ব্রহ্মপুরাণ (পৃথ্বীরাজ সেন)
অষ্টাদশ পুরাণ সমগ্র অখণ্ড সংস্করণ
উপদেষ্টা– শ্রী নরেশচন্দ্র শাস্ত্রী
সম্পাদনা • পরিমার্জনা • গ্রন্থনা– পৃথ্বীরাজ সেন
ব্ৰহ্মপুরাণের সৃষ্টির কথা
রাজসিক মহাপুরাণের মধ্যে ব্রহ্মপুরাণ একটি। পুরাকালে এক সময় প্রজাপতি দক্ষসহ বহু মুনি ঋষি পৃথিবীর রহস্য জানবার জন্য ব্রহ্মার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেনকেমন করে পৃথিবীর সৃষ্টি হল? পৃথিবীতে প্রাণীর সৃষ্টিই কেমন করে হল? কেমন করে কোন্ কোন্ স্থান তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হল?
ভগবানের নাভিকমল থেকে ব্রহ্মার সৃষ্টি। সেই ব্রহ্মাই এই জগতের সৃষ্টিকর্তা বিধাতা। কাজেই তিনি সকল সৃষ্টির রহস্য জানেন। কোন্ কোন্ রাজা কেমন প্রতাপশালী ছিলেন, কিভাবে রাজা প্রমাণ করতেন, কেমন করে পৃথিবী থেকে অত্যাচারীর বিনাশ হয়েছে, বহু বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন। আর মুনি ঋষিদের কৌতূহল পূর্ণ জিজ্ঞাসায় সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মদেব সৃষ্টির বিবরণ এসব ঋষিগণের সামনে প্রকাশ করেছেন। তাই এই পুরাণ ব্রহ্মপুরাণ নামে খ্যাত।
প্রথমে ব্যাসদেব এই ব্রহ্মপুরাণ রচনা করেন। তারপর তিনি তাঁর শিষ্য লোমহর্ষণকে শিশজ দেন। পরবর্তীকালে সেই লোমহর্ষণ সূত নৈমিষারণ্যে যজ্ঞাচারী সেই জ্ঞান দান করেন মুনিগণের সামনে এই পুরাণের কাহিনী যথাযথভাবে বর্ণনা করেন।