দ্ৰৌপদী আনয়নে দুৰ্য্যোধনের দূত প্রেরণ
বৈশম্পায়ন কহিলেন, মদমত্ত দুৰ্য্যোধন বিদুরকে ‘ধিক’ এই কথা বলিয়া সভাস্থ প্ৰতিকামীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, “হে প্রাতিকামিন্! তুমি শীঘ্র যাইয়া দৌপদীকে আনয়ন কর, পাণ্ডবগণ হইতে তোমার কিছুমাত্র ভয় নাই, বিদুর ভীত হইয়াই আমাকে ঐ সমস্ত বিরুদ্ধ কথা কহিলেন, বিশেষতঃ উনি আমাদের উন্নতি অভিলাষ করেন না।”
প্ৰতিকামী সূত দুৰ্য্যোধনের আদেশানুসারে শীঘ্ৰ গমনপূর্ব্বক কুকুকর যেমন সিংহযূথে প্রবেশ করে, তদ্রুপ পাণ্ডবগণের ভবনে প্রবেশপূর্ব্বক দ্রৌপদীর সমীপে সমুপস্থিত হইয়া তাঁহাকে কহিল, “হে দ্রুপদনন্দিনী! যুধিষ্ঠির দ্যূতক্রীড়ায় একান্ত আসক্ত হইয়া তোমাকে পণ রাখিয়াছিলেন, দুৰ্য্যোধন তোমাকে জয় করিয়াছেন; অতএব হে যজ্ঞসেনি! তোমাকে ধৃতরাষ্ট্রভবনে গমন করিয়া কর্ম্মকরীর ন্যায় কর্ম্ম করিতে হইবে; আমি তোমাকে লইয়া যাইতে আসিয়াছি।” দ্রৌপদী কহিলেন, “হে প্ৰতিকামিন! তুমি কেন এরূপ প্ৰলাপ বাক্য কহিতেছ? কোন রাজপুত্ৰ পত্নী পণ করিয়া ক্রীড়া করে? নিশ্চয়ই বোধ হইতেছে, রাজা দ্যূত-মদে মত্ত হইয়াছেন, তাহার কি অন্য কোন পণ রাখিবার দ্রব্য ছিল না?” প্ৰতিকামী কহিল, “হে দ্ৰৌপদি! মহারাজ যুধিষ্ঠির সমস্ত ধন পরাজিত হইয়া অগ্ৰে ভ্ৰাতৃগণকে, তৎপরে আপনাকে এবং তৎপশ্চাতে তোমাকে দুরোদরমুখে সমৰ্পণ করিয়াছেন।” দ্রৌপদী কহিলেন, “হে সূতনন্দন! তুমি সভায় গমন করিয়া যুধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞাসা কর, তিনি অগ্রে আমাকে কি আপনাকে দ্যূতমুখে বিসর্জন করিয়াছেন? হে সূতাত্মজ! তুমি যুধিষ্ঠিরের নিকট এই বৃত্তান্ত জানিয়া এ স্থানে আগমনপূর্ব্বক আমাকে লইয়া যাইও, ধর্ম্মরাজ কিরূপে পরাজিত হইয়াছেন, জানিয়া আমি তথায় গমন করিব।”
প্ৰতিকামী কৃষ্ণার বচনানুসারে সভায় গমনপূর্ব্বক ভূপতিমণ্ডল মধ্যে সমুপবিষ্ট যুধিষ্ঠিরকে দ্রৌপদীর বাক্য কহিতে লাগিল, “হে ধর্ম্মরাজ! দ্রৌপদী আপনাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছেন, আপনি কাহার অধীশ্বর হইয়া তাহাকে দূতে সমর্পণ করিয়াছেন, আর অগ্ৰে আপনাকে, কি তাহাকে দুরোদরমুখে বিসর্জন করিয়াছেন?” ধর্ম্মানন্দন প্ৰতিকামীর মুখে দ্রৌপদীর বাক্য শ্রবণানন্তর অস্পন্দের ন্যায় ভালমন্দ কিছুই বলিতে পারিলেন না। তখন দুৰ্য্যোধন কহিলেন, “হে প্ৰতিকামিন। পাঞ্চালী এই স্থানে আসিয়া তাহার যাহা প্রশ্ন থাকে করুক, সভাস্থ সমুদয় জনগণ তাহার ও যুধিষ্ঠিরের প্রশ্নোত্তর শ্রবণ করুন।”
