একটু অপেক্ষা করুন, আমি আসছি।
এই বলে ব্যাধ চলল নগরের দিকে। হঠাৎ কয়েকজন রমণী এসে তার থালা ভর্তি করে দিল ফলমূল আর সুস্বাদু খাবার দিয়ে। ফিরে এলো ব্যাধ, খেতে দিলেন মুনিবরকে।
এতো খাবার দেখে দুর্বাসা খুশি হলেন, এবং অবাকও হলেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে সে এতো খাবার পেল কী করে। তারপর বললেন–আমার আচমনের জন্য নদীর জল চাই। এখান থেকে নদী তো অনেক দূরে। আমার বর্তমানে যে ক্ষুধার জ্বালা, তা আমি আর সহ্য করতে পারছি না। তুমি এক্ষুনি একটা ব্যবস্থা কর।
অতিথির নদীর জল ছাড়া আচমন হবে না। আর নদী থেকে জল আনতে অনেক সময় লাগবে। মুনি ততক্ষণ ধৈৰ্য্য ধরতে পারবেন না। তখন ব্যাধ আবার নারায়ণকে স্মরণ করলেন। বললেন–হে ঠাকুর, আমার অতিথি অভুক্ত আছেন নদীর জলের অভাবে, তুমিই আমার একমাত্র ভরসা। তুমি একটা ব্যবস্থা কর।
ব্যাধ চোখ বুজে নারায়ণের কাছে আবেদন জানালো। হঠাৎ দুর্বাসা মুনি অবাক হয়ে দেখেন, দেবিকা নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে তারই কাছ দিয়ে বয়ে চলেছে।
ব্যাধের তপস্যার প্রভাব দেখে দুর্বাসা মুনি অবাক হয়ে যান। তিনি ব্যাধকে আলিঙ্গন করে বললেন– ধন্য তোমার জপের সাধন। আমি তোমাকে পরীক্ষা করতে এসেছিলাম। আর সেই পরীক্ষায় তুমি উত্তীর্ণ হয়েছে। আমি তোমার নাম রাখলাম ‘সত্যতপা’ আর আশীর্বাদ করছি–তুমি শাস্ত্রজ্ঞ সুপণ্ডিত হবে।
দুর্বাসাকে প্রণাম করে ব্যাধ বলল–আমি জাতিতে ব্যাধ, শুদ্র, পশু-পাখি হত্যা করা ছিল আমার পেশা। আমি মুখ মানুষ। শাস্ত্র পড়ার ক্ষমতা আমার নেই, আর পড়ার অধিকারও নেই।
দুর্বাসা বললেন–তোমার দেহ পূর্বে অধম শূদ্র ছিল। কিন্তু বর্তমানে তপস্যা দ্বারা তা শুদ্ধ হয়েছে। তাই তুমি বেদশাস্ত্র পড়ার অধিকারী হয়েছে।
তখন থেকেই ব্যাধ ‘সত্যতপা’ নামে পরিচিত হয়। সে মহাজ্ঞানী হয়। সে আরো কঠোরভাবে তপস্যা করার জন্য হিমালয়ে যায়। সেখানে পুরুষাভদ্রা নামে এক নদীর তীরে ভদ্রবট নামে এক অক্ষয় বটের তলায় বসে ‘সত্যতপা’ সাধনায় বসলেন। শুকনো কাঠ সংগ্রহ করে নিত্য হোম করতে লাগলেন।
কিন্নর আর তার স্ত্রী সেই ভদ্রবট গাছে থাকত। তারা সত্যতপার নিত্য সাধনা দেখতো। একদিন সত্যতপা মুনি হোমের জন্য জপ করে কাঠ কাটছেন। তখন কাঠ কাটতে গিয়ে তার একটা আঙ্গুল কেটে গেল, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেই কাটা জায়গা দিয়ে কোন রক্ত বের হল না। শুধু একটু ছাই বেরোলো।
