একটি বিকট পাখি প্রতিদিন তার জানালায়
আস্তে-সুস্থে অস্থি রেখে যায়,
মৃত্যুর মতন বিষম সঙ্গীতময় কিছু
অস্থি রেখে যায়।
মাথার ভেতর কোলাহল ফুটন্ত জলের, বুকে
দ্রুত ধাবমান ট্রেন, সবুজ নিশান
বাদুড়ের মতো
ঝোলে বর্ণলতায় সন্ধ্যায়। ফিরে যাও,
ফিরে যাও দৃশ্য
জরায়ুর অন্ধকারে বলে সে মেঝেতে
হাঁটু গেড়ে বসে।
চাবির ফোকর তার কাছে
কামানের মুখ, চায়ের বাটিতে নৌবহর,
দেয়ালের পোকা ট্যাঙ্ক, মশা
হঠাৎ আকাশ কালো-করা
বোমারু বিমান।
ঘরময় উল্লুকের বমি; ব্যবহৃত পোস্টকার্ড
কারাগার-দেয়াল শেয়াল
নাকে-মুখে উদ্ভিদের ঘ্রাণ নিয়ে নতুন অতিথি
তার পাশে; সন্ন্যাসীর চিম্টে বাজে,
ধুনুচি বখাটে ছোকতা যেন,
কোমর দোলায়, শিস দেয়;
অদূরে উড়ন্ত গুনচট।
সফেদ অস্থির ব্যালে, প্রতিচ্ছায়া সোয়ান লেকের।
অস্থি মানে একদা-যুবক,
অস্থি মানে একদা-যুবতী
অস্থি মানে একদা-কৃষক,
অস্থি মানে একদা-শ্রমিক,
অস্থি মানে একদা-বালক,
অস্থি মানে একদা-শ্রমণ
অস্থি মানে একদা-নাবিক।
মহিষাসুরের খুরে ছত্রভঙ্গ অস্থি-র জনতা!
দরজা জানালা বন্ধ করে বসে, হতে ইতিহাস-
বংশাবলি, সিংহাসন, যুদ্ধ, গণহত্যা,
যৌনতা, পতন
সুন্দর, যমজ মলাটের মধ্যে এখন শীতল
ছাগলের মাংসের মতন।
চকিতে অক্ষরগুলো পাত থেকে দ্রুত
তুমুল বেরিয়ে পড়ে, বুঝি
জঙ্গি ট্রাক থেকে ঝুপঝাপ
লাফিয়ে নামছে সৈন্যদল।
একটি বিকট পাখি ইস্পাতি চঞ্চুর ঘায়ে, ক্রুর
নখরের আঁচরে আঁচরে
জানালা ঝাঁঝরা করে। সে তলিয়ে যায়,
অস্থির স্তূপের
শ্বেত নিচে, নিচে, বহু নিচে কেবলি তলিয়ে যায়,
যাচ্ছে, যায় যায়-