প্ৰতিকামী সূত দুৰ্য্যোধনের বচনানুসারে পুনর্ব্বার পাণ্ডবগণের ভবনে গমনপূর্ব্বক দুঃখার্তের ন্যায় দ্রৌপদীকে কহিল, “হে রাজপুত্রি! সভ্যগণ তোমাকে আহ্বান করিতেছেন, বোধ হয়, এইবার কুরুকুল সমূলে উন্মুলিত হইল। পাপাত্মা দুৰ্য্যোধন ঐশ্বৰ্য্যমদে মত্ত হইয়া তোমাকে তথায় লইয়া যাইবার মানস করিয়াছে।” দ্রৌপদী কহিলেন, “হে সূতনন্দন! বিধাতাই এরূপ বিধান করিয়াছেন। পৃথীতলে ধর্ম্মই সর্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আমরা সেই ধর্ম্ম রক্ষা করিব। রক্ষ্যমান ধর্ম্ম অবশ্যই আমাদিগের শান্তিবিধান করিবেন। আমি প্রার্থনা করি, ধর্ম্ম যেন কৌরবগণের প্রতি বিমুখ না হয়েন। হে সূতনন্দন! তুমি সভ্যগণ-সমীপে যাইয়া ধর্ম্মতঃ আমার কি করা কর্তব্য, জিজ্ঞাসা কর; সেই নয়শালী বরিষ্ঠ ধর্ম্মাত্মগণ যাহা কহিবেন, আমি নিশ্চয় তাঁহাই করিব।”
প্ৰতিকামী যাজ্ঞসেনীর সেই বচন শ্রবণানন্তর সভায় গমন করিয়া সভ্যগণ-সমীপে তাহার বাক্য কহিল। সভ্যগণ শ্রবণ করিয়া অধোমুখে রহিলেন, দুৰ্য্যোধনের আগ্রহাতিশয় বুঝিয়া কেহই কিছু কহিলেন না। তখন ধর্ম্মাত্মা যুধিষ্ঠির দুৰ্য্যোধনের অভিপ্ৰায় বুঝিয়া দ্রৌপদীর নিকট দূত প্রেরণ করিলেন এবং কহিয়া দিলেন যে, “একবস্ত্রা, অধোনীবী [কটিবন্ধনবস্ত্র], রজস্বলা পাঞ্চালী রোদন করিতে করিতে শ্বশুরের সমীপে সমুপস্থিত হউন।” দূত ধর্ম্মরাজের আদেশানুসারে সত্বরে কৃষ্ণার ভবনে গমনপূর্ব্বক যুধিষ্ঠিরের বাক্য নিবেদন করিল। মহাত্মা পাণ্ডবগণ যৎপরোনাস্তি দুঃখিত হইয়া ইতিকর্তব্যতা বিমূঢ় হইলেন। দুরাত্মা দুৰ্য্যোধন পাণ্ডবগণের বিষণ্ন বদন নিরীক্ষণে সাতিশয় সন্তুষ্ট হইয়া প্ৰতিকামীকে কহিল, “হে প্ৰাতিকামিন! তুমি এই স্থানে দ্ৰৌপদীকে আনয়ন কর, কৌরবগণ তাহার সমক্ষে তাহার প্রশ্নের উত্তর করুন।” প্রাতিকামী দুর্য্যোধনের বশবর্তী; কিন্তু দ্রৌপদীর ভয়ে ভীত হইয়া মান পরিত্যাগপূর্ব্বক পুনর্ব্বার সভ্যগণকে জিজ্ঞাসা করিল, “আমি কৃষ্ণাকে কি বলিব?”
দুঃশাসন কর্তৃক সভায় দ্ৰৌপদী আনয়ন
তদনন্তর দুৰ্য্যোধন প্রাতিকামীর প্রতি ক্ৰোধ প্রকাশপূর্ব্বক স্বীয় অনুজ দুঃশাসনকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “হে দুঃশাসন! এই প্ৰাতিকামী সূতপুত্র নিতান্ত ক্ষুদ্রচেতাঃ, এ বৃকোদরকে ভয় করে, তুমি স্বয়ং গিয়া যাজ্ঞসেনীকে আনয়ন কর, অবশ শত্রুগণ তোমার কি করিতে পরিবে?”
