ভবিষ্য পুরাণের সৃষ্টির কথা
চতুর্দশ ভুবনের কথা জানা যায় ইতিহাস, পুরাণ প্রভৃতি পাঠ করে। আর এ সবই অতীত কাহিনি। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা জানতে আমরা সকলেই কৌতূহলী। নিজের ভবিষ্যত জানার ইচ্ছায় প্রত্যেকেই ছুটে যায় জ্যোতিষির কাছে।
অষ্টাদশ পুরাণ প্রণয়ন করেন মহামুনি ব্যাসদেব। নৈমিষারণ্যে শৌনকাদি ষাট হাজার মুনির সামনে প্রথমতঃ লোমহর্ষণ মুনি সেই সব পুরাণ কথা বর্ণনা করেন। লোমহর্ষণ সূতের মুখে পৃথিবীর আদি বৃত্তান্ত, পুরাণ, ইতিহাস বিশদভাবে শুনলেন শৌনকাদি মুণিগণ। ভবিষ্যতের বিষয় সম্বন্ধে শুনতে ইচ্ছা হল।
প্রশ্ন করলেন–ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সামান্য ব্যাধের দ্বারা তার লীলা সম্বরণ করলেন। পাণ্ডবদের মধ্যে কত বিপর্যয় ঘটে গেল, তারা পরীক্ষিতকে পৃথিবী পালনের ভার দিয়ে মহাপ্রস্থানে গমন করলেন। ব্রহ্মশাপগ্রস্ত হয়ে সর্পদংশনে মৃত্যু হল পরীক্ষিতের। তার পুত্র জন্মেজয় রাজা হলেন। তিনি সর্প নিধন যজ্ঞ করলেন। সে যজ্ঞ আস্তিক মুনির উপদেশেও সমাপ্ত হল না।
এরপর শৌনকাদি মুনিগণ জানতে চাইলেন ও ত্রিভুবনে কি ঘটনা ঘটবে? সৃষ্টি কিভাবে চলবে?
মহামুনি পরাশর নন্দন বেদব্যাস ত্রিকালজ্ঞ, দিব্যদর্শী। অসীম আনন্দ জ্ঞানের অধিকারী। দিব্যদৃষ্টি দ্বারা ভবিষ্যতের সকল বিষয় অবগত হয়ে তা জানিয়ে দিলেন তাঁর শিষ্য লোমহর্ষণকে। শৌনকাদি মুনিগণের কৌতূহল মেটাবার জন্য তিনি সেই ভবিষ্যতের কথা বলতে শুরু করলেন। ভবিষ্য পুরাণ সেইসব কাহিনিতে ভরা।