কার কাছে যাবো আজ? কারুর অধরে
গোলাপ ফোটে না আর। কার
হাতে হাত রেখে
বসবো বিকেলবেলা বারান্দায় অথবা দাঁড়াবো
নদীতীরে? প্রত্যেকের জামার আস্তিনে ইদানীং
লুকানো রয়েছে বাঘনখ।
কার সঙ্গে কথোপকথনে আমি কাটাবো সময়
নিভৃতে প্রসন্ন মনে? ইতরজনের
খিস্তি ও খেউড়
সুভাষিত বাণীর নিভাঁজ ভেক ধরে
প্রহরে প্রহরে করে কলরব শহরেও গ্রামে
সকল ঋতুতে।
ঝরণার পানির মতো স্বচছতা কোথাও নেই আজ।
চতুপার্শ্বে ঘোলা জল বয়
অবিরল, মৎস শিকারিরা বেলা অবেলায় ছিপ
ফেলে গেঁথে নেয়
রুই ও কাতলা বারবার খেলাচ্ছলে;
সুখের সময় ওরা হাতের মুঠোয় পেয়ে যায়।
ভীষণ নিঃসঙ্গ থাকি ঘরে, মাঝে-মাঝে একা-একা
ঘুরি পথে, ভিড়ের ভিতরে
চলে যাই, সুদূরতা পেয়ে বসে আমাকে তখন।
পারিনা খাওয়াতে খাপ কোথাও, যেমন
আংটি বড় কিংবা ছোট হলে
লাগেনা আঙুলে।
উপরন্তু গ্রীক ট্রাজেডীর নিয়তির মতো
কী যেন ফেলছে গিলে নিয়ত আমাকে অতি দ্রুত।