কিয়েভ শহরে আধুনিক বাড়িগুলির ফাঁকে-ফাঁকেই চোখে পড়ে এক-একটি গির্জা। এ শহরে যে কত গির্জা, আর মনাস্টারি, তার যেন ইয়ত্তা নেই। অনেকগুলিই বেশ প্রাচীন।
এখানকার সব গির্জাই সযত্নে সংরক্ষিত। বড়-বড় গির্জাগুলিতে কনসার্ট হল বা সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছে। ধর্মীয় কারণে গির্জার ব্যবহার অবশ্য এখন সব দেশেই কমে গেছে, সাম্যবাদী আদর্শে তো ধর্মের কোনও স্থানই নেই। সোভিয়েত ইউনিয়নে যদিও ধর্মচর্চার স্বাধীনতা আছে। ইউ এস এস আর-এর সংবিধান অনুযায়ী যে-কোনও নাগরিকই নিজ রুচি অনুযায়ী ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারে অথবা নাস্তিকতা প্রচারও করতে পারে।
অন্য কোনও শহরে আমি গির্জায় জনসমাগম লক্ষ করিনি। কিন্তু রবিবার সকালে কিয়েভের রাস্তায় ঘুরতে-ঘুরতে ট্রিনিটি গেটওয়ে চার্চের সামনে বেশ ভিড় দেখতে পেলুম। ভ্রমণকারীদের কাছেও পুরোনো গির্জাগুলি অবশ্য দ্রষ্টব্যস্থান। কিন্তু এত লোকজন সবাইকেই ভ্রমণকারী মনে হল না। ভেতরে ঢুকে দেখলুম প্রচুর মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে এবং রীতিমতন সারমন দিচ্ছেন একজন বয়স্ক পাদরি। ভক্তিভরে বসে শুনছেন বেশ কিছু নারী-পুরুষ। সামনের দরজার বাইরে কয়েকজন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বসে আছেন, তাঁদের সামনে বিছানো কাপড়ের টুকরোর ওপরে খুচরো পয়সা। হয়তো আমাদের দেশের মতনই, তীর্থস্থানে ভিক্ষা যাঞ্চা করা এখানেও কোনও ধর্মীয় আচারের অঙ্গ। এলাহাবাদের কুম্ভমেলায় আমি এক বিখ্যাত অধ্যাপককে ভিক্ষে করতে দেখেছিলুম।
সারগেই-কে আমি জিগ্যেস করলুম, তোমাদের ইউক্রাইনে তো এখনও অনেকে ধর্মকর্ম মানে দেখছি।
সারগেই বলল, পুরোনোরা এখনও কেউ-কেউ মানে। অল্প-বয়েসিরা এ নিয়ে মাথা ঘামায় না।
দরজার কাছে যেসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দেখেছি তাঁদের বয়েস অক্টোবর বিপ্লবের চেয়ে নিশ্চিত অনেক বেশি।
ভারতবর্ষ তো ধর্মের ডিপো। সেইজন্য বিদেশিরা যে-কোনও ভারতীয়কেই মনে করে খুব ধর্মপরায়ণ। এখানে আমাকে দু-তিনজন জিগ্যেস করেছে, আমি হিন্দু না মুসলমান।
এর উত্তরে আমাকে বলতে হয় যে আমার জন্ম একটি হিন্দু পরিবারে, কিন্তু কোনও ধর্মমতেই আমার বিশ্বাস নেই।
এ কথা শুনে কেউ-কেউ যেন সামান্য একটু অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়েছে আমার দিকে। তখন আমাকে আবার বলতে হয়েছে যে ভারতবর্ষে নাস্তিকতার ট্র্যাডিশানও অনেক দিনের। স্বয়ং গৌতম বুদ্ধই তো একটা নাস্তিকতার ধর্ম প্রচার করে গেছেন। সে যাই হোক, আমি হিন্দু বা মুসলমান তা জানতে চাইছেন কেন। তাতে কী আসে যায়? আপনাদের তো ধর্ম সম্পর্কে আগ্রহ থাকার কথা নয়!
