যেমন মায়ের ডাক মধ্যবয়সেও শৈশবকে
ডেকে আনে বাগানের ছায়া, পেয়ারা গাছের পাতা,
ঘুমপাড়ানিয়া গান, তিন পয়সার বাঁশি আর
পাখির বাসার ঘ্রাণসহ, তেম্নি উচ্চারিত হলে
বাংলাভাষা, অস্তিত্বের তন্তুজালে কী মোহন ঢেউ
বয়ে যায়, নীল পাখি গান গায় শিরায় শিরায়,
ব্যাপক খরায় নামে বৃষ্টিধারা, করুণা-কোমল,
আবার নতুন করে ফুটে ওঠে বাঁচার বিস্ময়।
মাতৃময় মমতার চোখের পাতায় উন্মীলিত
বিদ্যাসাগরের বর্ণবোধ, পিতার হাতের তালু,
খড়িমাটি-অক্ষরের চিরকেলে স্লেট। বুঝি তাই
প্রহরে প্রহরে হরিণের চোখে, ঘরের দেয়ালে,
পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার চোয়ালে, অন্ধ গায়কের তানে,
এমনকি স্তব্ধতার কাছেও চেয়েছি বর্ণমালা।