কখনো কিছু না কিছু পেয়ে যাই, বন্ধু উপহার
পাঠান হঠাৎ কিংবা প্রবাসী ভায়ের চিঠি আসে
সুদূর শহুরে ঘ্রাণ নিয়ে, কখনো দেয়ালে এসে
বসে সুদর্শনা পোকা, যেন তার কপালের টিপ।
কখনো বা পেয়ে যাই অন্ধকারে আমার ঠোঁটের
তীরে তার দীপ্ত তন্বী অধর তরণী। অন্য ঘর
থেকে ভেসে-আসা চঞ্চল চুড়ির কাচরেলা শব্দে
বুকে জেগে ওঠে লক্ষ অশ্বারোহী; ক্ষুরধ্বনি পাই।
কোনো কোনোদিন খুব শান্ত হরিদ্রাভ অপরাহ্নে
সেলাইয়ের কাজ ছেড়ে কখনো মা এমন তাকান
নিবিড় আমার দিকে, সমস্ত শৈশব দুলে ওঠে-
চকিতে আবার পাই তাঁকে কাছে সতেজ তরুণী।
কখনো গলির খঞ্জ কিংবা বন্ধ নীলাভ দরজা
আমার মগজে কবিতার কিছু পঙ্ক্তি গুঁজে দেয়।