একজন অধ্যাপক বলেছিলেন, হিন্দু ধর্মের দর্শনটি তাঁর ভালো লাগে।
পাছে ওই দর্শন বিষয়ে আলোচনা চালাতে হয় তাই আমি তাড়াতাড়ি প্রসঙ্গ পরিবর্তন করেছি।
আমি ধর্ম মানি বা না-ই মানি, পুরোনো গির্জাগুলির দূরাগত ঘণ্টাধ্বনি বড় সুমধুর লাগে। অধিকাংশ গির্জাই যুগ যুগ ধরে প্রচুর হিংস্রতার কেন্দ্রস্থল, অথচ ভেতরের শিল্পকর্ম অপূর্ব।
কিয়েভ ছেড়ে আমরা সারারাত ট্রেন জার্নি করে ফিরে এলুম মস্কোতে। উঠলুম আবার সেই হোটেল ইউক্রাইনিয়াতে। এবারে আমার ঘরটি তেইশ তলায়। সারগেই আমাকে ঠিক দেড় ঘণ্টা সময় দিল, এর মধ্যে সে একবার বাড়ি ঘুরে আসবে। তারপর আজ অনেক কাজ, অনেক ঘোরাঘুরি।
এক কাপ চা খেয়ে বাথরুমে গিয়ে দেখলুম কলে জল নেই। খবর নিয়ে জানা গেল যে, কিছু একটা যান্ত্রিক গোলোযোগে সারা হোটেলেই জল বন্ধ, মেরামতি কাজ চলছে। যাক, তাহলে আজ আর স্নানটানের ঝামেলায় যেতে হবে না। পুরোদস্তুর পোশাক পরেই শুয়ে পড়লুম বিছানায়। সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠল টেলিফোন।
বিদেশ বিভূঁইয়ে টেলিফোনে পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনলেই ভালো লাগে। আমি ফিরেছি কিনা সেই খোঁজ নেওয়ার জন্য টেলিফোন করছে সুবোধ যায়। এখানকার বাঙালিদের সে খবর দিয়ে রেখেছে, আজ সন্ধেবেলা একটা আড্ডার আসর বসানো হবে।
সুযোধ বলল, অনেক তো ঘোরাঘুরি করে এলেন, আজকের দিনটা ছুটি নিন আজ সারাদিন আমাদের সঙ্গে কাটান।
আমি বললুম, আজ তো অনেকগুলো অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে শুনেছি। এঁদের অতিথি হয়ে এসেছি, এঁদের প্রোগ্রাম তো ঠিক রাখতেই হবে। আবার তোমাদের সঙ্গেও আড্ডা দিতে ইচ্ছে করছে খুব। তুমি সারগেই-এর সঙ্গে কথা বলে যা হয় একটা ব্যবস্থা করো।
সারগেই ফিরে আসবার পর আমি ওকে সুবোধ রায়ের বার্তা জানালুম। সারগেই বিশেষ পাত্তা দিল না। বলল, বাঙালিদের সঙ্গে আপনি কলকাতায় ফিরে আড্ডা দেবেন, এখানে অনেক কাজ আছে।
এক প্রস্থ ভারী ব্রেকফাস্ট খেয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লুম। প্রথমেই যেতে হবে এ পি এন দফতরে। এশিয়া বিভাগের ডেপুটি হেড কোয়াটার্স সাহেবের সঙ্গে দেখা হল আবার। সহাস্য মুখে তিনি জিগ্যেস করলেন, কী কী দেখলেন, কেমন লাগল বলুন!
আমি বলুলম, আপনাদের এত বিরাট দেশ, সেই তুলনায় তো কিছুই দেখা হয়নি! খুবই অতৃপ্তি রয়ে গেল!
তিনি বললেন, আমাদের এত বড় দেশ, আমরা নিজেরাই বা তার কতখানি দেখতে পাই। আপনাদের ভারতবর্ষ তো অনেক বড়, আপনি কি গোটা ভারতবর্ষ ঘুরেছেন?
আমি বললুম, না। তবে যে-কোনও দেশই নেটিভদের চেয়ে বাইরের ভ্রমণকারীরা অনেক বেশি ঘুরে দেখে যায়।
তিনি বললেন, আপনার সঙ্গে আমাদের যে ছেলেটি গিয়েছিল, সে আপনার ঠিক যত্ন নিয়েছিল তো?
সারগেই কাছে বসে থাকলে আমি নিশ্চিত কিছুটা ইয়ার্কি-ঠাট্টা করতুম। কিন্তু সারগেই অন্য কোথাও গেছে। সেইজন্য আমি বললুম, সারগেই ছেলেটি সত্যিই ভালো, ওর ব্যবহার খুবই আন্তরিক। আমায় কোনওরকম অসুবিধে বোধ করতে দেয়নি। যতগুলো জায়গা আমি দেখেছি, মুগ্ধ হয়েছি।
সোয়ার্টর্স সাহেব বললেন, আপনি আশা করি আবার আসবেন!
