১.০১ বার্লিনের ভাঙা দেওয়ালের সামনে

বার্লিনের ভাঙা দেওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে আমার বারবার একটাই প্রশ্ন মনে হচ্ছিল, এত কষ্ট করে যে দেওয়াল ভাঙা হচ্ছে, সেই কঠিন, হিংস্র দেওয়াল আদৌ কেন গাঁথা হয়েছিল? লোহা ও কংক্রিট মিশিয়ে এমনই সুদৃঢ়ভাবে গড়া হয়েছিল এই প্রাচীর, যেন তা শত-শত বৎসর দুর্ভেদ্য হয়ে থাকবে। সেই দেওয়ালের অদূরে পরপর গম্বুজ, তার ওপরে চব্বিশ ঘণ্টা মারাত্মক অস্ত্র হাতে প্রহরীরা। দুই দেশের সীমান্তের দেওয়াল নয়, একটা শহরের মাঝখান দিয়ে মাইলের পর মাইল দেওয়াল, বার দু-দিকে একই জাতির মানুষ, এক ভাষা, এক খাদ্যরুচি, এক রকম পরিচ্ছদ, একই শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী, তবু দেওয়াল গেঁথে তাদের পৃথক রাখার চেষ্টা। যারা দেওয়াল গেঁথেছিল, তারা কি জানত না, কঠোর নিষেধ মানুষ বেশি করে ভাঙতে চায়, যে-কোনও বাধা উল্লঙ্ঘন করার প্রবৃত্তি মানুষের জন্মগত।

দেওয়াল দিয়ে ভাগ করা হল দুই জার্মানিকে। একদিকে সমাজতন্ত্র, অন্যদিকে ধনতন্ত্র। সমাজতন্ত্রী নেতাদের কাছে ধনতন্ত্র অতি কুৎসিত, দুর্গন্ধময়। নিছক ভোগ্যপণ্যের আড়ম্বর দেখিয়ে চোখ ধাঁধানো। ইতিহাসের ভবিষ্যৎ গতি সমাজতন্ত্রের দিকে, মানুষের সুখ, স্বপ্ন, শান্তি সেই ব্যবস্থার মধ্যেই নিহিত। বেশ তো, মানুষকে তা বোঝালে মানুষ নিজের ভালো নিশ্চয়ই বুঝবে। কিন্তু কেউ যদি না বুঝতে চায়, তা হলে কি তার ঘাড় ধরে, হাত-পায়ে শিকল বেঁধে কিংবা বুকের সামনে বন্দুক উঁচিয়ে বোঝাতে হবে? কেউ যদি পূর্ব ছেড়ে পশ্চিমে যেতে চায়, তাকে গুলি মেরে ঝাঁঝরা করে দিতে হবে? নিজের বাসস্থান নির্বাচনের স্বাধীনতাও মানুষের থাকবে না।

দেওয়াল গাঁথার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিশ্চিত মুষ্টিমেয় কয়েকজন মানুষ, যাঁরা নেতৃত্ব পদের অধিকারী, দেশের আপামর জনসাধারণের মতামত নেওয়ার প্রয়োজন তাঁরা বোধ করেননি। তাঁরা মনে করেছিলেন, দেশের সব মানুষের মঙ্গলের দায়িত্ব তাঁদের হাতে। সেই মঙ্গল জোর করে মানুষের গলায় গিলিয়ে দিতেও তাঁদের আপত্তি নেই।

সব দেওয়ালেরই কোথাও না কোথাও একটা ছিদ্র থাকে। সেই ছিদ্র ক্রমশ বড় হয়। দেওয়ালের ওপাশে কী আছে, তা জানার জন্য মানুষের কৌতূহল ছটফট করে। ১৯৬১ সালে এই দেওয়াল তোলার পর পুরো একটা প্রজন্ম পার হয়ে গেছে। তবু তো পূর্ব দিকের সেই মঙ্গলের প্রচার মানুষ মানল না। সমস্ত দমননীতি ব্যর্থ করে নতুন প্রজনে ছেলেমেয়েরা হুড়মুড় করে এদিকে চলে এল। মানুষের গড়া দেওয়াল মানুষই ভাঙল।

বাল্যকালে পাঠ্যবইতে রুসো’র একটি উদ্ধৃতি পড়েছিলাম, ‘মানুষ স্বাধীন হয়ে জন্মায়, কিন্তু সর্বত্রই সে শৃঙ্খলিত।’ এর চেয়ে সংক্ষিপ্ত ও তীব্রভাবে মানুষের ইতিহাস বুঝি আর ব্যক্ত করা যায় না। মানুষ মানুষেরই কাছে পরাধীন। মানুষ তৈরি করেছে বিচার ব্যবস্থা, কিন্তু মানুষই মানুষের প্রতি সবচেয়ে অবিচার করে। মানুষের মেধায় এত যে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অস্ত্রের নির্মাণ, তার প্রয়োগ শুধু মানুষকেই ধ্বংস করার জন্য। জীবজগতে সবাই স্বার্থপর, তবু মানুষ ভালোবাসা শব্দটি নিয়ে গর্ব করে, অথচ মানুষের ইতিহাস হত্যালীলায় ক্লেদাক্ত। এককভাবে কিছু-কিছু মানুষ শুভ্র, সুন্দর, উদার হতে পারে, কিন্তু সংঘবদ্ধভাবে মানুষের নিষ্ঠুরতা হিংস্রতম পশুর চেয়েও সাংঘাতিক। একটি সিংহের সঙ্গে অন্য সিংহের যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাক, কেউ কারুকে হত্যা করে না, এমনকি একটা পিঁপড়েও স্বজাতীয় অন্য পিপড়েকে মারে না। বাঘ যখন হরিণ শিকার করে তখন অন্য কোনও বাঘ তাতে জোর করে ভাগ বসাতে আসে না, কিন্তু সুসভ্য হিসেবে চিহ্নিত যে মানুষ, সে-ই শুধু অন্য মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়।

মানুষের তথাকথিত সভ্যতার বয়েস বড়জোর আট ন’ হাজার বছর। মানুষ ছাড়া আর সমস্ত প্রাণীকেই প্রতিদিন খাদ্য সংগ্রহ করতে হয়। যাযাবর মানবজাতি যেদিন থেকে শস্য উৎপাদন ও খাদ্য সংগ্রহ করতে শিখল, সেই দিন থেকেই ঘর বাঁধার প্রশ্ন এল। খাদ্যচিন্তার সমাধান হতেই এল অন্য চিন্তা। কিছু মানুষকে ফসল উৎপাদন ও পশুপালনে নিযুক্ত রেখে বাকি মানুষেরা তা ভোগ করার অধিকার আদায় করে নিতে লাগল। খাদ্য উৎপাদনের জন্য যাদের শ্রম ও সময় ব্যয় করতে হয় না, তারাই গড়ে তুলল গ্রাম, নগর, রাজ্য। একের ওপর অনের প্রভুত্ব, সবচেয়ে যে শক্তিশালী, সে দলপতি কিংবা রাজা। টোটেমগুলির বদলে দেব-দেবী, সর্বোপরি এক অলীক, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর। নানারকম ভয়ের কাহিনি প্রচার করে আদায় করা হল ভক্তি। রাজারা নিজেদের আসন অটুট রাখার জন্য রটিয়ে দিল যে তারা ঈশ্বর নির্বাচিত। এই সভ্যতার উন্মেষ থেকে এতকাল পর্যন্ত একনায়কতন্ত্রই চলে আসছে। গ্রিসের মতন কোনও কোনও জায়গায় গণতন্ত্র নিয়ে সামান্য পরীক্ষা হয়েছে বটে, কিন্তু সেখান থেকেই উঠে এসেছে আবার কোনও স্বৈরাচারী। সাধারণ মানুষের ইচ্ছে-অনিচ্ছের কোনও দিনই কোনও মূল্য ছিল না, শাসক শক্তির সামান্য অঙ্গুলি হেলনের ওপর তার উত্থান-পতন নির্ভরশীল।

মাত্র দুশো বছর আগে, ফরাসি বিপ্লবের পরই বোঝা গিয়েছিল রাজতন্ত্রের শেষ ঘণ্টা বেজে গেছে। সে বিপ্লব সার্থক হয়নি, নেপোলিয়ান জনগণের মাথার ওপর আবার একটা সিংহাসন চাপিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু অসংগঠিত, নেতৃত্বহীন, স্বতঃস্ফুর্ত গণঅভ্যুত্থানেও যে রাজার মাথার মুকুট বালির মতন ঝুরঝুরে হয়ে যেতে পারে, সেনাবাহিনীর এক অংশ ঘুরিয়ে নিতে পারে বন্দুকের মুখ, তা একবার প্রমাণিত হতেই ধরে নেওয়া গেল যে। বিশ্বের রাজা-রানিদের আর পুতুল হয়ে যেতে বেশি দেরি নেই।