কিন্নর মুনির সেই বিস্ময়কর ব্যাপার দেখল। তারপরে সে বিস্মিত হয়ে ছুটে চলল রুদ্র সরোবরে। সেই সময় ইন্দ্র, দেবতাগণ, যক্ষগণ আর গন্ধবরাও ছিলেন সেখানে। কিন্নর একে একে সবাইকে বললেন–সত্যতপা ঋষির আশ্চর্য ঘটনা।
এই ঘটনা শুনে ইন্দ্রের খুব ইচ্ছা হল ঋষিকে দেখার। তিনি বিষ্ণুকে বললেন–চলুন দেখে আসি। পরীক্ষা করে দেখব কত বড় তপস্বী তিনি।
ইন্দ্র ব্যাধ এবং বিষ্ণু শূকরের রূপ ধারণ করলেন। এরপরে তারা ভদ্রবটের কাছাকাছি এলেন সত্যতপাকে পরীক্ষা করবেন বলে। ঋষি দেখলেন–একটা শূকর তার সামনে দিয়ে ছুটে গেল। একটু পরেই একজন ব্যাধ ধনুকে তির যোজনা করে ছুটে আসছে, তারপর সেই শূকরটা যেন কোথায় ঝোপে হারিয়ে গেল।
ব্যাধ সত্যতপা ঋষিকে এসে জিজ্ঞেস করল–একটা শূকরকে দেখেছেন এখানে, অনেকক্ষণ ধরে পিছু নিয়েছি, কিন্তু কিছুতেই বাগে আনতে পারিনি। এদিকেই এল, কিন্তু আর দেখতে পাচ্ছি না। আর সকাল থেকে কোন শিকার পাইনি। একটা শূকরকে যদিও দেখতে পেলাম কিন্তু ধরতে পারলাম না, কোথায় গিয়ে লুকিয়ে গেল। আজকে যদি কোনো শিকার না পাই, তাহলে আমার পুরো পরিবার না খেয়ে মারা যাবে। আপনি কি দেখেছেন–সেই শূকরটা কোন দিকে গেল?
সত্যতপা ঋষি ব্যাধের কথা শুনে উভয়সঙ্কটে পড়লেন। শূকরটি কোথায় লুকিয়ে আছে তা বলে দিলে, সে বেচারা মারা যাবে। আর তার খোঁজ না দিলে ব্যাধের পরিবার মারা যাবে না খেতে পেয়ে।
তিনি তখন চোখ বুজে নারায়ণের শরণ নিলেন। ঠাকুর তুমিই বলে দাও এখন আমি কি করব?
ঋষি যখন আকুলভারে শ্রীহরিকে ডাকছেন, তখন একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটে গেল। চোখ খুলে ঋষি দেখলেন, সামনে নারায়ণ দাঁড়িয়ে আছেন, আর তার পাশে ইন্দ্র, ব্যাধও নেই, শূকরটিও নেই। তাঁদের দেখে ঋষি প্রণাম জানালেন। ঋষিকে বর দিয়ে তারা অন্তর্হিত হলেন।
সত্যতপার সাধনা হল বহুদিনের। হঠাৎ একদিন তার আশ্রমে এসে হাজির হলেন তার গুরুদেব মুনিবর আরুণি। সত্যতপা গুরুদেবকে দেখে প্রফুল্লিত হল। গুরুর চরণে সে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম জানালো। আরুণি তাকে তুলে নিয়ে বুকে জড়িয়ে আলিঙ্গন করলেন। গুরু শিষ্যের অপূর্ব মিলন হলো।
আরুণি বললেন–সত্যতপা, তোমার সাধনা সিদ্ধ হয়েছে। এখন চল আমরা নিত্যধামে ফিরে যাই।
সেখানে তখন এক দিব্য রথ এল। দুজনে তাতে চড়ে বসলেন, ধীরে ধীরে সেই দিব্য রথ তাদেরকে নিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল।