বুকে মধ্যে একটা কেমন জগত আছে, বুঝতে পারি।
সেখানে মূল পাখি থাকে, থাকেন বৃক্ষ সারি সারি।
রুক্ষ পথে প্রাণে ধু ধু তৃষ্ণা নিয়ে একলা কে যায়?
আবীর মাখা দরজাটাকে কেউ খুলে দেয়, কেউ-বা ভেজায়।
বুকের মধ্যে ছয় ঋতু এক সমন্বিত ভুবন বানায়।
সোমত্থ ঐ মেঘ-মেঘালি কাছে-দূরে গাছের ডানায়
ডুকরে-ওঠা কাজল বেলায় কান্না রাখে শতেক ফোঁটা!
স্বপ্ন-বনে কিছুতে আর ফুরোয় না যে তুমুল ছোটা।
যমুনা বয় কূল ছাপিয়ে লগ্ন তটে হাসা-কাঁদা,
বাজলে বাঁশি কেমন সুরে ঘর ছেড়ে যায় হৃদয়-রাধা।
ভালোবাসার মুখ দেখে সেই চিরকালীন স্বচ্ছ জলে
তর্জনীতে ফুল ফোটানো যায় তো ডুবে খুব অতলে।
বুকের মধ্যে হাত-চিঠি তার সুনীল পাখা দিচ্ছে মেলে,
স্বপ্নগুলো মাতাল যেন, খেলছে শুধু এলেবেলে।
হঠাৎ কখন ভাঙে সাঁকো কিংবা ফোঁসে রুগ্ন খালটা,
কিসের তোড়ে এক নিমেষে সব হয়ে যায় উল্টা-পাল্টা।