ওখানে আর দুজনের সঙ্গে দেখা হল, তাঁদের দুজনের সঙ্গেই কলকাতার সম্পর্ক আছে। ওঁদের একজন কলকাতার সোভিয়েত দূতাবাসে কাজ করেন, আর একজন শিগগিরই ভাইস কনসাল হিসেবে কলকাতায় যাবেন।
সোয়ার্টস সাহেব আমাকে পৌঁছে দিলেন নীচের সিঁড়ি পর্যন্ত। আমাকে উপহার দিলেন এক প্যাকেট রুশ সিগারেট ও কয়েকটি বই।
এই বাড়িটির কাছেই রাদুগা পাবলিশার্সের অফিস। এই প্রকাশনীর কাছ থেকে আমি আগে চিঠিপত্র পেয়েছি, এঁদের সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে, সুতরাং ওখানে একবার যাওয়ার ইচ্ছে আমার ছিলই, সারগেই অ্যাপয়েন্টমেন্টও করে রেখেছে।
মস্কোর প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স তথা প্রগতি প্রকাশনী বিভিন্ন ভাষার সাহিত্য থেকে রুশ ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করেন এবং সোভিয়েত সাহিত্য পৃথিবীর বহু ভাষায়। রাদুগা পাবলিশার্সও তাঁদের সহযোগী হিসেবে স্থাপিত হয়েছে। বাংলা ভাষা থেকে রুশ ভাষায় অনূদিত অনেকগুলি বই দেখলুম। এঁরা আধুনিক বাংলা গল্পের একটি সংকলনও প্রকাশ করছেন, সেই সংকলনটির নাম ‘রাতপাখি’।
রুশ ও অন্যান্য সোভিয়েত ভাষার বিখ্যাত কয়েকটি রচনার বাংলা অনুবাদ-গ্রন্থ দেখে মুগ্ধ হলুম। যেমন সুন্দর ছাপা, তেমন সুন্দর কাগজ, অনুবাদও বেশ ঝরঝরে। সুমুদ্রিত, সুবাঁধাই বই হাতে নিলেই ভালো লাগে। অনুবাদে সাহিত্যের আদান-প্রদানের ব্যাপারে সোভিয়েত রাশিয়ায় যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে, তেমনটি আর পৃথিবীর কোথাও নেই। ভারতীয় সাহিত্য সম্পর্কেও এঁদের যথেষ্ট আগ্রহ ও যত্ন আছে।
ফরেন লিটরেচার বিভাগের চিফ এডিটর জর্জ এ আনদজাপারিজ-এর সঙ্গে আলাপ হল। প্রথমেই অবাক হলুম এর মুখের ইংরিজি শুনে। খাঁটি ব্রিটিশ অ্যাকসেন্ট। এখানে যাঁরা ইংরিজি শেখে তাঁদের এক-একজনের ইংরিজি এক এক রকম। আমেরিকান অ্যাকসেন্টও বেশ শোনা যায়। ভারতীয় অ্যাকসেন্টে ইংরিজি বলতেও শুনেছি দু একজনকে।
জর্জ অবশ্য ইংরিজি সাহিত্যে বিশেষজ্ঞ। ইনি মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে বিখ্যাত সব ইংরেজ লেখকদের বিচার করে নিবন্ধ গ্রন্থ লিখেছেন। রাদুগা পাবলিশার্স ইংরিজিতেও অনেক বই প্রকাশ করেন। সেইসব বই অনেকগুলি উপহার দিতে চাইলেন আমাকে। বই পেলে আমি সবসময়েই খুশি হই, কিন্তু বিমানযাত্রায় বই বহন করা বেশ অসুবিধেজনক। আমি অনুরোধ করলুম, বইগুলি ডাকে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য।
এখান থেকে আমি প্যারিস যাব শুনে জর্জ সকৌতুকে ভুরু নাচিয়ে বললেন, প্যারিসে.বি গুড!