অটোমান সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ায় ইউরোপের ছোট ছোট দেশগুলি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে বেরিয়ে পড়ল দিগ্বিজয়ে। গোটা প্রাচ্য দেশে ও আফ্রিকায় ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা স্থাপন করতে লাগল উপনিবেশ, এইসব ঘুমন্ত অঞ্চল থেকে তারা লুণ্ঠন করতে লাগল বিপুল সম্পদ। কিন্তু ইউরোপের চিন্তাবিদরা বুঝে গিয়েছিলেন যে এরকম একতরফা শোষণের অবসান হতে বাধ্য অচিরকালের মধ্যেই। অ্যাডলফ তিয়ের এবং ফ্রাঁসোয়া গিজো’র মতন ফরাসি ঐতিহাসিকরা শ্রেণিভেদ ও শ্রেণিসংগ্রামের কথা লিখলেন। সব সমাজেই মোটামুটি দুটি শ্রেণি আছে, শোষক ও শোষিত, এবং এদের মধ্যে সংগ্রাম বাধবেই। কার্ল মার্কস এঁদের থেকেই শ্রেণিবিভাজনের চিন্তাটা গ্রহণ করে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বললেন, সংগ্রামের মাধ্যমে শ্রেণি লোপ করাই সমাজ বিবর্তনের প্রধান পথ।

উপনিবেশগুলির মধ্যে আমেরিকা প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং রাজশক্তিকে পরাজিত করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেখানে শ্রেণিসংগ্রাম হল না বটে, কিন্তু গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হল। জনসাধারণের নির্বাচিত সরকার। এই ব্যবস্থাটা টিকে যাওয়ায় গণতন্ত্রের ধারণাটা দারুন জনপ্রিয়তা পেল, একশো বছরের মধ্যে পৃথিবীর প্রান্তে প্রতিষ্ঠিত হল গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা।

তবু প্রশ্ন ওঠে, গণতন্ত্রে সত্যিই কি দেশের সাধারণ মানুষের ইচ্ছে-অনিচ্ছে অনুযায়ী সরকার পরিচালিত হয়? ভোটের মাধ্যমে যাঁদের প্রতিনিধি করে পাঠানো হয় কেন্দ্রে, তাঁরা কি সত্যিই ভোটদাতাদের প্রতিনিধিত্ব করেন? এক একটা দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও হালচাল তো রাজা-রাজড়াদেরই মতন। তাঁরা সশস্ত্র প্রহরী পরিবৃত হয়ে থাকেন প্রাসাদে। অন্য দেশে গেলে তাদের জন্য পাতা হয় লাল কার্পেট, কামান গর্জনের বাজে খরচ হয়। (একমাত্র ব্যতিক্রম হো চি মিন, যিনি থাকতেন অতি সাধারণ এক গৃহে, অন্যদেশে এসে লাল কার্পেট সরিয়ে নিতে বলেছিলেন।) একজন রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে জনসাধারণের মতামত না নিয়েই অন্য দেশের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারেন। গণতন্ত্রে কেউ-কেউ বিশাল ধনী হয়, বহু মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে যায়, তা রোধ করার কোনও পথ নেই। বলা হয় যে, গণতন্ত্রের একটা রক্ষাকবচ আছে, মন্ত্রীমণ্ডলী যতদিন খুশি গদি আঁকড়ে থাকতে পারে না, পাঁচ বছর পরে তাদের সরিয়ে ফেলা যায়। তাদেরও মনে-মনে সেই চিন্তা থাকে বলে তারা একেবারে বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে না। কিন্তু এর মধ্যেও অনেক ফাঁক আছে। দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষেরই ভোটাধিকার আছে, ভোট বাক্সে তারা সেই অধিকার প্রয়োগ করে, গরিষ্ঠ সংখ্যক ভোটদাতার ইচ্ছে অনুযায়ী সরকার গঠিত হয়, এই নীতি কাগজে-কলমে সত্য, বাস্তবে সত্য নয়। টাকা খরচ করে ভোট কেনা যায়, গুণ্ডা লেলিয়ে দিয়ে প্রকৃত ভোটদাতাদের দূরে সরিয়ে রাখা যায়। আমেরিকা একটি গণতান্ত্রিক দেশ বটে, কিন্তু কোটিপতি ছাড়া কেউ সে দেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারে না। এবং কোটিপতিরা অন্য কোটিপতিদের স্বার্থ আগে দেখবে, এ আর এমন নতুন কথা কী? আর আমাদের মতন দেশে শতকরা ষাটজন মানুষ নিরক্ষর ও দরিদ্র, তারা জানেও না য়াজধানীর অবস্থান কোথায়। অনেককাল আগে জর্জ বানার্ড শ গণতন্ত্রের ছিদ্রের কথা বলেছিলেন এই ভাবে, একটি কেন্দ্রে ভোটদাতার সংখ্যা যদি হয় দশ জন, আর সেখানে যদি প্রার্থী থাকে চারজন, তাদের মধ্যে কেউ পেল একটি ভোট, কেউ পেল দুটি, কেউ পেল তিনটি, আর যে চারটি পেল সে নির্বাচিত হয়ে গেল, যদিও ছ-জন মানুষই তাকে চায়নি। এটা তিনি বলেছিলেন ইংল্যান্ডের কথা ভেবে, এখন অবস্থাটা অনেক বদলেছে। আমাদের মতন দেশে, এখন দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভোটযুদ্ধে অবতরণ করলেও টাকা ও লাঠির খেলা অবশ্যম্ভাবী। আবার কোনও-কোনও দেশে ভোটদাতা ভয়ের চোটে বাড়ির বাইরে পা-ই দেয় না, অথচ ভোট-বাক্স ভরে যায়।

মার্কস-এর শ্রেণিহীন সমাজের আদর্শ নিয়ে লেনিন যখন রাশিয়ায় বিপ্লব ঘটালেন তখন সকলের দৃষ্টি আকৃষ্ট হল সেদিকে। ফরাসী দেশে কমিউন ব্যর্থ হলেও কমিউনিজম শব্দটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। ফরাসি বিপ্লব সে দেশে সার্থক না হলেও সাম্য-মৈত্রী স্বাধীনতার আদর্শ কিছুটা অন্যভাবে রূপায়িত হল সোভিয়েত ইউনিয়নে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও অনেকেরই মনে হল, মনুষ্যসমাজের ইতিহাসে গণতন্ত্রের পরবর্তী অবধারিত ধাপ এই সমাজতন্ত্র। কেউ অন্যের শ্রম নিয়ে মুনাফা করবে না, ব্যক্তি স্বার্থ মুছে যাবে, উৎপন্ন ফসল ও দ্রব্যের সম বন্টন হবে, সকলেই সমান শিক্ষা, আহার, বাসস্থান ও চিকিৎসার সুযোগ পাবে। এর চেয়ে আদর্শ ব্যবস্থা আর কী হতে পারে। এত যুগ-যুগান্তর পর সত্যিই মানুষের মুক্তির একটা উপায় দেখা গেল। এ যে স্বপ্নের সার্থকতা।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর এই সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছড়িয়ে গেল পূর্ব ইউরোপের অনেকগুলি দেশে। তারপর চিনে। ধনতান্ত্রিক দেশগুলি আতঙ্কিত হয়ে উঠল, সমাজতন্ত্রের এই অগ্রগতি রোধ করার জন্য তারা বানাতে লাগল সাংঘাতিক সব অস্ত্রশস্ত্র, সোভিয়েত ইউনিয়নও চুপ করে বসে রইল না, শুরু হল কুৎসিত এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা। অস্ত্রের পাহাড় জমতে-জমতে এমন একটা অবস্থা হল যে দু-পক্ষই ইচ্ছে করলে পরস্পরকে ধ্বংস করে দিতে পারে। প্রকৃত যুদ্ধ হল না, চলতে লাগল ঠান্ডা যুদ্ধ, তার জন্য খরচ হতে লাগল হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা। মানুষের ইতিহাসে বিনা যুদ্ধে এমন অর্থব্যয়ের মূর্খামি আর কখনও ঘটেনি।

এখন সোভিয়েত ইউনিয়ন, চিন ও মার্কিন দেশের কর্ণধারদের প্রায়ই মোলাকাত হয়, তাঁরা হেসে-হেসে করমর্দন করেন। পারস্পরিক আক্রমণের আর কোনও প্রশ্নই যেন এখন নেই। তবু কি তাঁদের মনে হয় না, মাঝখানের এতগুলি বছরের রেষারেষিতে তাঁরা মনুষ্য সমাজকে কতটা পিছিয়ে দিলেন? মানুষের কত সম্পদের অপচয় হয়েছে ব্যর্থ অস্ত্রে?

মাঝখানের এতগুলি বছর।