দুঃশাসন কর্তৃক দ্ৰৌপদীর কেশাকর্ষণ
দূরাত্মা দুঃশাসন দুৰ্য্যোধনের বাক্য শ্রবণমাত্র আরক্ত নয়নে ত্বরায় গমন করিয়া মহারথ পাণ্ডবগণের নিকেতনে প্রবেশপূর্ব্বক দ্রৌপদীকে কহিল, “হে পাঞ্চালি! তুমি দ্যূতে পরাজিত হইয়াছ; আমার সহিত আগমন করিয়া লজ্জা পরিত্যাগপূর্ব্বক দুৰ্য্যোধনকে অবলোকন কর। হে কমলনয়নে! তুমি কুরুদিগকে ভজনা কর। আমরা তোমাকে ধর্ম্মতঃ লাভ করিয়াছি; সভায় আগমন কর।” দ্ৰৌপদী দুরাত্মা দুঃশাসনের বাক্য শ্রবণে সাতিশয় দুঃখিত ও ভীত হইয়া বৃদ্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্রের স্ত্রীগণের সমীপে দ্রুতবেগে গমন করিলেন। দুরাত্মা দুঃশাসন ক্রোধাভরে তর্জনগর্জন করতঃ বেগে তাঁহার সমীপে গমন করিয়া বলপূর্ব্বক কেশগ্রহণ করিল। আহা! যে কুন্তলকলাপ ইতিপূর্ব্বে রাজসূয় যজ্ঞের অবভৃথস্নানসময়ে মন্ত্রপূত জল দ্বারা সিক্ত হইয়াছিল, এক্ষণে দুরাত্মা ধৃতরাষ্ট্রতনয় পাণ্ডবগণকে পরাভব করিয়া সেই চিকুরচয় বলপূর্ব্বক গ্ৰহণ করিল। দুর্ম্মতি দুঃশাসন সনাথা কৃষ্ণাকে অনাথার ন্যায় কেশাকর্ষণপূর্ব্বক সভাসমীপে আনয়ন করিল। দীর্ঘকেশী দ্রৌপদী বাতবেগান্দোলিত কদলীপত্রের ন্যায় কম্পিত হইতে হইতে অতি বিনীতবচনে কহিলেন, “হে দুঃশাসন! আমি রজস্বলা হইয়াছি; একমাত্র বসন ধারণ করিয়াছি; এ অবস্থায় আমাকে সভায় লইয়া যাওয়া উচিত নহে।” দুরাত্মা দুঃশাসন তাহার বাক্য উপেক্ষা করিয়া দৃঢ় রূপে কেশাকর্ষণপূর্ব্বক কহিল, “হে যাজ্ঞসেনি! তুমি রাজস্বলাই হও, একম্বারাই হও বা বিবস্ত্ৰই হও, দ্যূতে নির্জিত হইয়া আমাদের দাসী হইয়াছ, এক্ষণে অপর স্ত্রীর ন্যায় দাসীগণমধ্যে বাস করিতেই হইবে।” দ্রৌপদী এইরূপ কটুবাক্যে অতীব পীড়িত হইয়া আত্মত্ৰাণের নিমিত্ত হা কৃষ্ণ! হা অর্জ্জুন! হা হরে! হা নর!” বলিয়া চীৎকারপূর্ব্বক ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন।
দ্রৌপদীর সখেদ ক্ৰন্দন
তখন দুঃশাসনের দারুণ আকর্ষণে প্রকীর্ণকেশা ও পতিতাৰ্দ্ধবাসনা দ্রুপদনন্দিনী এককালে লজ্জায় ও ক্রোধে অভিভূত হইয়া কহিতে লাগিলেন, “রে দুরাত্মন! এই সভামধ্যে শাস্ত্ৰজ্ঞ ক্রিয়াবান ইন্দ্ৰতুল্য আমার গুরুজনগণ উপবিষ্ট আছেন, তাঁহাদের সম্মুখে আমার এরূপ অবস্থায় থাকা নিতান্ত অনুচিত। রে নৃশংসকারিনা! তুই আমাকে বিবস্ত্ৰা করিস না। যদি ইন্দ্ৰাদি দেবগণও তোর সহায় হয়েন, তথাপি রাজপুত্রেরা তোকে কখনই ক্ষমা করিবেন না। মহাত্মা ধৰ্মানন্দন সজ্জননিষেষিত ধর্ম্মপথই অবলম্বন করিয়াছেন; আমি স্বামীর বাক্যে গুণ পরিত্যাগপূর্ব্বক কদাচি দোষারোপ করিতে বাঞ্ছা করি না। হে দুরাত্মন! আমি রাজস্বলা; তুই কুরুবংশীয় বীরপুরুষগণসমক্ষে আমাকে কর্ষণ করিতেছিস; ইহারা কেহই তোর নিন্দা করিতেছেন না, বোধ হয়, উহাদিগেরও ইহাতে অনুমোদন আছে। হায়! ভরতবংশীয়গণের ধর্মে ধিক। ক্ষাত্রধর্ম্মজ্ঞগণের চরিত্র একেবারেই নষ্ট হইয়া গিয়াছে, যেহেতু, সভাস্থ সমস্ত কুরুগণ স্বচক্ষে কুরুধর্মের ব্যতিক্রম নিরীক্ষণ করিতেছেন। বুঝিলাম—দ্রোণ, ভীষ্ম ও মহাত্মা বিদুরের কিছুমাত্র সত্ত্ব নাই; প্রধান প্রধান কুরুবংশীয় বৃদ্ধগণও দুৰ্য্যোধনের এই অধৰ্মানুষ্ঠান অনায়াসে উপেক্ষা করিতেছেন।”