কথায় কথায় আমি জিগ্যেস করলুম, এই যে এতসব চমকার-চমৎকার বাংলা অনুবাদ আপনারা প্রকাশ করেছেন, এগুলো কলকাতায় পাওয়া যায় না কেন? আমার তো চোখে পড়ে না।
জর্জ বললেন, এইসব বই বিক্রি করার ব্যবস্থা ঠিকমতন গড়ে ওঠেনি, চেষ্টা করা হচ্ছে।
আমি বললুম যে, আমরা ছেলেবেলায় প্রচুর সস্তা দামে সোভিয়েত বই দেখেছি, কলকাতার পথে পথে বিক্রি হয়েছে। এখন আর তেমন দেখা যায় না। রুশ ক্লাসিকাল সাহিত্য সম্পর্কে বাঙালি পাঠকদের খুবই আগ্রহ আছে। টলস্টয়, পুশকিন, টুর্গেনেভ, ডস্টয়েভস্কি, গোর্কি প্রমুখ লেখকদের লেখা যদি সস্তায় সঠিক অনুবাদে পাওয়া যায় তাহলে বাঙালি পাঠকরা নিশ্চয়ই কিনবে। একালের লেখকদেরও রচনা অনেকেই পড়তে চায়।
এর পরে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল ‘ফরেন লিটরেচার’ পত্রিকা দফতরে। সেই পত্রিকায় আমার কয়েকটি গল্পের অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে, কিঞ্চিৎ দক্ষিণাও পাওনা আছে। কিন্তু টেলিফোনে ওদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি।
সারগেই বলল, চলুন, তার আগে আমরা লাঞ্চ খেয়ে নিই, আজ আপনাকে খুব ভালো করে খাওয়াতে হবে।
আমি আঁতকে উঠে বললুম, আমি কোনওদিনই তো খারাপ খাইনি, আজ হঠাৎ খুব ভালো করে খাওয়াবার মানে কী? রোজ যা খাই, তার বেশি তো খেতে পারব না!
সারগেই বলল, আপনি কাল চলে যাবেন, সেই জন্য আজ আপনাকে স্পেশাল কোনও জায়গায় খাওয়াতে চাই। সঙ্গে আমার এক বন্ধু থাকবে, তার সঙ্গে আলাপ করে আপনার ভালো লাগবে।
গাড়ি নিয়ে প্রায় গোটা মস্কো শহরটা পেরিয়ে এলাম আমরা। শহরের প্রান্ত এলাকায় সব দিকেই প্রচুর নতুন ফ্ল্যাট বাড়ি উঠেছে, পাড়াগুলি একইরকম দেখতে। মাঝখানে চওড়া চওড়া রাস্তা। একটা বাস স্টপে দাঁড়িয়ে ছিলেন সারগেই-এর বন্ধু, আমাদের দেরির জন্য তিনি ঘন-ঘন ঘড়ি দেখছিলেন।
আলাপ হল, এর নাম পারপারা আনাতোলি আনতোলিয়েভিচ। বিখ্যাত ‘‘মস্কোভা’ পত্রিকায় ইনি কবিতা বিভাগের সম্পাদক। প্রথমে একটু নিরাশ হলুম, পারপারা একেবারেই ইংরিজি জানেন না, সুতরাং এঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাবে না। যদিও ব্যাপারটি অতিশয় গর্ব করার মতন। রুশ ভাষার একজন কবি ও সম্পাদক, তিনি বিদেশি ভাষা শেখার জন্য সময় ব্যয় করেননি। যেহেতু রুশ ভাষা খুবই উন্নত, তাই এই ভাষা জানলেই বিশ্বের সমস্ত সাহিত্য সম্ভারের স্বাদ পাওয়া যায়। আমি যদি শুধু বাংলা ভাষায় সব কাজ চালাতে পারতুম, তাহলে নিশ্চয়ই গর্ব বোধ করতুম।
প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলল রেস্তোরাঁ খোঁজাখুঁজি। কোনওটাই ওঁদের দুজনের ঠিক পছন্দ হয় না। তারপর এক সময় পারপারা বললেন, চলো, তোমাদের এক জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি, যদি সে জায়গাটা খোলা থাকে, তাহলে তোমাদের নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।
সৌভাগ্যবশত জায়গাটা খোলাই পাওয়া গেল। সেখানে পৌঁছে আমি পারপারার কাছে কৃতজ্ঞ বোধ করলুম। শুধু খাওয়ার জন্যই নয়, আর একটি চমৎকার জায়গা দেখা হল।
জায়গাটা হল আর্টিস্ট ইউনিয়ান। রাইটার্স ইউনিয়ান আগেই দেখেছি, শিল্পীদের মিলন স্থানটিও খুবই সুন্দর। পুরোনো আমলের বাড়ি, কাঠের সিঁড়ি, দেওয়ালে কাঠের কারুকাজ। খাবারের জন্য আমরা যে বড় ঘরটিতে এলুম, সে ঘরটি যেন একশো বছর আগেকার কায়দায় সাজানো। পরিবেশের গুণেই মনটা ভালো হয়ে যায়।
আমরা একটু দেরি করে এসেছি, লোকজন এখন কম। পারপারা বোধহয় একেবারে রান্না ঘরে চলে গিয়ে খাবারের অর্ডার দিয়ে এলেন। তারপর এক বোতল ভদকা নিয়ে বসে বললেন, আসুন, আগে খিদে বাড়িয়ে নেওয়া যাক।