কাব্যশ্রী আমাকে কিছুকাল আগে একটি চিঠিতে
লিখেছিল, “ভেবেছিলে চিরদিন থাকবো তোমার
হাত ধরে অন্ধকার ঘরে, শুধু এই চৌহদ্দিতে
লুটিয়ে আঁচল আমি আনন্দে বেড়াবো ঘুরে আর
আমাকে করবে তুমি খুচরো আদর হেলাফেলা
করে, যেন আমি পোষা বিড়াল, জঞ্জাল থেকে উঠে-
আসা?” মনে পড়ে, কতদিন তার চুলে রাত্রিবেলা
ঢেকে গেছে মুখ, বুক আমার এবং তীব্র ফুটে
উঠেছে কামের গন্ধরাজ সত্তাময়, কখনো-বা
দিয়েছি লাগিয়ে ব্রা-র হুক, দেখিয়ে কী নগ্নশোভা
নিয়েছে জড়িয়ে গায়ে শাড়ি
সাত তাড়াতাড়ি।
এখন সে নেই আর আমার নিবাসে। অকস্মাৎ
মাঝে-মধ্যে দেখি তাকে
বনানীর বাসস্টপে, হাত
নেড়ে আর উড়িয়ে আঁচল চলে যায়
কে জানে কোথায় দূরে! তখন আমার রক্তে ডাকে
একটি অচিন পাখি! যত্রতত্র ঘোরে গরবিনী
আজ এ তরুণ কাল সে যুবার সঙ্গে হাওয়ায় বেড়ায়,
কখনো জমায় গল্প কফিহাউসে, কখনো রিনিঝিনি
বেজে ওঠে রুলি তার মেথর পট্রিতে। আঁতিপাতি
খুঁজেও পাই না তার ঠিকানা নিজের কাছে। ভাবি
শুধু তাকে, যে ছিল একদা অষ্টপ্রহরের সাথী।
নেই কি আমার কোনো দাবি
আর তার কাছে? কালেভদ্রে চিঠি লেখে
ঠিকানাবিহীন দূর থেকে।