দ্রৌপদী করুণস্বরে এইরূপ কহিতে কহিতে ক্ৰোধকম্পিত্যকলেবর ভর্ত্তৃগণের প্রতি কটাক্ষপাত করিয়া তাহাদিগের কোপানল উদ্দীপিত করিতে লাগিলেন। পাণ্ডবগণ লজ্জা ও ক্ৰোধে সঞ্চালিত কৃষ্ণার কটাক্ষপাতে যাদৃশ দুঃখিত হইলেন, সমুদয় রাজা, ধন, বিবিধ বহুমূল্য রত্নজাত বিনষ্ট হওয়াতে তাঁহাদের তাদৃশ ক্ষোভ হয় নাই। দুরাত্মা দুঃশাসন দ্রৌপদীকে দীনভাবাপন্ন স্বীয় পতিগণের প্রতি কটাক্ষপাত করিতে দেখিয়া বেগে আকর্ষণপূর্ব্বক বিসংজ্ঞপ্রায় করিল এবং ‘দাসী দাসী’ বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে হাস্য করিতে লাগিল। কৰ্ণ সাতিশয় হৃষ্ট হইয়া তাহার বাক্যে অনুমোদন করিতে লাগিলেন, গান্ধাররাজ শকুনি তাহাতে প্রশংসা করিতে লাগিল, কেবল অন্যান্য সভ্যগণ সভামধ্যে কৃষ্ণকে আকর্ষণ করিতে দেখিয়া যৎপরোনাস্তি দুঃখিত হইলেন।
তখন ভীষ্ম দ্রৌপদীকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন “হে সুভগে! এদিকে পরবশ ব্যক্তি পরের ধন পণ রাখিতে পারে না, ওদিকে স্ত্রী স্বামীর অধীন, এই উভয় পক্ষই তুল্যবল বোধ হওয়াতে তোমার প্রশ্নের যথার্থ উত্তরবিবেচনায় অসমর্থ হইতেছি! দেখ, ধর্ম্মাত্মা যুধিষ্ঠির সমুদয় পৃথিবী পরিত্যাগ করিতে পারেন, কিন্তু ধর্ম্ম হইতে একপদও বিচলিত হইতে পারেন না। বিশেষতঃ তিনি আপনার মুখে স্বীকার করিয়াছেন যে, “আমি পরাজিত হইয়াছি, তন্নিমিত্ত আমি তোমার প্রশ্নের যথার্থ্য বিবেচনা করিতে পারিতেছি না।” শকুনি দ্যূতক্রীড়ায় অদ্বিতীয়, যুধিষ্ঠির স্বয়ং তাহার সহিত ক্রীড়া করিতে অভিলাষী; বিশেষতঃ তিনি স্বয়ং তোমার এই অবমাননা উপেক্ষা করিতেছেন; তিন্নিমিত্ত আমি তোমার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিতেছি না।”
দ্রৌপদী কহিলেন, “দুরাত্মা দ্যূতিপ্রিয় অনাৰ্য্যগণ মহারাজ ধর্ম্মানন্দনকে আহ্বান করিয়া দ্যূতক্রীড়ায় অনুরোধ করিয়াছিল, তবে তিনি কিরূপে স্বয়ং দ্যূতাভিলাষী হইলেন? কুরুপাণ্ডবাগ্রগণ্য মহারাজ যুধিষ্ঠির দুরাত্মাদিগের কপটতা বুঝিতে না পারিয়াই তাহাদিগের সহিত ক্রীড়ায় আসক্ত হইয়াছিলেন। মূঢ়গণ সকলে একত্ৰ হইয়া তাহাকে পরাজয় করিয়াছে; তিনি পশ্চাৎ উহাদের কপটতা বুঝিতে পারিয়াছেন। যাহা হউক, এই সভামধ্যে অনেক কুরুবংশীয়গণ রহিয়াছেন, তাঁহারা পুত্ৰগণ ও পুত্রবধূগণের প্রভু, এক্ষণে আমার বাক্য শ্রবণপূর্ব্বক প্রশ্নের উত্তর দান করুন।”
পাঞ্চালরাজতনয়া এইরূপ কহিতে কহিতে করুণস্বরে বিলাপ করিতে লাগিলেন। দুরাত্মা দুঃশাসন তাঁহাকে নিতান্ত অপ্রিয় পরুষবাক্য কহিতে লাগিল। বৃকোদার রজস্বলা পতিতোত্তরীয়া [বিস্রস্তবসনা—যাহার গাত্রাবরণ-বস্ত্ৰ স্থানচ্যূত] আকৃষ্যমানা দ্রুপদতনায়ার সেইরূপ অনুচিত অপমান দর্শন করিয়া ক্রমে যুধিষ্ঠিরের প্রতি সাতিশয় ক্রোধান্বিত হইয়া উঠিলেন।