১০০. নারদ-মাতলির পক্ষিলোকপ্ৰবেশ

১০০তম অধ্যায়

নারদ-মাতলির পক্ষিলোকপ্ৰবেশ

“নারদ কহিলেন, “হে মাতলে! এই লোক পন্নগভোজী [সর্পভক্ষক] গরুড়পক্ষীদিগের বাসস্থান; আকাশগমনে ও ভারবহনে ইহাদিগের কিছুমাত্র পরিশ্রম হয় না। বিনতার সুমুখ, সুনামা, সুনেত্রী, সুর্ব্বর্চা, সুরুক ও সুবৰ্ণনামে ছয়পুত্রদ্বারা কাশ্যপকুল বিত্তীর্ণ হইয়াছে। ঐশ্বৰ্য্যবৰ্দ্ধন বিনতাকুলসম্ভুত প্রধান প্রধান বিহগগণ পক্ষিরাজের শতসহস্ৰ কুল সত্বরে পরিবৰ্দ্ধিত করিয়াছেন। এই কুলসম্ভুত সকলেই শ্ৰী ও শ্ৰীবৎসলক্ষণসম্পন্ন [দক্ষিণাবর্ত্ত বক্ষস্থ রোমরাজি] শ্ৰীলাভে সমুৎসুক এবং বলবান। নির্দয় ক্ষত্ৰিয়গণ কর্ম্মদোষে পন্নগভোজী হইয়া জন্ম পরিগ্রহ করিয়াছেন। তাঁহারা জ্ঞাতিক্ষয় করিয়াছিলেন বলিয়া ব্ৰাহ্মণত্ব লাভ করিতে পারেন নাই। এই কুল ভগবান বিষ্ণুর অনুগৃহীত; বিষ্ণুই ইহাদিগের দেবতা; বিষ্ণুই ইহাদিগের পরম আশ্রয়, বিষ্ণুই ইহাদিগের গতি; অতএব এই কুল অতি প্রশংসনীয়। এক্ষণে ইঁহাদিগের নাম কীর্ত্তন করি, শ্রবণ কর-সুবৰ্ণচূড়, নাগাশী, দারুণ, চণ্ডতুণ্ডক, অনিল, অনল, বিশালাক্ষ, কুণ্ডলী, পঙ্কজিৎ, বজ্রনিষ্কম্ভ, বৈনতেয়, বামন, বাতবেগ, দিশাচক্ষু, নিমিষ, অনিমিষ, ত্রিবার, সপ্তবার, বাল্মীকি, দীপক, দৈত্যদ্বীপ, সারস, পদ্মকেতন, সুমুখ, চিত্ৰকেতু, চিত্ৰবৰ্হ অনঘ, মেঘবৃৎ, কুমুদ, দক্ষ, সর্পান্ত, সোমভোজন, গুরুভার, কপোত, সূর্য্যনেত্র, চিরান্তক, বিষ্ণুধর্ম্মা, কুমার, পরিবর্হ, হরি, সুম্বর, মধুপর্ক, হেমবৰ্ণ, মলয়, মাতিরিশ্বা, নিশাকর, ও দিবাকর। আমি সংক্ষেপে গরুড়াত্মজদিগের মধ্যে কীর্ত্তিমান মহাপ্ৰাণ প্রধান প্রধান পক্ষিগণের নাম উল্লেখ করিলাম। যদি এ স্থানে তোমার অভিলষিত পাত্র না থাকে, তবে চল, যে স্থানে বর প্রাপ্ত হইবে, তথায় তোমাকে লইয়া গমন করি।’ ”